somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সমকামিতার স্বরূপ অন্বেষনঃ সমকামিতা এবং মিথ্যাচার [পর্ব এক]

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:২৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



আগের পর্ব পড়ে আসুনঃ সমকামিতার স্বরূপ অন্বেষন - সূচনা

সমকামিতা কি সেটা ভালোভাবে বুঝার জন্য এর সাথে সর্ম্পকীত প্রাসঙ্গিক কিছু শব্দের আভিধানিক অর্থ দেয়া হলো। পরের পর্বগুলি বুঝার জন্য এই শব্দগুলির অর্থ জানা দরকার হবে।
সমকামিতাঃ সমকামিতা হলো নারী ও পুরুষের স্বাভাবিক পারস্পরিক যৌন আকর্ষণের বিপরীতে গিয়ে একই/সমলিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বোধ করা। বাংলায় সমকামিতা শব্দটির গঠন সংস্কৃত থেকে এসেছে। সংস্কৃত শব্দ ‘সম’-এর অন্যতম অর্থ সমান অথবা অনুরূপ এবং ‘কাম’ শব্দের অন্যতম অর্থ যৌন চাহিদা, রতিক্রিয়া তথা যৌন তৃপ্তি। অতঃপর এই দুই শব্দের সংযোগে উৎপন্ন সমকামিতা শব্দ দ্বারা অনুরূপ বা সমান বা একই লিঙ্গের মানুষের প্রতি যৌন আকর্ষণকে বোঝায়। সমকামিতার ইংরেজি প্রতিশব্দ হোমোসেক্সুয়ালিটি তৈরি হয়েছে গ্রিক ‘হোমো’ এবং ল্যাটিন ‘সেক্সাস’ শব্দের সমন্বয়ে। গ্রিক ভাষায় ‘হোমো’ বলতে বোঝায় সমধর্মী বা একই ধরনের। আর ‘সেক্সাস’ শব্দটির অর্থ হচ্ছে যৌনতা। মহিলা সমকামীদের বোঝাতে ব্যবহৃত শব্দটি হল ‘লেসবিয়ান’ এবং পুরুষ সমকামীদের ক্ষেত্রে ‘গে’। যদিও ‘গে’ সমকামী মহিলা ও পুরুষ উভয়কে বোঝাতেও ব্যবহার করা হয়।

যৌন অভিমুখীতাঃ আমেরিকান সাইকোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের মতে, যৌন অভিমুখীতা বলতে কোনো ব্যক্তির "যৌন আকর্ষণ, আচরণ বা সমজাতীয় সম্প্রদায়ের সদস্যতার ভিত্তিতে নির্ধারিত ব্যক্তিগত ও সামাজিক পরিচয়" কে বোঝায়। যৌন অভিমুখীতা তিনটি ভাগে বিভক্ত: বিপরীতকামিতা, সমকামিতা ও উভকামিতা।

যৌন প্রবৃত্তিঃ যৌন প্রবৃত্তি বলতে বোঝায় পুরুষ, নারী, উভয় লিঙ্গের প্রতি পারস্পরিক আবেগ, প্রণয়, যৌন আকর্ষণজনিত এক স্থায়ী সম্পর্ক বা অবস্থা। সাধারণত যৌন প্রবৃত্তিকে তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়ঃ বিপরীতকামী (বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ), সমকামী (সমলিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ) এবং উভকামী (উভয় লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ)।

মার্কিন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ আকাদেমি ২০০৪ এ পেডিয়াট্রিক্সে বলেন: “যৌন অভিমুখীতা সম্ভবত কোনো একটা কারণে নির্ধারিত হয় না, বরং তা জিনগত, হরমোনগত ও পরিবেশগত একাধিক কারণের সমষ্টিগত প্রভাবেরই ফল। সাম্প্রতিক দশকগুলিতে বিশেষজ্ঞেরা জীববিদ্যা ভিত্তিক তত্ত্বগুলি সমর্থন করেন। নানা প্রকার মানব যৌনতার উৎপত্তির ব্যাপারে প্রচুর বিতর্ক ও অনিশ্চয়তা থাকলেও এখনও এই ব্যাপারে বৈজ্ঞানিক প্রমাণ পাওয়া যায়নি যে অস্বাভাবিক সন্তানপালন, যৌন অত্যাচার বা অন্যান্য পীড়াদায়ক অভিজ্ঞতা যৌন অভিমুখীতাকে প্রভাবিত করে। বর্তমানে জ্ঞাত তথ্য বিশ্লেষণ করে বোঝা যায়, সাধারণত শৈশবের সূচনাতেই যৌন অভিমুখীতা নির্ধারিত হয়। (সূত্র ১)

