somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একটি সাহসী ছেলের গল্প (২য় ও শেষ খণ্ড)

১৯ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ১০:৩৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



১ম খণ্ড - Click This Link


এদিকে লোকজন একদম নেই। তবু সাবধানের মার নেই। ভালো করে সব দিক দেখে নিয়ে যখন নিশ্চিত হয় কেউ ওকে দেখছে না, তখনই জঙ্গলের ভেতরে পা রাখে। জঙ্গলের ভেতেরে হাঁটতে হাঁটতে কিছু দূর যেতেই পোড়াবাড়িটা চোখে পড়ে। দোলন এক দৌড়ে পোড়াবাড়িতে ঢুকে পড়ে। সবাই দোলনের অপেক্ষাতেই বসেছিল। দোলনকে দেখতে পেয়ে একজন ছুটে এসে ব্যাগটা নিয়ে যায়।

কাজ সেরে বাড়িতে পা রাখতেই কানে আসে "শোন একটি মুজিবরের থেকে লক্ষ মুজিবরের কন্ঠস্বরের ধ্বনি প্রতিধ্বনি আকাশে বাতাসে ওঠে রণি... বাংলাদেশ, আমার বাংলাদেশ।''...." "আকাশবানী কলকাতা, আকাশবানী কলকাতা, আকাশবানী কলকাতা" বলে বলে ছোটভাইটা সারা ঘরে ছুটে বেড়াচ্ছে। গানটা শোনার সাথে সাথে সারা শরীরে একটা শিহরণ বয়ে যায়। রক্ত টগবগ করে ওঠে দোলনের। হাতটা নিশপিশ করতে থাকে। রেডিওতে দেশের গান বাজছে। একটু পরেই খবর শুরু হবে। তাই বাবা রেডিওটা চালু করে রেখেছেন। ভলিউম একেবারে কম। কারণ রেডিওতে এখন দেশের গান শোনা মানেই দেশদ্রোহীতা। দেশাত্মবোধক যেকোন অনুষ্ঠান বর্জনীয়। তবু সবাই লুকিয়ে লুকিয়ে দেশের গান শোনে। সবার রক্তই যে মুক্তির নেশায় টগবগ করছে।

"এই শিকল পরা ছল
মোদের এই শিকল পরা ছল
এই শিকল পরেই
শিকল তোদের করবো রে বিকল।"
গানটা মৃদু সুরে বেজে চলেছে এখন। দোলা'বু এই গানটা গাইতো সব সময়। এখন আর গায় না। কামালপুর গ্রামে শকুনরা হানা দেয়ার আগে এখানে এক দল মুক্তিযোদ্ধা ট্রেনিং শুরু করেছিল। সুজন ভাইও সেই দলে ছিল। যখন ট্রেনিং হতো সে আর দোলা'বু ট্রেনিং দেখার জন্য যেতো। মাঝে মাঝে দোলন জেদ ধরতো ওকেও মুক্তিযোদ্ধাদের দলে ঢুকানোর জন্য। কিন্তু ও ছোট বলে কেউ ওর কথা কানে তুলতো না। বেশি জেদ ধরায় সুজন ভাই একবার গ্রেনেড কীভাবে ছুঁড়তে হয় দেখিয়ে দিয়েছিল। ট্রেনিং শেষ হলে সবাই গোল হয়ে বসতো। কেউ কৌতুক বলতো। কেউ কবিতা আবৃত্তি করতো। কেউবা গান গাইতো। দোলা'বুর গান ওদের খুব প্রিয় ছিল। দোলাবু যখন "এই শিকল পরা ছল"

গানটা গাইতো তখন সবার চোখ জ্বলজ্বল করে উঠতো। ওরা হাতে ধরা অস্ত্রটাকে আরো শক্ত করে চেপে ধরতো। দোলাবুর গানে ওরা যেন প্রতিবার আরো নতুন করে উজ্জীবিত হয়ে উঠতো।

এমনই একদিন গানের আসর শেষ হওয়ার পরে সে আর দোলাবু বাড়ি ফিরছিল। পথিমধ্যে হঠাৎ করেই কেউ পেছন থেকে শক্ত কিছু দিয়ে তার মাথায় আঘাত করলো। সাথে সাথে চারিদিক অন্ধকার হয়ে আসে। লুটিয়ে পড়ে সে মাটিতে। যখন জ্ঞান ফিরলো তখন সে বাড়িতে। চারিদিকে উৎকণ্ঠিত মুখের ভীড়। মায়ের চোখে জল। বাবার চোখেও জল। সুজন ভাইও ছিল। বিধ্বস্ত চেহারা। সবার মুখেই এক কথা দোলা কই। উত্তরে সে সেদিন কিছুই বলতে পারেনি। শুধুই বোবার মত তাকিয়ে থেকেছিল।

