somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নষ্ট সমাজ ব্যবস্থা ৯ঃ নারীবাদীদের মুখোশ উন্মোচন!

০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:১৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



দেশের কিছু কিছু মানুষের মানসিক সংকীর্ণতা দিন দিন প্রকট হয়ে উঠছে। স্বার্থের প্রয়োজনে মুহূর্তেই সাদা’কে কালো বলতেও এখন আর বিন্দুমাত্রও দ্বিধা করে না।

কয়েকদিন আগেই সোশাল মিডিয়াতে বোরকা পড়া এক মা নিজের সন্তানের সাথে ক্রিকেট খেলছে, এমন একটা ছবি নিয়ে তুলকালাম কান্ড ঘটে গেল। খুব তুচ্ছ একটা বিষয় নিয়ে এত হাউকাউ করার কোন কারণই ছিল না, কিন্তু তবুও তাই হয়েছে। কারণ ক্রিকেট খেলার সময় এই মায়ের বোলিং করা একটা বল সম্ভবত স্ট্যাম্পের দিকে না যেয়ে রিভার্স সুইং করে তথাকথিত সুশীল, নাস্তিক, ভন্ড নারীবাদী সবার ডাইরেক্ট মিডল স্টাম্পে গিয়ে হিট করে সরাসরি বোল্ড আউট করে দিয়েছে। তাই এদের গলা ফাটানো চিল্লাচিল্লির জ্বালায় সোশাল মিডিয়ায় টেকা দায় হয়ে গেছে।

ঘটনা খুব নগণ্য একটা বিষয়। রাজধানী ঢাকায় পল্টন এলাকার একটি মাঠে সন্তানের সঙ্গে বোরকা পরিহিত মা ঝর্ণা আক্তারের ব্যাট ও বল করার কিছু ছবি জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পর সেগুলো সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া ছবিগুলি নিয়েই বিবিসি বাংলা’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ঝর্ণা আক্তার বলেছেনঃ
-“আমার ছেলেটা তো মাদ্রাসায় পড়ে। ওখান থেকে আমি বিকেল চারটা বাজে নিয়ে আসি। আমি ওকে কাজী নজরুল একাডেমিতে ভর্তি করে দিয়েছি। সেদিন আমি মাঠে আগে চলে আসছিলাম। তখন বাচ্চা ইয়ামিন বলতেছে যে, আম্মু তুমি ব্যাটিং কর, আমি বোলিং করি।”
-“আমিও তো খেলোয়াড়। আমি অ্যাথলেটিক্স খেলতাম। ধানমন্ডি ক্রীড়াতে আমার ইভেন্ট ছিল জ্যাভলিন থ্রো, হাই জাম্প, লং জাম্প। ডিসট্রিক্ট চ্যাম্পিয়ন ছিলাম”।
-“এটা বোঝা উচিত, একজন সন্তান যখন আবদার করে তখন একটা মা কিন্তু সবধরনের আবদার রাখতে চেষ্টা করে। আমি বোরকা পরা দেখে সন্তানের আবদার আমি রাখবো না এটা কি হয়? আমি বোরকা কেন আরও যদি ডবল ডবল বোরকা পরতে হয় তারপরও আমি সন্তানের কথা রাখবো। সন্তানের আনন্দ আমি দিয়ে যাব। এজন্যই আমি মা”।

করোনাকালীন সময়ে সারাদেশে এত জটিল সব সমস্যা এবং ঘটনা থাকতে এই তুচ্ছ একটা বিষয় নিয়ে সুশীল, নাস্তিক ভন্ড নারীবাদীরা নিজেদের শীতনিদ্রা থেকে এক লাফ দিয়ে উঠে হঠাৎ এত ক্ষেপে গেল কেন?


সারাদেশে প্রায় প্রতিদিন মেয়েদের ধর্ষন, নারীবাদী এক নেত্রীর দ্বারা আরেক মেয়েকে ধর্ষনে সহায়তা করা, নারী নির্যাতন, যৌন হয়রানী কত রকমের ঘটনা ঘটে চলেছে। কই এদের তো তখন হারিকেন দিয়েও খুঁজে পাওয়া যায় না? এরা এখন কোথায়?

সরকার দলীয় ছাত্র সংঘটনের ছেলেরা যখন সারাদেশে ইচ্ছেমতো ধর্ষনের মহড়া দিয়ে বেড়াচ্ছে তখনও এরা চুপ, মুখে কুলুপ এঁটে বসে থাকে। যেন চেতনাবাজ ধর্ষকরা হচ্ছে এদের সবার ভাসুর, নাম মুখে নেয়াও মহাপাপ!