মার্কিন মনোবিদ্যা সমিতি, মার্কিন মনোচিকিৎসক সমিতি এবং জাতীয় সমাজ সেবক সমিতি ২০০৬ এ একটি যৌথ বিবৃতিতে জানায়: “আপাতত একজন মানুষের সমকামী, বিপরীতকামী বা উভকামী হয়ে ওঠার পিছনে নির্দিষ্ট কী কী কারণ থাকতে পারে সেই ব্যাপারে, তথা সম্ভাব্য জৈবিক, মানসিক বা বাবা-মায়ের যৌন অভিমুখীতার ভূমিকার ব্যাপারে কোনো বৈজ্ঞানিক ঐকমত নেই। যদিও, উপস্থিত প্রমাণ থেকে এইটুকু বোঝা যায় যে প্রাপ্তবয়স্ক সমকামী জনসাধারণের মধ্যে অধিকাংশই বিপরীতকামী মা-বাবার সন্তান এবং সমকামী মা-বাবাদের সন্তানদের মধ্যে অধিকাংশই বড় হয়ে বিপরীতকামী হন”। (সূত্র ১)

সমকামিতা শব্দের উৎপত্তিঃ
১৮৬৯ সালে কার্ল মারিয়া কার্টবেরি সডোমি আইনকে তিরষ্কার করে ইংরেজিতে প্রথম ‘হোমোসেক্সুয়াল’ শব্দটি ব্যবহার করেন। পরবর্তীতে জীববিজ্ঞানী গুস্তভ জেগার এবং রিচার্ড ফ্রেইহার ভন ক্রাফট ইবিং ১৮৮০’র দশকে তাদের সাইকোপ্যাথিয়া সেক্সুয়ালিস গ্রন্থে হেটারোসক্সুয়াল ও হোমোসেক্সুয়াল শব্দ দুটো দ্বারা যৌন পরিচয়কে দুই ভাগে বিভক্ত করেন, যা পরবর্তীতে বিশ্বব্যাপী যৌন পরিচয়ের শ্রেণীবিভাজন হিসেবে ব্যাপক পরিসরে গ্রহণ করার হয়।

বর্তমানে হোমোসেক্সুয়াল শব্দটি মনোবিজ্ঞান এবং চিকিৎসাবিজ্ঞানে ব্যবহৃত হলেও ‘গে’ এবং ‘লেসবিয়ান’ শব্দদুটিও অধিক জনপ্রিয়। সাধারণভাবে গে শব্দটির দ্বারা পুরুষ সমকামীদের বোঝানো হয় এবং নারী সমকামীদেরকে বোঝানো হয় লেসবিয়ান শব্দটির দ্বারা। পশ্চিমে ‘গে’ শব্দটি সমকামী অর্থে প্রথম ব্যবহৃত হতে দেখা যায় সম্ভবত ১৯২০ সালে। তবে সেই সময় এটির ব্যবহার একেবারেই সমকামীদের নিজস্ব গোত্রভুক্ত ছিলো। মুদ্রিত প্রকাশনায় শব্দটি প্রথম ব্যবহৃত হতে দেখা যায় ১৯৪৭ সালে। লিসা বেন নামে এক মহিলা ‘Vice Versa: America’s Gayest Magazine’ নামের একটি পত্রিকা প্রকাশের সময় সমকামিতার প্রতিশব্দ হিসেবে ‘গে’ শব্দটি ব্যবহার করেন। আর লেসবিয়ান সাইটগুলিতে যেটা দাবী করে প্রচার করা হয়, ‘লেসবিয়ান’ শব্দটি এসেছে গ্রিস দেশের ‘লেসবো’ নামক দ্বীপমালা থেকে। খ্রীষ্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে স্যাফো নামে সেখানকার এক কবি/শিক্ষিকা নাকি মেয়েদের নিয়ে কাব্য রচনা করে ‘কবিতা উৎসব’ পালন করতেন। এইভাবে প্রথমদিকে লেসবিয়ান বলতে ‘লেসবো দ্বীপের অধিবাসী’ বোঝালেও, পরবর্তীতে নারীর সমকামিতার সাথে এটি যুক্ত হয়ে যায়।