সে তার দোলাবুকে বাঁচাতে পারেনি। ঐ শকুনের দল দোলাবুকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল। শকুনরা গ্রামে চুপিসারে ক্যাম্প গেড়েছে এ কথা গ্রামের কয়েকটা দালাল ছাড়া কেউ জানতো না। দোলাবুর উপর ওদের নজর ছিল। দোলাবুর গানে মুক্তিযোদ্ধারা উজ্জীবিত হয় এটা ওরা জেনে গিয়েছিল। তাই ওদের প্রথম টার্গেট ছিল দোলাবু।

দুইদিন পর দোলাবুর শকুনে খাওয়া নিথর দেহখানি কেউ বাড়ির সামনে ফেলে যায়। সেই নিথর দেহে প্রাণটা তখনও নিভু নিভু জ্বলছিল। তারপর দোলাবু বেঁচে উঠেছিল ঠিকই। কিন্তু সেই বাঁচা মরণেরই নামান্তর।

তিন

জঙ্গলের ভেতর পোড়াবাড়িতে দোলন আজকাল প্রায়ই যায়। পুরোনো আস্তানা ছেড়ে সেখানেই এখন মুক্তিযোদ্ধারা ঘাঁটি গেড়েছে। ও লুকিয়ে লুকিয়ে সেখানে যায়। অনেকগুলো সফল অপারেশন তারা পরিচালনা করেছে। অনেক মুক্তিযোদ্ধাই যুদ্ধে গিয়ে আর ফিরে আসেন নি। কারো কারো লাশ কাঁধে করে নিয়ে আসেন যোদ্ধারা। পাশেই জঙ্গলে তাদের কবর দেয়া হয়। অনেকেই আহত থাকেন। কারোর পায়ে গুলি লেগেছে তো কারোর হাত উড়ে গেছে। কেউ কেউ হালকা আঘাত পেয়েছেন। কেউ বা অসুস্থ বোধ করছেন। ছোট খাটো অসুখ কাঁটাছেড়ার বিবরণ মুক্তিযোদ্ধারা কাগজে টুকে রাখেন। দোলন সেই কাগজ নিয়ে গণি ডাক্তারের কাছে যায়। গণি ডাক্তার সেগুলো পড়ে প্রেসক্রিপশন লিখে দেন। দোলন সেই প্রেসক্রিপশনগুলো নিয়ে বাজার থেকে ওষুধ কিনে আনে। আহত মুক্তিযোদ্ধাদের যতটুকু পারে সেবা করে। বেশি আহত বা গুলিবিদ্ধ কেউ থাকলে রাতের অন্ধকারে গণি ডাক্তারকে সাথে নিয়ে পোড়াবাড়িতে যায়। গণি ডাক্তার অপারেশন করে গুলি বের করে দেন।

পোড়াবাড়ির খবর জেনে গেছে মিলিটালিরা। আজই নাকি হানা দেবে। মুক্তিযোদ্ধাদের অনেকেই আহত। অনেকেই শহিদ হয়েছেন। এখন অল্পকিছু মুক্তিযোদ্ধাই আছেন। পালিয়ে যাওয়ারও উপায় নেই। জঙ্গলের বাইরে সব দিকেই পাহারা বসিয়ে রেখেছে ওরা। রাস্তায় ব্যারিকেড। ওরা এখন বোঝার চেষ্টা করছে কতজন মুক্তিযোদ্ধা এখানে আছে। দোলনও পোড়াবাড়িতে আটকে পড়েছে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে। তবে ওর তেমন ভয় করছে না। ও মনে মনে ঠিক করেছে সেও অংশ নিবে যুদ্ধে। অস্ত্রচালনা এতদিনে সে অনেকটাই শিখে ফেলেছে। মুক্তিযোদ্ধারা উপায়ন্তর না দেখে ওর হাতেও একটা অস্ত্র দিয়েছে আত্মরক্ষার জন্য।

