somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গল্প: ভয় -০৮

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:২৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




১ম পর্ব - Click This Link

৭ম পর্ব- Click This Link

বীথি এ বাড়ির পরিবেশে অনেকটাই মানিয়ে নিয়েছে। নিজের একটা আলাদা জগৎ তৈরি করে নিয়েছে ও এখানে। কাজের লোকেরাও এখন অনেক সমীহ করে চলে ওকে। পছন্দও করে খুব। বীথি আজ রান্না করবে বলে রান্নাঘরে এসেছে। এ বাড়ির রান্নাঘরটাও বিশাল। ঝকঝক করছে সবকিছু। যেন এটা রান্নাঘর নয়। জাদুঘর। যেন এখানে কখনও রান্নাই হয় না, কেবল সাজিয়ে গুছিয়ে রাখা হয় দেখার জন্য। সুন্দর করে সাজানো সব কিছু।


জমিদারী আমলের কিছু তৈজসপত্র রান্নাঘরের চেহারাটা আরো সুশোভিত করে তুলেছে। এমন রান্নাঘরে রান্না করাটাও বড় আনন্দের ব্যাপার। লাইব্রেরিতে একটা রান্নার বই পেয়েছে বীথি। সেখান থেকেই একটা রেসিপি রান্না করবে ও। তাছাড়া এই কদিনে বাবুর্চি বদরুল মিয়ার কাছ থেকেও অনেক ধরণের রান্না শিখে নিয়েছে ও।


বীথির কোন মোবাইল নেই। এ বাড়িতে কম্পিউটার ইন্টারনেট সবই আছে। কিন্তু এগুলো কীভাবে চালাতে হয় তা বীথি এখনও জানে না। তাই বইই ওর একমাত্র বন্ধু। বীথি ভেবে রেখেছে আসলাম খানের কাছ থেকে নেট চালানো শিখে নিবে। অনেক কিছু শিখতে পারবে তাতে। শহুরে জীবন কি নেট ছাড়া কল্পনা করা যায়, গ্রামেই যখন এখন সবাই নেট ব্যবহার করে।

বীথি গ্রামের অনেক বন্ধু বান্ধবকে ফোনে ইন্টারনেট চালাতে দেখেছে। ওর তো কোন ফোনই ছিল না। ওদের বাড়িতেও কোন মোবাইল নেই। টাকার অভাবে কেনা হয়নি। এখন তো মুনিরা বেগম অনেক টাকা পেয়েছেন। হয়তো ফোনও কিনেছেন। যদি নাম্বারটা কোনভাবে পাওয়া যেত তাহলে খোকনের সাথে কথা বলতো বীথি। খোকনের জন্য মন কাঁদে ওর খুব। কেমন আছে ভাইটা কে জানে।

বীথি রান্না করতে করতে টুকটাক কথা বলছিল বদরুল মিয়ার সাথে।
---বদরুল ভাই, আপনার বউ ছেলেমেয়ে নাই?
---আছে তো। থাকবে না কেন?
---ওরা কোথায় থাকে?
---গ্রামে।
---আপনার কষ্ট হয় না ওদেরকে ছেড়ে থাকতে?
----না। এখন আর কষ্ট হয় না। মানুষ হলো অভ্যাসের দাস ম্যাডাম। সব কিছুতেই এক সময় মানুষ অভ্যস্থ হয়ে যায়। প্রথম প্রথম খুব কষ্ট হত। এখন আর হয় না।
---আপনি ওদেরকে দেখতে যান না?
---মাসে একবার যাই। সাত দিনের ছুটি পাই।
---আপনি চলে গেলে এখানে কে রাঁধে?
---সফিক রাঁধে।
---ও আচ্ছা।
---ম্যাডাম, আপনি অনেকটা সুরভী ম্যাডামের মতই। সুরভী ম্যাডামও রান্না করতে খুব পছন্দ করতেন। আপনার মতই মিশুক ছিলেন। সবার সব খবর নিতেন। খেয়াল রাখতেন।

সুরভীর কথা শুনে বীথির চোয়াল শক্ত হয়ে গেলো। দুইদিন আগেও সুরভীর সাথে নিজের তুলনা করে খুব হীনমন্যতায় ভুগতো ও। এখন সুরভীর সাথে নিজের তুলনা ওকে ব্যথিত করে। রাগান্বিত করে। কিন্তু সেটা ও বদরুল মিয়াকে বুঝতে দিলো না। ওরা তো আসল ঘটনা কিছুই জানে না। জানে না এসবই ছিল সুরভীর অভিনয়। ওদের কী দোষ?

