[মুসলিম ব্যতীত প্রবেশ নিষেধ]
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, ‘তোমরা সত্যবাদী হলে দলীল পেশ করো।’
অর্থাৎ কোনো মুসলমান কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ-এর দলীল ব্যতীত যেমন কোনো আমল করতে পারবে না, তেমন কোনো কথাও বলতে পারবে না।
মুসলমানদের স্মরণ রাখতে হবে, ‘পহেলা বৈশাখ ভালো খেলে সারা বছর ভালো খাওয়া যায়’- একথা সম্পূর্ণরূপেই শরীয়তের খিলাফ। যা কাট্টা কুফরীর অন্তর্ভুক্ত।
প্রকৃতপক্ষে মুসলমানের জন্য ভালো ও বিশেষ খাবারের দিন হচ্ছে- ১০ই মুহররম, যা হাদীছ শরীফ দ্বারা প্রমাণিত। এই দিন আশূরার দিন হিসেবে মাশহুর। আর আশূরার দিন ভালো খাদ্য খেলে এক বছর স্বচ্ছলতা লাভ করা যায়।
উল্লেখ্য, ইসলামের দৃষ্টিতে পহেলা মুহররম হোক, পহেলা বৈশাখ হোক, পহেলা জানুয়ারি হোক তাতে ভালো বা বিশেষ খাবার গ্রহণে আলাদা কোনো ফযীলত বা বরকত-এর তো প্রশ্নই উঠে না; বরং তা বিধর্মীদের অনুসরণ ও অনুকরণ হওয়ার কারণে জাহান্নামী হওয়ার কারণ।
অতএব, মুসলমানের জন্য এ সমস্ত হারাম ও কুফরী কাজ থেকে বেঁচে থাকা ফরয-ওয়াজিবের অন্তর্ভুক্ত।
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, ‘তোমরা সত্যবাদী হলে দলীল পেশ করো।’ অর্থাৎ কোনো মুসলমান কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ-এর দলীল ব্যতীত যেমন কোনো আমল করতে পারবে না, তেমন কোনো কথাও বলতে পারবে না।” যদি তাই হয়ে থাকে তবে মুসলমান কী করে পহেলা বৈশাখ পালন বা উদযাপন করতে পারে? কেননা, পহেলা বৈশাখে যা কিছু করা হয়, তার প্রত্যেকটাই শরীয়তবিরোধী বা কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াসের খিলাফ।
পহেলা বৈশাখে হিন্দুরা ঘটপূজা করে থাকে, শরীরে উল্কি অঙ্কন করে থাকে, নওরোজ বা নববর্ষ পালন করে থাকে এবং নওরোজ বা নববর্ষ পালন উপলক্ষে পান্তা-গান্ধা খাওয়া, গানবাজনা করা, র্যালী করা, জীব-জানোয়ারের মুখোশ পরা, নববর্ষের সম্মানার্থে মিছিল করা, কদুর খোলের তৈরি একতারা ডুগডুগি বাজিয়ে নেচে নেচে হৈহুল্লো করা, কপালে চন্দন গুঁড়ার ত্রিশালী ছাপ দেয়া, পুরুষরা ধুতি ও কোণাকাটা হিন্দুদের জাতীয় পোশাক পরা, মেয়েরা লাল পেড়ে সাদা শাড়িসহ হাতে রাখি বাঁধা, শাঁখা পরা, কপালে লাল টিপ, সিথিতে সিঁদুর দেয়া, বেপর্দা, বেহায়া হওয়াসহ হাজারো হারাম কাজে মশগুল হয়। মূলত, উল্লিখিত আমলগুলোর কোনোটাই শরীয়তসম্মত বা দলীলভিত্তিক নয়। বরং প্রত্যেকটাই মনগড়া, বানানো, দলীলবিহীন অর্থাৎ শরীয়তবিরোধী।
বিশেষ করে ইসলামে নববর্ষ বলতে কিছু নেই। আর নববর্ষ উপলক্ষে টাকা-পয়সা খরচ করাও ইসলামী শরীয়তে জায়িয নেই; বরং কুফরীর অন্তর্ভুক্ত। এ প্রসঙ্গে হযরত ইমাম আবূ হাফস কবীর রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, ‘যারা নববর্ষ উপলক্ষে একটা ডিমও দান করবে তার জিন্দেগীর সমস্ত আমল বরবাদ হয়ে যাবে।’
পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে ভালো খাওয়া-পরার কোনো নির্দেশনা শরীয়তে নেই। মুসলমানদের স্মরণ রাখতে হবে, ‘পহেলা বৈশাখ ভালো খেলে সারা বছর ভালো খাওয়া যায়’- একথা সম্পূর্ণরূপেই শরীয়তের খিলাফ। যা কাট্টা কুফরীর অন্তর্ভুক্ত। প্রকৃতপক্ষে মুসলমানের জন্য ভালো ও বিশেষ খাবারের দিন হচ্ছে- ১০ই মুহররম, যা হাদীছ শরীফ দ্বারা প্রমাণিত। এই দিন আশূরার দিন হিসেবে মাশহুর। আর আশূরার দিন ভালো খাদ্য খেলে এক বছর স্বচ্ছলতা লাভ করা যায়। এ প্রসঙ্গে ‘ত্ববারানী শরীফ’-এর হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “কোনো ব্যক্তি যদি আশূরার দিনে তার পরিবারবর্গকে ভালো খাওয়ায়-পরায় তাহলে মহান আল্লাহ পাক তিনি তাকে এক বৎসরের জন্য সচ্ছলতা দান করবেন।”
মূলকথা হলো- ইসলামের দৃষ্টিতে পহেলা মুহররম হোক, পহেলা বৈশাখ হোক, পহেলা জানুয়ারি হোক তাতে ভালো বা বিশেষ খাবার গ্রহণে আলাদা কোনো ফযীলত বা বরকত-এর তো প্রশ্নই উঠে না; বরং তা বিধর্মীদের অনুসরণ ও অনুকরণ হওয়ার কারণে জাহান্নামী হওয়ার কারণ। অতএব, প্রত্যেক মুসলমান পুরুষ-মহিলার জন্য পহেলা বৈশাখের কুফরী, শিরকী ও শরীয়ত বিরোধী কাজ তথা শরীরে উল্কি অঙ্কন করা, নওরোজ বা নববর্ষ পালন করা এবং নওরোজ বা নববর্ষ পালন উপলক্ষে পান্তা-গান্ধা খাওয়া, গানবাজনা করা, র্যালী করা, জীব-জানোয়ারের মুখোশ পরা, নববর্ষের সম্মানার্থে মিছিল করা, কদুর খোলের তৈরি একতারা ডুগডুগি বাজিয়ে নেচে নেচে হৈহুল্লো করা, কপালে চন্দন গুঁড়ার ত্রিশালী ছাপ দেয়া, পুরুষরা ধুতি ও কোণাকাটা হিন্দুদের জাতীয় পোশাক পরা, মেয়েরা লাল পেড়ে সাদা শাড়িসহ হাতে রাখি বাঁধা, শাঁখা পরা, কপালে লাল টিপ, সিথিতে সিঁদুর দেয়া, বেপর্দা, বেহায়া হওয়াসহ সর্বপ্রকার হারাম ও কুফরী কাজ থেকে বেঁচে থাকা ফরয-ওয়াজিবের অন্তর্ভুক্ত।
জানিয়ে দিলাম, মানার দায়িত্ব আপনাদের.....
[বি: দ্র: বোমাবাজ, সন্ত্রাসীদের মত বোমা মেরে ইসলাম পালন করানো ইসলাম সমর্থন করে না ]