জঙ্গলের ভেতর মোটা মোটা গাছ ফেলে রাখা হয়েছিল আগেই। সতর্কতা স্বরূপ। বড় বড় গর্ত করে রাখা হয়েছে যুদ্ধের সুবিধার্থে। যেহেতু মর্টার, গোলাবারুদ ও গুলি খুব একটা বেশি নাই তাই যুদ্ধ করতে হবে মাথা খাটিয়ে। একজন বেশিক্ষণ একই জায়গা থেকে গুলি করবে না। বারবার স্থান বদল করতে হবে। একবার গুলি বা গোলারুদ ছুঁড়ে মারার পর সাথে সাথে ভিন্ন জায়গায় চলে যেতে হবে। কারণ ঐ স্থান লক্ষ্য করে তখনই বিস্ফোরণ ঘটাবে প্রতিপক্ষ। তাছাড়া এতে করে মিলিটারিরা ওদের সংখ্যা সম্পর্কে আন্দাজ করতে পারবে না। কিন্তু এসব পরিকল্পনা কার্যকর হবে পরে। যদি ওরা জঙ্গলের ভেতর ঢুকে পড়তে সফল হয় তাহলেই। প্রথম পরিকল্পনা হলো ওদেরকে কিছুতেই জঙ্গলের ভেতর ঢুকতে না দেয়া। এমন কিছু করা যাতে ওরা ভয়ে পিছু হটে।

দোলনের বুদ্ধিতে শুকনো ডালপালা দিয়ে জঙ্গলে ঢুকার পথে বড় বড় কয়েকটা ঢিবি তৈরী করা হয়েছে। এগুলোতে পেট্রোল ও কেরোসিন ছিটিয়ে দেয়া হয়েছে।

দশ বারোটা ট্যাংক একটার পর একটা, জঙ্গলের কাছে যেখানে রাস্তাটা শেষ হয়েছে, সেখানে এসে থামলো। খুব কাছাকাছি একটা বিরাট গাছের আড়ালে লুকিয়ে ছিল সুজন ভাই। তার কাঁধে ঝোলানো চটের থলেতে রয়েছে গ্রেনেড। সুজন ভাইয়ের আর বেঁচে ফেরার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তবু সে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজটা করতে এগিয়ে গিয়েছে। তার দুচোখে এক রাশ ঘৃণার আগুন দাউ দাউ করে জ্বলে সব সময়। আজও দোলাবুকে ভালোবাসে সুজন ভাই। দোলাবুর এক জোড়া কানের দুল সব সময় তার পকেটে থাকে। সবাই যখন একটু অবসরে হাসি গান নিয়ে মেতে ওঠে, সে তখন সবার থেকে দূরে একাকী বসে দুলগুলো হাতে নিয়ে, সেগুলোর দিকে উদাস চোখে তাকিয়ে থাকে।

প্রথম ট্যাংকটা খুব কাছাকাছি থাকায় কালক্ষেপণ না করে সেটা লক্ষ্য করে পর পর তিনটি গ্রেনেড ছুঁড়ে মারলো সুজন। সাথে সাথে ট্যাংকের ভিতরে প্রকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটলো। ট্যাংকের অস্ত্রধারী যারা ছিল সবাই একসাথে উড়ে গেলো। সাথে সাথে কয়েকটা কামানের গোলা এসে পড়লো সুজন যেখানে ছিল সেখানে। গ্রেনেডগুলো ছুঁড়ে মেরে পেছন ফিরে দৌড়টাও দিতে পারেনি সে, কামানের গোলার আঘাতে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় তার দেহ। এমনটা ঘটবে জানাই ছিল। সব জেনেই বীরের বেশে অবধারিত মৃত্যুকে নির্দ্বিধায় আলিঙ্গন করলো সুজন।