---ম্যাডাম, আপনাকে একটা কথা বলি?
---হ্যাঁ। বলেন না।
---আপনি তো জানেন সুরভী ম্যাডাম কীভাবে মারা গেছেন?
---হ্যাঁ জানি।
---বড় কষ্ট হয় ম্যাডামের জন্য। এত হাসিখুশি মানুষটা কেন যে এভাবে ডুবে মরলো!
---কী যেন বলতে চেয়েছিলেন, বদরুল ভাই?
---সুরভী ম্যাডাম যেদিন মারা গেলেন সেদিন সারারাত আমার ঘুম হয়নি। শুধু ম্যাডামের কথাই মনে পড়ছিল। এমন ভাল মানুষের লাশটা কেটেছিঁড়ে তারপর কবর দেয়া হলো। শুনেছি মানুষ মরে যাওয়ার পরও নাকি অনেক সময় পর্যন্ত অনুভূতি থাকে। তাই লাশটাকে সাবধানে ধরা হয়, গোসল করানো হয়। যাতে করে লাশটা ব্যথা না পায়। আর সুরভী ম্যাডামের লাশটাকে কেটেছিঁড়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হলো। না জানি ম্যাডাম কত ব্যথা পেয়েছেন।

আত্মহত্যা করে যারা মারা যায় তারা নাকি ওপারে কোনদিন শান্তি পায় না। সেদিন রাতে আমার কেবলই এসব কথা মনে হচ্ছিল। কেবলই মনে হতে লাগলো এত ভাল মানুষটা মাটির নিচে বড় কষ্ট পাচ্ছে। আমার মনটা ভীষণ ছটফট করতে লাগলো। ছটফট করতে করতে ভোর হয়ে গেলো। আমি ফজরের নামাজ পড়ে অনেক কেঁদেকেটে ম্যাডামের আত্মার শান্তির জন্য আল্লাহ্‌র কাছে দোয়া করলাম। তারপর মনে হলো, যাই মানুষটার কবরটা জিয়ারত করে আসি। তাতে যদি ম্যাডামের আত্মা একটু শান্তি পায়। কিন্তু কবরস্থানে গিয়ে ম্যাডামের কবর দেখে আমি থ হয়ে গেলাম।
---কেন বদরুল ভাই? কী দেখলেন আপনি সেখানে।
---দেখি ম্যাডামের কবরটা আস্ত খুঁড়ে রাখা। আর কবরের ভেতরে ম্যাডামের লাশ নেই। কে যেন ম্যাডামের লাশটা সেখান থেকে চুরি করে নিয়ে গেছে।
বীথি বিস্মিত হয়ে বলল,
---তারপর কী হল? খুঁজে পেলেন সুরভীর লাশ?
---আমি স্যারকে এসে জানালাম কথাটা। তারপর অনেক খোঁজাখুঁজি করা হলো কিন্তু কোথাও পাওয়া গেলো না ম্যাডামের লাশ। আমার এখনও মাঝে মাঝে ভয় হয় ম্যাডাম। মনে হয় যেন সুরভী ম্যাডাম আশেপাশেই কোথাও লুকিয়ে বসে আছেন।