ঝর্ণা আক্তার একজন মা। উনি শাড়ি পরলেও মা, বোরকা পরলেও মা। একজন মা’কে ভিন্ন কোন দৃষ্টিতে দেখার কিছু নেই। কেউ যদি দেখে তাহলে সেই পার্থক্য তার অসুস্থ চিন্তায় এবং ঘুঁণে ধরা মগজে। সন্তানের সাথে খেলার সময়ে একজন মা কি পোশাক পরে আছেন সেটা নিয়ে কিছু মানুষের এত মাথাব্যাথা কেন? উনি কি পরবেন সেটা একান্তই তার ব্যাপার, তার ব্যক্তি স্বাধীনতা। সন্তানের আবদার রাখতেই খেলতে নেমেছেন উনি সন্তানের সাথে। খেলার সাথী হিসেবে মাকে পেয়ে সেই সন্তান কতটা উচ্ছ্বসিত সেটা এরা দেখলো না কেন? আমরা যেখানে দেখছি মা এবং সন্তানের আনন্দের ঝিলিক, সেখানে এই বিকৃতমনা মানুষরা খুঁজে বেড়াচ্ছে উনার পোষাকের মাঝে নোংরামি।

প্রতিদিন দেশের সেলফীবাজ’রা, টিকটিক’রা, মডেল’রা, নায়িকা’রা অর্ধউলঙ্গ হয়ে অশালীন সব পোশাক পরে শত শত নোংরা ছবি সোশাল মিডিয়াতে আপলোড করছে। কই এদের’কে তখন এইবিষয় নিয়ে কিছুই বলতে দেখা যায় না। কেন দেখা যায় না এবং কি তাদের গোপন এজেন্ডা সেটাই আসল বিষয়। এখানে ঝর্ণা আক্তার কোন ফ্যাক্টর না, এদের আসল সমস্যা হচ্ছে বোরকা। বোরকা দেখেই এদের সবার পিত্তি জ্বলে যাচ্ছে।

দেখুন এই তথাকথিত নারীবাদীর কে কি বলেছে?


এখানে বড় ধাপ্পাবাজি আছে। সালমা কিংবা জাহানারা’রা প্রফেশন্যাল প্লেয়ার। এদের সাথে ঝর্ণা আক্তারের কেন তুলনা আসছে? সুন্দর নিয়ে বিভ্রান্তির কি আছে? তোমাদের মতো গ্রুমিংয়ে যেয়ে গায়ের কাপড় খোলা শিখে এসে ঝর্ণা আক্তার তো সুন্দরী প্রতিযোগীতার জন্য মডেলিংয়ে নেমে হাফ ন্যাকেড ফটোসেশনও করছে না। এর মধ্যে অসৌন্দর্যের কি আছে? স্পষ্ট করে বলো, নগ্নতাই তোমাদের কাছে সৌন্দর্যের চাবিকাঠি!

ফোকাসড বলতে কি বুঝাচ্ছে এই মুনমুন’রা?
এতদিন তো গলা ফাটিয়ে বলে বেড়াতো বোরকা পরলে আর কোনকিছুই করা সম্ভব না। যখন এক মা তাদের সমস্ত মিথ্যাচারের মুখোশ উন্মোচন করে দেখিয়ে দিয়েছে ইচ্ছে থাকলে, সন্তানের জন্য ভালোবাসা থাকলে বোরকা পরেও ক্রিকেট খেলা যায়। তখন এদের মাথা খারাপ অবস্থা!
ঝর্ণা আক্তার’কে দেখে বাকি মেয়েরাও যদি এভাবে বোরকা পড়ে খেলতে নেমে যায়, তাহলে তো নারীবাদের নামে কাপড় খুলে বেড়ানো, নষ্টামী করে বেড়ানো, দশঘাটে জল থেকে বেড়ানো মেয়েগুলির সাড়ে সর্বনাশ!
ফোকাসড সরে গেলে ধাপ্পাবাজির তো গোমর তো ফাঁস হয়ে যাবে, ভয় তো এখানেই!


