গত পরশু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ ও প্রতিকার কমিটির নবম সভা শেষে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী স্বীকার করেছেন স্পষ্টভাবে বলেছেন, “ইসলামী(?) ব্যাংক তাদের লভ্যাংশের শতকরা ৮ ভাগ জঙ্গিবাদের পেছনে ব্যয় করছে।” ইসলামী ব্যাংকের টাকা, ব্যাংক ফাউন্ডেশনে হস্তান্তর সংক্রান্ত তথ্য পাওয়া গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক পরিপত্রের মাধ্যমে তা বন্ধ করে দিয়েছে। শুধু তাই নয়, তথাকথিত জামাতে ইসলাম পরিচালিত তথাকথিত ইসলামী ব্যাংক যে খোদ ইসলামী শরীয়ত পাল্টে দিয়েছে- তাও ফাঁস করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে বলেছেন, ‘ইসলামী ব্যাংকের যাকাত ফান্ডের টাকা ৮ দফায় ব্যয় করার কথা থাকলেও ব্যাংক তা ১৬ দফায় করছে।’ বলাবাহুল্য, এটা সুস্পষ্টরূপে কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ-এর খেলাফ। এটা সম্পূর্ণরূপে ইসলামী শরীয়তের সাথে সাংঘর্ষিক। এটা চরম-পরমরূপে ইসলামের সাথে প্রকাশ্য বিরোধিতা। এটা কাট্টা হারাম। স্পষ্ট কুফরী। সম্পূর্ণ নাজায়িয। বরং মুরতাদী। বলাবাহুল্য, শুধু এবারই বা অতীতের যাবতীয় কর্মকা-ের ফিরিস্তিতে জামাত বহুবার মুরতাদ বলে প্রতিপন্ন হয়েছে। এখনও তা বহাল রয়েছে। নির্বাচন কমিশন কর্তৃক তথাকথিত নিবন্ধিত হবার জন্য জামাত মহান আল্লাহ পাক উনার আইন উঠিয়ে দিয়েছে। ইসলামের শ্রেষ্ঠত্ব অস্বীকার করেছে। ইসলামে হারাম ঘোষিত নারী নেতৃত্ব গ্রহণ করেছে। অর্থাৎ ৯৭ ভাগ অধিবাসী মুসলমানের এদেশে, রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের দেশে- প্রকাশ্য ইসলামের অবমাননা করেছে। ৯৭ ভাগ মুসলমানের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়েছে। তারপরও এ মহা ইসলাম বিরোধী বরং ইসলামের চরম শত্রু এ দলটি ইসলামের নামে নিরবিচ্ছিন্নভাবে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। সঙ্গতকারণেই রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের এদেশে এটা কোনোভাবেই বরদাশত করা যায় না। রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক কাজ অব্যাহত রাখার কারণে জামাত স্পষ্টরূপে ইসলামদ্রোহী তথা রাষ্ট্রদ্রোহী অভিযোগে অভিযুক্ত হয়। পাশাপাশি উল্লেখ্য, এই জামাত নেতা মইজ্জা রাজাকারই জঙ্গিদের উত্থানের চরম মুহূর্তেও বলেছিলো, ‘দেশে কোনো জঙ্গি নেই।’ আরো মিথ্যা আস্ফালন করে সে উল্লেখ করেছিলো, ‘জঙ্গিরা মিডিয়ার সৃষ্টি।’ দেশবাসী জঙ্গিদের সিরিজ বোমা হামলাসহ বিবিধ জঙ্গিপনা প্রত্যক্ষ করেছে। শুধু তাই নয়, ধৃত জঙ্গিদের ষাট ভাগই গোয়েন্দা তৎপরতায় জামাতী প্রোডাক্ট প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু তারপরেও জামাতীরা একটি কারণে পার পেয়ে যাচ্ছে। সেটি হলো- তাদের কথিত নিবন্ধন। আমরা বলি, এদেশে দুর্নীতিবাজ পুলিশ, র্যাব এমনকি সেনা বাহিনীর সদস্যরাও কী চাকুরিচ্যুত হয়নি? এদেশে ডাক্তার, প্রকৌশলী এমনকি বিচারপতিরাও দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত হয়ে বরখাস্ত হয়নি? দুর্নীতিবাজ সরকারি শৃঙ্খলিত বাহিনীর লোকেরাও যদি বরখাস্ত হতে পারে তবে অনিয়ম, রাষ্ট্রদ্রোহিতা জঙ্গিপনা তথা ইসলাম বিরোধিতার কারণে জামাতে ইসলামীর নিবন্ধনও বাতিল হবে না কেন? প্রসঙ্গত এখনও কী অনেক দল আছেনা, যারা রাজনীতি করছে কিন্তু নিবন্ধিত হতে পারেনি? তাহলে নিবন্ধন কী এমনই এক জিনিস যে, তা একবার হলেই আর বাদ দেয়া যাবে না। বলাবাহুল্য, সাধারণ নিয়মেই নিবন্ধনহীন দলও যেমন নতুন করে নিবন্ধনের যোগ্যতা অর্জন করতে পারে- তেমনি নিবন্ধিত দলও নিবন্ধনের যোগ্যতা হারাতে পারে। বলাবাহুল্য, তথাকথিত জামাতে ইসলামী এমনি এক দল- যারা সব দিক থেকে নিবন্ধনের সব ধরনের যোগ্যতা হারিয়েছে। বিশেষ করে খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখে যখন সুর্নিদিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে জামাতে ইসলামীর মূল অর্থননৈতিক ভিত্তি ইসলামী ব্যাংকের লাভের ৮ ভাগ জঙ্গিদের পিছনে ব্যায়ের কথা উচ্চারিত হয়; তখন আর এ বিষয়ে - কোনো মতেই চুপ থাকা যায় না। কোনোভাবেই বরদাশত করা যায় না। মেনে নেয়া যায় না। সঙ্গতকারণেই আমরা আশা করবো জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার বর্তমান সরকার জঙ্গিবাদের সাথে জামাতের সংশ্লিষ্টতা আরো সম্পূর্ণরূপে উদঘাটন করবেন। জঙ্গিদের জন্য তাদের শাস্তির নিশ্চিত করবেন। এবং অনিবার্যকারণেই তাদের নিবন্ধন বাতিল করে ইসলামের নামে ধর্মব্যবসা ও রাজনীতি হতে বিরত করে- রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের পবিত্রতা ও মর্যাদা রক্ষা করবেন।
সবুজ বাংলা ব্লগেও প্রকাশিত

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