যদিও বীথি ভূত প্রেতে বিশ্বাস করে না, তবু সব শুনে বীথির সমস্ত শরীর ভয়ে কাঁটা দিয়ে উঠলো। কে সুরভীর লাশ চুরি করলো? কেন চুরি করলো? এরপর বীথির মনে হলো, হয়তো কোন লাশচোর চুরি করে নিয়ে গেছে। এরকম চুরির ঘটনা সে আগেও শুনেছে অনেক।
-----
বীথি কাল থেকে কলেজ যাবে। মনটা তাই ওর বেশ ফুরফুরে। কতদিনের স্বপ্ন ওর। প্রায় ভেঙেই গিয়েছিল সেই স্বপ্ন। এখন ও আবার স্বপ্নটা দেখতে পারবে। আবার ওর পড়ালেখা শুরু হবে। জীবনটাকে নিয়ে আবার ও ভাবতে পারবে।
বিকেলে আসলাম খানের সাথে বাগানে বসে এসবই কথা হচ্ছিল। আসলাম খান একটু গম্ভীর হয়ে রয়েছেন। হঠাৎ করেই বলে উঠলেন,
----বীথি, এখন যদি আমি তোমাকে হারাই তাহলে সেই কষ্ট হয়ত আমি সইতে পারব না।

---কী বলছেন এসব? আমাকে হারাবেন কেন?
---তুমি ভুলে গেছ, আমাদের একটা চুক্তি হয়েছিল। একদিন লেখাপড়া শেষ করে তুমি এখান থেকে চলে যাবে এটাই কথা ছিল।


বীথি আসলেই সেটা ভুলে গিয়েছিল। ও নিজেকে এখন আসলাম খানের স্ত্রী ভাবতেই শুরু করেছিল। মনে হচ্ছিল যেন ও এ বাড়িরই একজন। এখন আসলাম খান সে কথা মনে করিয়ে দিতেই ওর দুচোখে বিষাদের ছায়া নেমে এলো। সেদিন রাতে ও আসলাম খানকে বলেছিল, কোনদিন উনাকে ছেড়ে যাবে না। সেই বলাটা ছিল আবেগের বশবর্তী হয়ে বলা। কিন্তু এখন ও মুখফোটে সেই কথাটা বলতে পারলো না। কোথায় যেন বাঁধলো। বলতে পারলো না ও সত্যি উনাকে ছেড়ে যেতে চায় না। এখানেই উনার হাতটি ধরে সারাটা জীবন কাটিয়ে দিতে চায়। আসলাম খান অনুনয়ের সুরে বললেন,
---বীথি, আমি বড় বেশি কাঙাল হয়ে গেছি। ভালবাসার কাঙাল। ঐ চুক্তিটা ভেঙে ফেললে হয় না?


বীথি যেন এই কথাটাই শুনতে চেয়েছিল আসলাম খানের মুখে। ওর চোখ দুটো ছলছল করে উঠলো। কৃত্রিম অভিমানি কণ্ঠে ও বলল,
---ঐ চুক্তিটা মনে রেখে বসে থাকতে কে বলেছে আপনাকে?
বীথির বাচ্চাদের মত অভিমানী মুখভঙ্গিমা দেখে আসলাম খান হা হা করে হেসে উঠলেন। বীথি চমকে উঠে বলল,
---হাসছেন যে। হাসির কী বললাম আমি?
--- এই ভঙ্গিতে কথা বললে তোমাকে খুব মিষ্টি লাগে।


বীথি লজ্জা পেয়ে মাথাটা নামিয়ে নিল। আসলাম খান আবার গম্ভীর হয়ে গেলেন।

---এতদিন যে ভয় আমাকে গ্রাস করেও শেষ করতে পারেনি হয়ত তোমাকে হারিয়ে সেই ভয় আবার জেগে উঠবে, আরো ভয়ংকর রূপে। তখন হয়ত মৃত্যু ছাড়া আর কোন পথ আমার......
বীথি আসলাম খানকে কথা শেষ করতে দেয় না। ব্যাকুল স্বরে ও বলে উঠে,
---প্লীজ এভাবে বলবেন না। আমি কোথাও যাব না আপনাকে ছেড়ে, বিশ্বাস করুন। ভুলেও আর কখনো মৃত্যুর কথা মুখে আনবেন না, কথা দিন আমায়।

---আচ্ছা কথা দিলাম। কিন্তু বীথি, আগামীকাল থেকেই তোমার কলেজ যাওয়া শুরু হবে। তুমি তো কলেজ গিয়ে পড়ালেখা শুরু করবে। সেই সাথে তোমার অনেকের সাথে পরিচয়ও হবে। বন্ধুত্বও হবে অনেকের সাথে। সেই সময় যদি কাউকে তোমার পছন্দ হয়ে যায় তখন?