উনি শালীন পোশাক পরা মায়ের পোশাকের মাঝে বাংলাদেশী মাকে খুঁজে পান নি। কিন্তু অর্ধ উলঙ্গ, অন্তর্বাসের ফিতা বের করে ঘুরে বেড়ানো, শুধুই অন্তর্বাস পরে বয়ফ্রেন্ডদের কাছে ছবি পাঠানো, অশালীন পাশ্চাত্য পোশাক পরা, উন্মুক্ত শরীর দেখিয়ে বেড়ানো মেয়েদের মাঝে ঠিকই বাংলাদেশীত্ব খুঁজে পান, পাওয়াটাই স্বাভাবিক। লেজকাটা শিয়ালের গল্প তো জানেন সবাই! এরা হচ্ছে সবাই লেজ কাটা শিয়াল। এত বছর আকাম কুকাম করে নিজের চরিত্র তো এখন অধঃপতনের শিকায় তুলেছে, মেনোপজ পার হয়ে যাওয়ার পর দরদাম এখন এতটাই নিন্মমূখী যে আতংকে এখন দিনাতিপাত করে, নিজেদের মতো আরো কিছু মেয়েদের লেজ কাটতে চায়, দলে ভিড়াতে চায়, নিজেদের দল ভারী করতে চায়!
মেয়েরা শালীন পোশাকের দিকে ঝুকে পরলে নিজেদের মতো নতুনদেরও লেজ কাটবে কিভাবে? এরা খ্যাপবে না তো কে খেপবে?


এর মন্তব্য পরার পর সুই আর চালুনীর কথোপকথন মনে পড়ে গেল। চালুনী একদা সুই’কে ডেকে বলে, ওহে সুই তোমার পশ্চাদেশে একখানা ছিদ্র দেখা যায় বাহে? নিজের ঈমানের কোন ঠিক নাই, উনি এসেছেন ইসলাম উদ্ধার করতে! ইসলামের ইজ্জত আব্রু তোমাদের মতো ইসলামী নামধারী বেহায়া নির্লজ্জ বেশরমদের হাতেই লজ্জিত হয়, শালীন পোশাক পরা মেয়েদের দ্বারা নয়।

মা এবং ছেলের খেলার এই দৃশ্যে আমরা দেখতে পাচ্ছি মায়ের ভালোবাসা এবং সন্তানের উচ্ছ্বাস। আর এই মেয়ে এসেছে চোখে কৃত্রিম ইনফ্রারেড লেন্স লাগিয়ে মন্তব্য করতে। ওহে নির্বোধ নারী, তোমাদের মতো অসভ্য, ইতর, নোংরা মনোবৃত্তির লোকজন যেন একটা ভদ্র এবং শালীন নারীর স্তন, নিতম্ব, উদর না দেখতে পায় সেজন্যই বোরকা পড়ে মেয়েরা।
তোমাদের মতো যত্রতত্র গায়ের কাপড় খুলে গতর দেখিয়ে বেড়ানো মেয়েরা সেটার মর্ম বুঝবে কিভাবে?


এর পোশাক দেখা এবং কথাগুলি শুনার পর একে কার অশালীন ভাষায় গালি দিতে ইচ্ছে করবে না?
একজন পাগলও গায়ের পোশাক ছিড়ে গেলে আরেকটা গায়ে চাপায় গতর ঢাকার জন্য। আর এই চীজ নিজেই গতর খুলে খুল্লামখুল্লা হয়ে পোজ দিচ্ছে নিজের রেট বাড়ানোর জন্য। ঝর্ণা আক্তার তার পোশাক এবং আচরনের জন্য মাশাল্লাহ/আলহামুদিল্লাহ শুনেছে, ইনশা আল্লাহ সারাজীবনই শুনবেন। কিন্তু তোমাকে সারাজীবনই বেশ্যা খানকি ইত্যাদি নামই শুনে শুনে যেতে হবে। এমনকি মরার পরেও তোমার কবর দেখিয়েও মানুষ বলবে এখানে একটা বেশ্যা খানকি শুয়ে আছে। এর চেয়ে ভালো কোন নাম তোমার ইহকালে যেমন জুটে নি, মরার পরেও জুটবে না সুনিশ্চিত!