LGBT/এলজিবিটি আসলে চারধরনের সেক্সুয়াল অরিয়েন্টেশনের একটা সংক্ষেপিত রুপ। এল – লেজবিয়ান, জি-গে, বি-বাইসেক্সুয়াল, টি-ট্রান্সসেক্সুয়াল। এর মধ্যে লেজবিয়ান ও গে হলো সমকামিতা, বাইসেক্সুয়াল হলো উভকামিতা এবং ট্রান্সসেক্সুয়াল (Transsexual) হলো রুপান্তরকামিতা। এলজিবিটি শব্দটার ব্যবহার শুরু হয়েছে বেশ আগে থেকেই, তবে পুর্বে এটাকে শুধু এলজিবি লেখা হতো, অর্থাৎ ট্রান্সসেক্সুয়াল তখনও যুক্ত হয়নি, ১৯৮৮ সালের দিকে এটি পরিপুর্ণ রুপ নিয়ে হয় এলজিবিটি।

১৯৭৮ সালের ২৫শে জুনে সানফ্রান্সিস্কোতে অনুষ্ঠিত “গে ফ্রিডম ডে প্যারেডে” তে এলজিবিটির প্রতিক হিসেবে বিভিন্ন রঙের স্ট্রাইপ দেওয়া পতাকা উড়ানো হয় – এটাই এখন এলজিবিটির রেইনবো ফ্ল্যাগ নামে পরিচিত। এই পতাকার ডিজাইন করেন, গিলবার্ট বেকার। বেকার এই পতাকায় মোট ৮টি রঙের স্ট্রাইপ ব্যবহার করেন যার প্রতিটি রঙের একটা নির্দিষ্ট অর্থ আছে। এই ৮টি রঙ হলো যথাক্রমে, গোলাপী, লাল, কমলা, হলুদ, সবুজ, ফিরোজা, নীল এবং বেগুনী; এবং এদের অর্থ যথাক্রমে যৌনতা, জীবন, সুস্থতা, আলো, প্রকৃতি, শিল্প, প্রশান্তি এবং আত্মা। একবছর পর ১৯৭৯ সালে গোলাপী এবং ফিরোজা রঙ বাদ দেওয়া হয়, ফলে এখনকার এলজিবিটি পতাকার রঙ ছয়টি। এই ফ্লাগটি এখন সারাবিশ্বের এলজিবিটিদের প্রতিক বা সমর্থন হিসাবে ব্যবহার করা হয়।

মানবজাতী ধ্বংস করার জন্য যে সকল চিন্তাচেতনার উদ্ভব হয়েছে তার মধ্যে সমকামিতা সবচেয়ে নিকৃষ্ট ধারণা। আধুনিক পাশ্চাত্য সমাজে সর্বপ্রথম এই সমকামিতা নিয়ে হইচই শুরু হয়ে মাত্র গুটি কয়েক ব্যক্তির হাত ধরে। শুরুতে এই প্রবৃত্তির মানুষের সংখ্যাও ছিল অনেক কম। এরা দাবী করে কিছু মানুষ জন্মগতভাবে সমকামী হয়। আজ পর্যন্ত এত কাড়ি কাড়ি টাকা পয়সা খরচ করেও এরা পিছনে কোন বৈজ্ঞানিক যুক্তি দাঁড়া করাতে পারে নি। যে সমস্ত তত্ত্বগুলি নিয়ে এরা মাঠে নেমেছিল, একে একে সবগুলিই ভুল এবং চরম অসত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে। তারপরও অনেকেই সমকামীদের কর্মকাণ্ডের পক্ষে মাঠে নেমেছেন এই অজুহাতে যে, তাদের যৌন অধিকার রক্ষা করতে হবে। এদের ভাবটা এমন যেন, কিছু চোরের চুরির অধিকার দিতেই হবে এবং নির্বিঘ্নে যেন এরা চুরি করতে পারে সেই জন্য দরকার পরলে, রাস্তার লাইটপোষ্টের সব বাতি নিভিয়ে দেওয়ার আন্দোলনও এদেরকে করতে দিতে হবে। অথচ গোটা কয়েক চোরের অনৈতিক এবং বিকৃত চিন্তার অধিকারের স্বীকৃতি দিতে গিয়ে গোটা মানবসভ্যতার অধিকার যে নির্মমভাবে পদদলিত হচ্ছে সেই ব্যাপারে এদের কোন বিকার নেই। এরা একবারের জন্যও ভাবে না যে, এদের পিতামাতা যদি সুশৃঙ্খল জীবনযাপন না করতো, এদের মতো বিকৃত রূচি নিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিতো, তাহলে এদের জন্ম নেওয়াটাই অসম্ভব ছিল! হায় সেলুকাস, কি বিচিত্র এদের মনোবৃত্তি।

পাশ্চাত্য দেশে কিভাবে বৈধতা পেল?