---আপনি কি আমাকে বিশ্বাস করতে পারছেন না?

---না, না। ভুল বোঝো না তুমি আমায়। আমি হলাম ঘর পোড়া গরু। তাই ভয় হয় ভীষণ। অনেক হারিয়েছি জীবনে। এখন আর তোমাকে কিছুতেই হারাতে চাই না।

---তাহলে আমি কলেজ যাওয়া বন্ধ করে দেই। আমি আপনার দুচোখে আর কোন ভয় বা দুশ্চিন্তার ছায়া দেখতে চাই না। আমার না পড়লেও চলবে। কিন্তু আপনার মুখের হাসি মিলিয়ে গেলে আমার যে কিছুতেই চলবে না। আমি শুধু আপনার মুখে হাসি দেখতে চাই। এখন এটাই আমার একমাত্র চাওয়া।

---না না। পড়াশুনা ছাড়তে হবে না তোমাকে। হয়তো আমাকে তোমার খুব স্বার্থপর একটা মানুষ মনে হচ্ছে। হ্যাঁ, পরিস্থিতি আমাকে অনেকটাই স্বার্থপর করে তুলেছে। তাই বলে এতটা স্বার্থপর আমি না যে তোমাকে পড়াশুনা ছাড়িয়ে ঘরে বসিয়ে রাখব। আমি অবশ্যই চাই তুমি পড়াশুনা করো। কলেজে যাও। শুধু একটা অনুরোধ আমার তোমার কাছে।

---অনুরোধ নয়। বলুন দাবী। কী দাবী বলুন তো।
---তোমাকে আমি কলেজে পৌঁছে দেবো এবং নিয়ে আসব। যেটুকু সময় তুমি কলেজে থাকবে শুধু পড়ালেখায় মন দিবে। কারো সাথে বাড়তি কোন কথা বা বন্ধুত্বের প্রয়োজন নেই। মানবে আমার এই কথা।

---এইটুকু? এটা বলতেই এত দ্বিধা? আমার আর কারো সাথে কোন কথা বলার প্রয়োজন নেই। আমার আপনি আছেন। আপনিই আমার বন্ধু, ভালবাসা, অভিভাবক সব। আপনি নিশ্চিন্ত থাকুন।
---আরেকটা কথা।
---বলুন না।
---আমি চাই না তুমি মোবাইল, নেট এসব ব্যবহার করো। এসব তোমাকে আমার কাছ থেকে দূরে নিয়ে যাবে।

বীথি এই কথা শুনে একটু থমকে গেলো। পরক্ষণেই নিজেকে সামলে নিয়ে বলল,
---ঠিক আছে। এসব কিছুই আমি ব্যবহার করবো না। আপনি নিশ্চিন্ত থাকুন প্লীজ।
----
ট্যাক্সি চালক রমিজ সিগারেট ফুঁকতে ফুঁকতে আসলাম খানের বাড়ি থেকে একটু দূরে তার ট্যাক্সি ক্যাবটা থামালো। এমন সময় একজন ভদ্রলোক এসে ট্যাক্সিতে উঠতে চাইলে রমিজ মানা করে দিলো। এখানে তার একটা জরুরী কাজ আছে। বিকেলবেলা প্রায়ই সে এখানে আসে। এ বাড়ির দারোয়ান সোহরাব মিয়ার সাথে তার বন্ধুত্ব অনেক দিনের। তাই বন্ধুকে দেখার জন্য প্রায়ই এখানে আগমন ঘটে রমিজের। এটাই রমিজের জরুরী কাজ এই মুহূর্তে। সোহরাব মিয়া গেটের সামনেই দাঁড়ানো ছিল। রমিজকে ট্যাক্সি থেকে নেমে আসতে দেখে তার মুখে হাসি ফুটলো। সেও খানিকটা এগিয়ে এসে রমিজের সাথে কোলাকুলি করলো।