নিজেকে একজন সস্তা দরের বেশ্যা হিসেবে পরিচয় দিতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধী মেহরানের কাছে পর্দানশীন ঐ ভদ্রমহিলার পোশাক দেখে বাঙালি মনে হয় নাই, মনে হয়েছে আফগানি মা। মূর্খ মহিলার কাছে প্রশ্ন করা উচিৎ, বাঙালি পোশাক বলতে আসলে সে কি বুঝে? তার জানা উচিত, তার দাদার দাদার আমলের আগে থেকেও এইদেশের মেয়েরা ঘর থেকে বের হবার সময় সম্পূর্ণ পর্দার সাথেই বাইরে যেতো।

বর্বর যুগে মানুষ ছিলো নগ্ন, উলঙ্গ। ধীরে ধীরে যখন লজ্জা শরমের চিন্তা মাথায় আসলো, তখন মানুষ পোশাক পড়া শুরু করলো। এইসব ভণ্ড নারীবাদীদের তত্ত্ব অনুসারে নগ্নতাই যদি আধুনিকতা হয়, তাহলে বলতে হবে সবচেয়ে আধুনিক ছিলো ঐ বর্বর যুগের মানুষরা, আর এইসব নগ্ন অসভ্যদের সেই যুগেই পাঠিয়ে দেয়া দরকার!

এইসব ভণ্ডদের আসল সমস্যা হচ্ছে (মুখোশ খুলে যাবে সেই ভয়ে যেটা এরা লিখতে পারছে) ঝর্ণা আক্তার কেন সারা পৃথিবীতে এত ধরণের মেয়েদের পোশাক থাকতে শুধুমাত্র বোরকা পড়েই ক্রিকেট খেলতে গেল?

উনি বিকিনি পড়ে, সুইমস্যুট পড়ে কিংবা মিনি স্কার্ট পড়ে খেলতে গেল কোন সমস্যাই হতো না।
এরাই তখন সবার আগে পিঠ চাপড়ানো মন্তব্য দেয়া শুরু করতো, নতুন আরেকটা শিয়ালের লেজ নিজেদের মতো কাটা গেছে এই মহাআনন্দে।

এদের দাবী বোরকা পরে ক্রিকেট খেলার জন্য দেশ নাকি দেশটা পাকিস্তান, আফগানিস্তান হয়ে গেছে। দেশের জাত গেছে, দেশীয় খেলার জাত গেছে। কবে থেকে ক্রিকেট আবার এই দেশীয় খেলা হয়ে গেল যে এটার দেশীয় জাত যাবে?

একটা মেয়ে বোরকা পড়ে ক্রিকেট খেলবে নাকি শাড়ি পড়ে খেলবে সেটার সার্টিফিকেট কি এদের কাছ থেকে নিতে হবে নাকি? বোরকা যদি অন্যদেশীয় পোশাক হয় তাহলে, তোমার শার্ট প্যান্ট টপস পরো কিভাবে? কোন যুগে এইসব পোশাক আমাদের দেশীয় পোশাক ছিল?

তোমরা নারীবাদের তকমা গায়ে লাগিয়ে ঘুরে বেড়াও, ঘোষণা দিয়ে সব মেয়েদের ব্যক্তি স্বাধীনতা চাও? ঝর্ণা আক্তার তার পছন্দের পোশাক পরেছে। উনার পোশাক নিয়ে তোমরা যে ক্রমাগত রুচিহীন কথা বলে বেড়াচ্ছ তাতে উনার ব্যক্তি স্বাধীনতা ক্ষুন্ন হয় না? তুমি নাস্তিক এটা যেমন তোমার অধিকার, ঝর্ণা আক্তার যদি ধর্মান্ধও হয়ে থাকেন সেটাও তার অধিকার।

নারীবাদী এই মানুষগুলি দেখা যায় সব কিছুতেই নারীবাদীতা টেনে আনে। এদের সমস্যা হলো সবকিছু নিয়েই এরা বড় আক্রমণাত্মক। এরা আদতে ভূয়া নারীবাদী ও চরম লেভেলের মিথ্যুক। কারন, তারা উচ্চ কন্ঠে সব জায়গায় বলে বেড়ায় যেকোন ধরণের পোষাক পরা নারীর অধিকার। টপস জিন্স পরা যদি তোমাদের অধিকার হয়ে থাকে, তাহলে বোরকাও ঝর্ণা আক্তারের অধিকার।