সমকামিতার বৈধতা নিয়ে কিছু খুব নোংরা বিষয় জড়িত ছিল। এবং এই বৈধতার সাথে মার্কিন রাজনীতিবিদরাও জড়িত ছিল। চরম সত্য হলো “Homosexuality is a Mental Disorder”। আপনি কি জানেন American Psychological Association (APA) ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত সমকামিতাকে শুধুমাত্রই “Mental Disorder” হিসেবে গণ্য করে এসেছে। এমন কি সাইকোলজির জনক বলে যাকে অভিহিত করা হয়, সেই সিগমন্ড ফ্রয়েডও সমকামিতাকে মানসিক রোগ হিসেবে চিকিৎসা করেছেন এবং কিছু সমকামী রোগীকে মানসিক চিকিৎসা করে সুস্থও করেছেন। APA কি না বুঝে, না জেনে এতদিন এটাকে Mental Disorder বলে গন্য করতো? হঠাৎ করে কেন APA তাদের মতামত হুট করেই পরিবর্তন করলো, সেটা আমাদের আগে জানতে হবে। ক্যালিফোর্নিয়ার সানফ্রান্সিস্কোতে চলছিল APA এর অধিবেশন। গে সাপোর্টাররা সেই অধিবেশনে ঢুকে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করে এবং সাইকিয়াট্রিস্টদের বিদ্রূপ-উপহাস করতে শুরু করে। তাদের নেতা Frank Kameny যিনি একজন সাইকিয়াট্রিস্ট না হয়েও সাইকিয়াট্রিস্টদের অধিবেশনে ঢুকে মাইক ছিনিয়ে নেন। তার মত ছিল, “সাইকিয়াট্রি হলো আমাদের মূর্তিকার শত্রু। সাইকিয়াট্রি আমাদের উপর নিষ্ঠুর যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা সাইকিয়াট্রির উপর যুদ্ধ ঘোষণা করছি।” পরবর্তীতে সমকামীদের ভোটের হিসাব করে তীব্র রাজনৈতিক চাপের মুখে APA সমকামিতাকে Mental Disorder এর লিস্ট থেকে বাদ দিতে বাধ্য হয়, তার স্বপক্ষে যথেষ্ট scientific evidence না থাকা সত্ত্বেও। (সূত্র ২) ১৯৭৩ সালে যুক্তরাজ্য মানসিক ব্যাধির তালিকা থেকে সমকামিতাকে বাদ দিয়েছে। ১৯৮৬ সালে সমকামিতা যে মানসিক ব্যাধি; এরকম সমস্ত তথ্যসুত্র মার্কিন মনস্তাত্ত্বিক সংগঠনের ডায়াগন্সটিক এন্ড স্ট্যাটিস্টিকাল ম্যানুয়াল অব মেন্টাল ডিসঅর্ডারের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। (সূত্র ১)


মানুষের মানসিক সমস্যা বা মনঃ বিকৃতি থাকতেই পারে। তার মানে এই না যে সেই বিকৃতিকে হ্যাঁ বলে দিতে হবে, তাদের কথা আমরা মেনে নিতে হবে। বরং সেই বিকৃতি কিভাবে আরোগ্য করা যায়, তাকে সুস্থ করা যায় তার পথ খুঁজতে হবে। আর যদি আরোগ্য লাভ সম্ভব নাও হয়, তাহলে ভবিষ্যতে অন্য কারও এমন না হয় বা এই রোগ মহামারি আকারে ছড়িয়ে না পরে সেই ব্যবস্থা নিতে হবে। উল্টো সঠিক চিকিৎসা না করে একে সমর্থন দেয়া যদি শুরু করা হয় তাহলে পরিস্থিতি কোন দিকে যাবে সেটা বর্তমান পাশ্চাত্য সমাজগুলিকে দেখলেই বুঝা যায়। ৭০ এর দশক থেকে যদি সমকামিতাকে রোগ হিসেবে অস্বীকার করা না হতো, তাহলে গত ৫০ বছরের বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রায় এতদিনে এর আরও ভালো কোন চিকিৎসা আবিস্কার হয়ে যেত। আজ সব সমকামীরা সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপনে ফিরে যেতে পারতো। সমস্যা সৃষ্টি হতেই পারে, একে অস্বীকার না করে সমস্যা হিসেবে মেনে নিয়ে জনসচেতনা বৃদ্ধি করে এর সুষ্ঠু চিকিৎসার ব্যবস্থা করাটাই হলো আসল কাজ।