---কী মিয়া কোথায় ডুব দিসিলা এতদিন? কোন খবর নাই।
---ভাইরে একটা কাজে এক জায়গায় চলে যেতে হইসিলো। তাই আসতে পারি নাই।
---প্রায় এক মাস হয়ে গেলো তুমি আসো নাই। আমি ভাবলাম কোন অসুখবিসুখ হইলো কি না। কিন্তু তুমি তো আমারে কোন ঠিকানাও দাও না। মোবাইল নম্বরও দাও না। তাইলে কেমনে তোমার খবর নেই বলো।
---কী ঠিকানা দিবো বলো। আজ এখানে তো কাল ওখানে। ট্যাক্সিও চালাই ভাড়ার ট্যাক্সি। আজ পর্যন্ত নিজের একটা ট্যাক্সিও কিনতে পারলাম না। ট্যাক্সি কিনবো কী, পেটই তো চলে না রে ভাই। জানোই তো গ্রামে আমার বিশাল পরিবার। যা রোজগার করি প্রায় সবটাই বাড়িতে পাঠিয়ে দেই। একটা মোবাইল যে কিনবো তারও তো কোন উপায় নাই।
---কী যে বলো তুমি! আজকাল তো হাজার বারোশ টাকায়ই মোবাইল পাওয়া যায়। একটা কিনে ফেলো বন্ধু। বিপদে আপদে কাজ দিবো।
---আচ্ছা দেখি। তোমার কী খবর বলো। সব ঠিকঠাক চলতেসে তো।
---তা ঠিকই চলতাসে আল্লাহর রহমতে। তবে এই বাড়িতে একটা নতুন খবর আছে বন্ধু।
---কী নতুন খবর?
---স্যার আবার বিয়ে করসেন।
---বলো কী? এই তো সেইদিনই উনার বউ মারা গেলো। এত তাড়াতাড়ি বউরে ভুলে গেল। তুমি না বলসিলা উনি বউরে পাগলের মত ভালবাসে। দুজনে মধ্যে খুব ভালবাসা।

---তাই তো জানতাম দুস্তো। কী বলব বল? এসবই হলো বড়লোকের খেয়াল। ভালবাসতেও দেরি নাই। ভুলতেও দেরি নাই। সুরভী ম্যাডাম বড় ভাল মানুষ ছিল। বড় কষ্ট হয় ম্যাডামের জন্য। তবে এই ম্যাডামও খারাপ না। ভালই।

সোহরাব মিয়ার সাথে কথা বলা শেষ করে বিদায় নিয়ে রমিজ আবার ট্যাক্সিতে উঠে। খালি ট্যাক্সি দেখে আবার একজন লোক এগিয়ে আসে উঠার জন্য। কিন্তু রমিজ তাকেও ট্যাক্সিতে তোলে না। গভীরভাবে কিছু একটা ভাবতে ভাবতে সে ট্যাক্সি চালায়। এক সময় ট্যাক্সিটা তার মালিককে ফেরত দিয়ে রমিজ তার নিজের গাড়িতে ওঠে। তারপর গাড়ি নিয়ে সোজা নিজের ফ্ল্যাটে চলে আসে। ট্যাক্সিচালকের পোশাক পাল্টে ফ্রেশ হয়ে নিজের স্বরূপে ফিরে আসে রমিজ ওরফে রূপম আহমেদ।

চলবে
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:২৯
৯টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইসলামে পর্দা মানে মার্জিত ও নম্রতা: ভুল বোঝাবুঝি ও বিতর্ক

লিখেছেন মি. বিকেল, ১৯ শে মে, ২০২৪ রাত ১:১৩



বোরকা পরা বা পর্দা প্রথা শুধুমাত্র ইসলামে আছে এবং এদেরকে একঘরে করে দেওয়া উচিত বিবেচনা করা যাবে না। কারণ পর্দা বা হিজাব, নেকাব ও বোরকা পরার প্রথা শুধুমাত্র ইসলাম ধর্মে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×