সুজন যে গাছটার আড়ালে লুকিয়ে ছিল তার থেকে প্রায় বিশ হাত দূরে আরেকটা গাছের আড়ালে দাঁড়িয়ে দোলন লক্ষ্য রাখছিল সুজনের উপর। যাতে কী ঘটেছে তা, সাথে সাথে গিয়ে বাকিদের জানাতে পারে। সুজনের ছিন্নভিন্ন দেহ দেখে কিছুক্ষণ হতবিহ্বল হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে ও। বিকট একটা কান্না দলা পাকিয়ে ওঠে বুকের ভেতর। নিজের অজান্তেই মুখ ফুটে বেরিয়ে আসে একটা আর্তনাদ, "সু-জ-ন ভাই- রে"। দুটি কানে প্রতিধ্বনিত হতে থাকে। "শালাবাবু যা মন চায় খেয়ে নিও।" মুহুর্ত মাত্র। আহাজারীর সময় কই? ভারাক্রান্ত হৃদয় নিয়ে বিধ্বস্ত দোলন, খুব দ্রুত নিজেকে সামলে ছুটে যায় বাকি মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে। দশজন মুক্তিযোদ্ধা প্রস্তুত ছিল মশাল হাতে। তারা দ্রুত এগিয়ে যায় সামনের দিকে। কিছুতেই মিলিটারিদের জঙ্গলের ভেতরে ঢুকতে দেয়া যাবে না। দক্ষ হাতে ক্ষিপ্র গতিতে মশালগুলোতে আগুন লাগিয়ে ওরা ছুঁড়ে মারে ঢিবিগুলো লক্ষ্য করে। সাথে সাথে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে ওঠে। মিলিটারিদের মনোযোগ তখন আগুনের দিকে। এই সুযোগে অন্যদিক থেকে আরো দুইজন, আরো দুইটি ট্যাংক লক্ষ্য করে ক্রমাগত কয়েকটি গ্রেনেড ছুঁড়ে মারে। দুইটি ট্যাংকই বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। বাকি ট্যাংকগুলো বিপদ টের পেয়ে আর দেরি না করে, দ্রুত পিছু হটে পলায়ন করে।

চার

ডিসেম্বর মাস। সবখানে মুক্তিযোদ্ধারা বেকায়দায় ফেলে দিচ্ছে হানাদারদের। এই গ্রামেও হানাদারদের অবস্থা বেহাল। একজন মুক্তিযোদ্ধা পাকি ক্যাম্পে আত্মসমর্পণেের চিঠি নিয়ে গেলো। কিন্তু সে আর ফিরে এলো না। দ্বিতীয়বার সেই প্রচেষ্টা কে করবে তাই নিয়ে কথা চলছিল। মুক্তিযোদ্ধারা এখানে এখন আর বেশী অবশিষ্ট নেই। কেউ মারা গিয়েছেন। কেউ কেউ গুরুতর আহত। এখন একজন মুক্তিযোদ্ধা কমলেও অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যাবে। এমন সময় দোলন এগিয়ে গেলো। বলল ও চিঠি নিয়ে যাবে। কিন্তু কেউই ওরকথায় প্রথমে সায় দিলো না। ও ছোট একটা বাচ্চা। মাত্র পনের বছর বয়স। ওকে ওরা এতবড় বিপদে ঠেলে দিতে পারে না। কিন্তু দোলনের জেদের কাছে শেষপর্যন্ত সবাই হার মানলো। যাওয়ার সময় দোলন সারা শরীরে গ্রেনেড বেঁধে নিয়ে গেলো। যদি মরতেই হয় তবে একা মরবে না। কয়েকটা শকুনকে সাথে নিয়ে তবেই মরবে।

এগিয়ে চলেছে দোলন বুক ফুলিয়ে, বীর দর্পে। সুদৃঢ় পদক্ষেপ। অবিচল। তাতে নেই কোন কাঁপন। নেই কোন দ্বিধা। চেহারায় তার ভয় ডরের কোন চিহ্ন নাই। সবাই, অসীম সাহসী সেই ছোট্ট ছেলেটার চলার পথের দিকে, তাকিয়ে রইল সজল নয়নে। সবার মনেই এক ভয়। সবার মনেই একটি প্রশ্ন - ফিরে আসতে পারবে তো দোলন! ছোট্ট দোলন! বীরপুরুষ দোলন! অকুতোভয় দোলন!

©নিভৃতা
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:১১
৮টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অন্যায় অত্যাচার ও অনিয়মের দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ

লিখেছেন রাজীব নুর, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:৪০



'অন্যায় অত্যাচার ও অনিয়মের দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ'।
হাহাকার ভরা কথাটা আমার নয়, একজন পথচারীর। পথচারীর দুই হাত ভরতি বাজার। কিন্ত সে ফুটপাত দিয়ে হাটতে পারছে না। মানুষের... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্য অরিজিনস অফ পলিটিক্যাল জোকস

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:১৯


রাজনৈতিক আলোচনা - এমন কিছু যা অনেকেই আন্তরিকভাবে ঘৃণা করেন বা এবং কিছু মানুষ এই ব্যাপারে একেবারেই উদাসীন। ধর্ম, যৌন, পড়াশুনা, যুদ্ধ, রোগ বালাই, বাজার দর থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×