সমকামীরা বিজ্ঞান বাদ দিয়ে অ-বিজ্ঞানের যেসব বিষয় নিয়ে এখন চিৎকার চেঁচামিঁচি করে, সেগুলির অন্তরালে কি আছে দেখুনঃ
১। সমকামীরা অনেক খোঁজাখুঁজি করে প্রকৃতিতে কিছু সমকামী প্রাণী/পশু নাকি আবিষ্কার করেছে! এটা ভুল কি ঠিক পরে যথাসময়েই নিদৃষ্ট জায়গায় আলোচনা করা হবে (এই বিষয়ে একটা পর্বই হবে)। যেহেতু প্রকৃতিতে সমকামী প্রাণী পাওয়া গেছে, তাদেরকেও সমাজে সমকামী মানুষ হিসেবে থাকতে দিতে হবে। কি আজব আবদার? মানুষ হলো আশরাফুল মখলুকাত, অর্থাৎ সৃষ্টির সেরা জীব। এদের দাবী মেনে নিয়ে আমরা তাহলে মনুষ্যত্ব ভুলে গিয়ে এইসব পশুদের কাছ থেকে এখন পশুত্ব গ্রহণ করবো? পশুরা তো সর্ম্পূণ নগ্ন কিংবা উলঙ্গ হয়ে ঘুরে বেড়ায়। সমকামীরা তাহলে সেটা করছে না কেন? কারণ এরা নিজেরাই নিজেদের কথা বিশ্বাস করে না। আমরাও চাই এরা পশুদের মতোই জীবনযাপন শুরু করুক। করলে বরং ভালোই হতো, কারা আসলেই মানুষ আর কারা মানুষের বেশে পশু সেটা সহজেই বুঝা যেত।

২। প্রকৃতিতে অনেক পশু তো নিজেদের বিষ্ঠাও খায়। এটা তাদের জন্য স্বাভাবিক ব্যাপার। তাই বলে মানুষও এদের দেখাদেখি নিজেদের বিষ্ঠা খাওয়া শুরু করবে? সমকামীরা যখন পশুদের মতো চলতে চায়, এরাও এটা শুরু করে দিক! এদের ভিতরের লুকায়িত পাশবিক প্রবৃত্তিগুলো পুরোপুরিই প্রকাশ হোক!

৩। পশুদের মাঝে জোরপূর্বক যৌন সঙ্গম স্বাভাবিক ব্যাপার। অনেকেই তারা হয়ত খেয়াল করেছেন, মোরগ অনেক সময়েই মুরগীর সাথে জোর করে যৌন সঙ্গম করে। তাহলে সমকামীদের দাবী অনুযায়ী সমাজের পুরুষদের এখন এই প্রাকৃতিক বিষয় অনুসরণ করা উচিৎ। কারণ প্রকৃতিতে যতগুলি সমকামী পশু রয়েছে, তার চেয়ে অনেকগুণ পশু রয়েছে যারা জোর করে স্ত্রীপ্রাণীদের সাথে যৌন সঙ্গম করে। শুকরের মত কিছু প্রাণী আছে যারা আবার স্ত্রীশুকরের সাথে যৌনসঙ্গম করার সময় আশেপাশের আরও কিছু পুরুষ শুকরকেও ডেকে নিয়ে আসে। যেটাকে সহজ ভাষায় বলে “গ্যাংরেইপ”। সমকামীদের প্রাকৃতিক যুক্তি যদি মেনে নিতে হয়, তাহলে আমাদের সমাজে “গ্যাংরেইপ” করার বৈধতাও দিতে হবে।

৪। সমকামীদের আরেকটা বড় দাবী হলো মানুষ নাকি শতভাগ স্বাধীন। আর তাই সবাইকে যা ইচ্ছে তাই করতে দিতে হবে। যার যেভাবে ইচ্ছে চলতে দিতে হবে। তাদের দাবী- আমাদের ইচ্ছে, তাই আমরা সমকামী/পায়ুকামী হিসেবে চলবো, কারণ এটা আমাদের স্বাধীনতা। এখন এই যুক্তি দেখিয়ে, “Rape is surprise sex” তকমা লাগিয়ে ধর্ষকরা ধর্ষণকে বিনোদন মনে করে, যখন ইচ্ছে করতে দেয়ার অধিকার চায় তখন কি হবে? ঘূষ খাওয়া, মদ খাওয়া কিংবা আগ্নেয়াস্ত্র রাখার অধিকারের কথা না হয় বাদই দিলাম!

৫। সমকামীরা দাবী করে সারা পৃথিবী জুড়েই এদের ব্যাপক বিস্তার আছে। কিন্তু পৃথিবীর যে কোন দেশের স্ট্যাটিসটিক্যাল ডাটা প্রমাণ করে শহর অঞ্চলে সমকামিতার প্রভাব এবং বিস্তার অনেকগুন বেশি। সমকামিতা যদি স্বাভাবিক হতো তাহলে শহর কিংবা গ্রাম সব জায়গাতেই এর অনুপাত সমান বা কাছাকাছি হতো। বাকি সবকিছু বাদ দিলেও এই তথ্যটাই প্রমাণ করে সমকামিতা স্বাভাবিক ও প্রাকৃতিক নয়, বরং এটা সুস্থ সাংস্কৃতিক ও সামাজিক পরিবেশ ধ্বংসের উদ্দেশ্য।

৬। মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইজরায়েল/জর্দানে সমকামিতার প্রচলন হয় কয়েক হাজার বছর আগেই, হযরত লুত (আলাহিস সালাম) এর আমলে। পবিত্র কুরআন শরীফ এবং খ্রীষ্টিয় বাইবেল এবং ইয়াহুদীদের তৌরাতে এটার উদ্ভব এবং পুরোপুরি ধংশ হবার কথা সুস্পষ্টভাবে লিখিত আছে। এখন এদের দাবী অনুযায়ী সমকামিতাকে যদি বৈধ করে দেয়া হয়, তাহলে সারা পৃথিবী তো আবার প্রাচীনযুগে পৌঁছে যাবে! এরা মানব সভ্যতার জয়যাত্রা থামিয়ে, পিছন দিকে ঠেলে পাঠিয়ে দিতে চায় কেন? কি এদের উদ্দেশ্য?

৭। সমকামীরা দাবী করে যেহেতু এটার প্রচলন অনেক প্রাচীনকাল থেকেই আছে, সুতরাং তাদের এই কাজের বৈধতা দিতে হবে। প্রাচীনকালে থেকে অনেক কিছুরই প্রচলন আছে। প্রতিটা ইব্রাহিমিক ধর্ম গ্রন্থে (পবিত্র কুরআন শরীফ এবং খ্রীষ্টিয় বাইবেল এবং ইয়াহুদীদের তৌরাত) বর্ণিত আছে হাবিল এবং কাবীল হযরত আদম (আলাইহিস সালাম) এবং বিবি হাওয়া (আলাইহিস সালাম) এর দুই পুত্র। এবং একটা মেয়ের জন্য কাবিল আপন ভাই হাবিলকে হত্যা করে ফেলে। এই পৃথিবীতে এটাই হল প্রথম হত্যাকান্ড। প্রাচীন দেখে সমকামিতাকে যদি বৈধতা দিতে হয়, তাহলে তো সবচেয়ে প্রাচীন দেখে হত্যাকান্ডকেও বৈধতা দিতে হবে!

৮। সমকামীরা এখন ভারতীয় সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতিদের রায় এনে দেখিয়ে বলে, “দেখুন একটা দেশের সর্ব্বোচ্চ আদালত নিশ্চয় ভালো মনে করেই একে বৈধ করেছে, আপনারা কেন এটাকে মানছেন না”? ভারতীয় আদালত কি ধরনের বির্তকিত রায় দেয় সেটার নমুনাগুলি দেখুন-
* ধর্ষণ মামলায় ভারতের মধ্যপ্রদেশ এবং তামিলনাড়ু রাজ্যের হাইকোর্ট নিজেদের রায়ে সালিশির ওপর জোর দিয়ে ধর্ষক ও ধর্ষণের শিকার নারীর মধ্যে মিটমাট করে নেবার কথা বলেছেন৷ যেমন ধর্ষিতাকে যদি ধর্ষক বিয়ে করে বা উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেয়, তাহলে ধর্ষকের শাস্তি অনেক লঘু করে দেয়া অন্যায় নয়! এবার বুঝুন ভারতীয় আদালত কি ধরনের রায় দেয়!
* বাবরী মসজিদ বিষয়ক মামলায় আদালত ওই জমিটিকে কোন প্রমাণ না থাকা সত্ত্বেও মুসলিমদের কাছ থেকে জোর করে কেড়ে নিয়ে সেখান থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। এটা কি ঠিক রায় হয়েছে?
* কিছুদিন আগে ভারতীয় সুপ্রিমকোর্ট রায় দেয়, ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সী স্ত্রীদের সাথে (বিয়ে পরেও) যৌনমিলন করলে তা ধর্ষণ হিসবে ধরা হবে! নিজের স্ত্রীর সাথে যৌন মিলন কিভাবে ধর্ষন হতে পারে যদি সেটা স্বেচ্ছায় হয়? আবার ভারতেই কিছু জাতিকে ১৫ বছর বয়সী মেয়েদেরকে বিয়ের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। গোঁজামিল কাহাকে বলে বলুন?
* ২০১৩ সালে সুপ্রিমকোর্ট এক রায়ে জানায়, সমকামিতা বৈধ নয়। ২০১৮ সালের রায়ে আবার বৈধ! তাহলে সুপ্রিমকোর্ট ২০১৩ সালে ভুল রায় দিয়েছিল, ২০১৮ তে ঠিক, নতুবা ২০১৩ তে ঠিক রায় দিয়েছিল, ২০১৮ তে ভুল! কোনটা ঠিক তাহলে? যেটা সমকামীদের পক্ষে যায়?
এখন নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিন ভারতীয় সুপ্রিমকোর্ট এই রায় প্রশ্নবিদ্ধ নয়?

৯) মানবজাতীর উদ্ভব কিংবা বিকাশের উদ্দেশ্য শুধু যৌনতা নয়। একটা সুষ্ঠু সমাজ কিংবা জাতী হিসেবে একসাথে বাস করা। কিন্তু সমকামীদের কর্মকান্ড দেখলে মনে হয় এদের জীবনে যৌনতা ছাড়া আর কোন কিছুই দরকার নেই। সমকামী পার্টনারের জন্য এর খুব সহজেই পরিবার, বাবা-মা, আত্মীয়-স্বজনকেও ত্যাগ করে নির্দ্বিধায় চলে যায়। এমন কি জন্মদাতা বাবা-মা’কেও ফেলে যেতেও কোন ইতস্ততঃ করে না? এরা কি আসলে মানসিক ভাবে পুরোপুরি সুস্থ?

সমকামীরা নিজেদের অনেক রোগের কথাই গোপন করে রাখে যেগুলি প্রকাশ পেলে সবাই সহজেই বুঝে ফেলতো এটা কখনই স্বাভাবিক সর্ম্পক হতে পারে না। নীচে দেখুনঃ-
* স্বাভাবিক যৌনাচারের চেয়ে সমকামিদের অবসাদ ও ড্রাগে আসক্তির সম্ভবনা প্রায় ৫০গুন বেশী। (সূত্র ৫)
* গবেষণায় দেখা গেছে সমকামীদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা ২০০গুণ বেশী। সমকামি পুরুষদের মধ্যে এই প্রবণতা আরও বেশী। (সূত্র ৬)
* সমকামী লেসবিয়ান, গে’দের মধ্যে নিজেদের ক্ষতি করার প্রবণতাও থাকে বেশী। (সূত্র ৭)
* সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোল ও প্রিভেনশন এর মতে সমকামীদের মধ্যে এইডসে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশী। ২০০৬ সালে এক জরিপে দেখা গেছে ৫৬০০০ নতুন এইচ আই ভি আক্রান্তের মধ্যে ৫৩% গে অথবা লেসবিয়ান। এইসব গে’দের মধ্যে যারা এইডসে আক্রান্ত তাদের মৃত্যুঝুঁকির হার বাকি এইডস আক্রান্তদের থেকে ১৩গুন বেশী। (সূত্র ৮)
* সমকামীতা সিফিলিস এর মত রোগ ছড়িয়ে পরার জন্যও ব্যাপকভাবে দায়ী করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটাতে ২০০৮ সালে সিফিলিস ৪০ভাগ বেড়ে যাবার কারণ উদঘাটনে যেয়ে সমকামিতার সম্পর্ককে দায়ী করা হয়। ২০০৮ সালে মিনেসোটার ডিপার্টমেন্ট অব হেলথ এ ১৫৯টি সিফিলিস এর ঘটনা পাওয়া যায়, এর মধ্যে ১৫৪টিই ঘটে পুরুষের মধ্যে আর এর মধ্যে ১৩৪ জনই আরেকজন পুরুষের সাথে যৌনক্রিয়া করেছে বলে স্বীকার করে। (সূত্র ৯)

অনেকেই সমকামিতা’কে অজাচারের সাথে তুলনা করেন। এই দুইটা কখনই এক নয়। অজাচার ঘটে অজ্ঞানতার কারণে কিংবা কামোত্তজনার বশে। কিন্তু সমকামিতা সর্ম্পূণ মানসিক সমস্যা যেটা শুধুমাত্র বিকৃতরূচির কারণেই তৈরি হয় এবং এটা হলো কারও নৈতিকতার দেয়াল পুরোপুরি খসে পরার পর নোংরা রূচির চরম বহিঃপ্রকাশ। আর কিছু কুৎসিত রূচির মানুষ নাস্তিকতা এবং মুক্তমনার নামে এটাকে নির্লজ্জভাবে সমর্থন দিয়ে যায়। একগাদা মিথ্যে তথ্য দিয়ে বই লিখে এর সমর্থন জানায়!

বিকৃত রূচির এইসব সমকামীরা এদের বিরুদ্ধে কিছু বললেই পাশ্চাত্য দেশগুলির উদাহরণ টেনে নিয়ে আসে। ভাবটা যেন এমন, পাশ্চাত্য দেশগুলির লোকজন সবসময় ঠিক কাজটাই করে। তাদের কোন কিছুই ভুল হতে পারে না। পৃথিবীর ইতিহাস কিন্তু এর ঠিক বিপরীত সাক্ষ্য দেয়। যে তামাকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করার জন্য WHO এখন ব্যাপক প্রচার চালাচ্ছে, সেই তামাককেই ইউরোপিয়ান ডাক্তাররা (১৫’শো শতকে) মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে ও ক্যান্সারের নিরাময়কল্পে সেবন করার পরামর্শ দিতেন। তাছাড়া আমেরিকান গৃহযুদ্ধের সময় তামাক চাষে উৎসাহ দান করা হতো, কারণ এই তামাক বিক্রির টাকা দিয়ে তারা ফরাসীদের কাছ থেকে নেয়া ঋণ পরিশোধ করতো। তামাক ব্যবসায়ীরাও তাদের ব্যবসাকে নির্ঝঞ্ঝাট রাখতে পেরেছিল শক্তিশালী লবিস্ট গ্রুপদের দ্বারা। সুযোগ বুঝে পাশ্চাত্য দেশগুলি এখন নিজেদের ভোল পাল্টে ফেলেছে। এদের সব কাজকে স্বতঃসিদ্ধ ভাবে মেনে নেয়া কখনই সঠিক কাজ হতে পারে না।

আপনি কি জানেন? বাংলাদেশের সংবিধানে সকল নাগরিকের ধর্মীয় ও সামাজিক অধিকার দেয়া হলেও নৈতিক অবক্ষয়ভিত্তিক যেকোন কিছুর উপর বিধিনিষেধ রয়েছে। ৩৭৭ ধারা মোতাবেক সমকামিতা ও পায়ুমৈথুন শাস্তিযোগ্য ফৌজদারি অপরাধ, যার শাস্তি দশ বছর থেকে শুরু করে আজীবন কারাদণ্ড এবং সাথে জরিমানাও হতে পারে। ৩৭৭ ধারা প্রকৃতিবিরুদ্ধ অপরাধ। কোন ব্যক্তি যদি স্বেচ্ছায় কোন পুরুষ, নারী বা পশুর সঙ্গে প্রকৃতির নিয়মের বিরুদ্ধে যৌনসঙ্গম করে, তবে তাকে আজীবন কারাদণ্ড দেয়া হবে, অথবা বর্ণনা অনুযায়ী নির্দিষ্টকালের কারাদণ্ড প্রদান করা হবে যা দশ বছর পর্যন্ত বর্ধিত হতে পারে, এবং এর সাথে নির্দিষ্ট অঙ্কের আর্থিক জরিমানাও দিতে হবে। এই ধারা ব্যাখ্যা হিসেবে বলা হয়েছে: ধারা অনুযায়ী অপরাধ প্রমাণে শুধুমাত্র যৌনসঙ্গমের প্রয়োজনীয় প্রমাণ হিসেবে লিঙ্গপ্রবেশের প্রমাণই যথেষ্ট হবে। ৩৭৭ ধারার ব্যাখ্যায় পায়ুসঙ্গমজনিত যেকোন যৌথ যৌন কার্যকলাপকে এর অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। একারণে, পরস্পর সম্মতিক্রমে বিপরীতকামী মুখকাম ও পায়ুমৈথুনও উক্ত আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে গণ্য করা হবে।

এর পরের পর্বঃ সমকামি এজেন্ডার গোপন ব্লু-প্রিন্ট

সূত্রঃ
১। https://bn.wikipedia.org
২। Homosexuality and American Psychiatry: The Politics of Diagnosis (1981) by Ronald Bayer; Princeton University Press;
৩। http://oporajitabd.com/
৪। http://lostmodesty.com/
৫। Click This Link
৬। Click This Link
৭। Click This Link
৮। Click This Link
৯। Click This Link

সবাইকে ধন্যবাদ ও শুভ কামনা রইল।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত@ নীল আকাশ, ডিসেম্বর ২০১৯
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৪৭
১০টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×