যৌন স্বেচ্ছাচারিতা, অর্ধউলঙ্গ হয়ে ঘোরা, এবং রাস্তার পাশে বসে মূত্র বিসর্জন করার অধিকার মানেই নারীবাদ না। নারীবাদ হল পুরুষ এর সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একসাথে চলা। পুরুষ এবং নারীর সম-অধিকারের ধারণা থেকে নারীবাদ এর উৎপত্তি। নারীবাদ নারীর ক্ষমতায়নের কথা বলে। ক্ষমতার অপব্যবহারকে সমর্থন করে না। নারীবাদ মানে সামাজিক সবকাজে নারীর অবাধ বিচরণের সুযোগ সৃষ্টির মাধম্যে লিঙ্গবৈষম্য দূর করে সমাজে ভারসাম্য নিয়ে আসা। সস্তা নোংরামী, অশালীন পোষাক পরে খিস্তি খেউরি করে বেড়ানো কোন কালেই নারীবাদ ছিল না, ভবিষ্যতেও হবে না। এইগুলিকে বলে বেশ্যামী, যা এইদেশের নারীবাদী মেয়েরা অহরহই করে বেড়াচ্ছে। দুমুখো সাপের মতো একেক জায়গায় একেক কথা বলে, নারীবাদী তকমা গায়ে লাগিয়ে, খুব বেশিদিন এরা দেশের মানুষকে ধোঁকা লাগিয়ে মানসিক ও শারীরিক বেশ্যাবৃত্তি করে বেড়াতে পারবে না!



পৃথিবীতে অসংখ্য মায়ের মতো ঝর্ণা আক্তারও একজন মা, যিনি সন্তানের সঙ্গে খেলার আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন। বোরকা কিংবা সামাজিক কোন ট্যাবুই তাকে সন্তানের সঙ্গে খেলাধূলাকে আটকিয়ে রাখতে পারেনি। একজন মা তার সন্তানের সঙ্গে খেলছেন, এই দৃশ্য পৃথিবীর কোন মানুষকেই আন্দোলিত না করে পারবে না। একজন মা বোরকা কিংবা আফ্রিকার জুলুদের পোশাক যাই পরুক না কেন, পোশাক এখানে কোনভাবেই বিবেচ্য বিষয় নয়। বিবেচ্য মার্তৃস্নেহ ও সন্তানের সঙ্গে মায়ের সাবলিল ভালোবাসার সম্পর্ক। পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর, সবচেয়ে মহিমান্বিত দৃষ্টান্ত হলো মা এবং ছেলের ফ্রেমবন্দী এই খেলার ছবিটা।

মা ও সন্তানের অকৃত্রিম ছবিকে যারা কৃৎসিত বলে, নোংরা ভাষায় কটাক্ষ করে, তাদের চিনে রাখুন। এরাই পৃথিবীর সবচেয়ে কুৎসিত মানুষ, সবচেয়ে হিংস্র মানুষ। তাদের হৃদয়ে ভালোবাসার কিংবা মাতৃপ্রেমের চাষাবাদ হয় না।

এইসব কুৎসিত নারীবাদীরা প্রকৃতপক্ষে একেকজন মানুষরূপী রাক্ষস।
কারণ শুধু রাক্ষসদের হৃদয়েই ভালোবাসা থাকে না, থাকে হিংসুটে নরমাংসলোভী একটা সত্ত্বা!

সবাইকে ধন্যবাদ ও শুভ কামনা রইল।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত @ নীল আকাশ, অক্টোবর ২০২০

সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:২৭
৩১টি মন্তব্য ২৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছায়ানটের ‘বটমূল’ নামকরণ নিয়ে মৌলবাদীদের ব্যঙ্গোক্তি

লিখেছেন মিশু মিলন, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



পহেলা বৈশাখ পালনের বিরোধীতাকারী কূপমণ্ডুক মৌলবাদীগোষ্ঠী তাদের ফেইসবুক পেইজগুলোতে এই ফটোকার্ডটি পোস্ট করে ব্যঙ্গোক্তি, হাসাহাসি করছে। কেন করছে? এতদিনে তারা উদঘাটন করতে পেরেছে রমনার যে বৃক্ষতলায় ছায়ানটের বর্ষবরণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

বয়কটের সাথে ধর্মের সম্পর্কে নাই, আছে সম্পর্ক ব্যবসার।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৫০


ভারতীয় প্রোডাক্ট বয়কটটা আসলে মুখ্য না, তারা চায় সব প্রোডাক্ট বয়কট করে শুধু তাদের নতুন প্রোডাক্ট দিয়ে বাজার দখলে নিতে। তাই তারা দেশীয় প্রতিষ্ঠিত ড্রিংককেও বয়কট করছে। কোকাকোলা, সেভেন আপ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানুষের জন্য নিয়ম নয়, নিয়মের জন্য মানুষ?

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৭



কুমিল্লা থেকে বাসযোগে (রূপান্তর পরিবহণ) ঢাকায় আসছিলাম। সাইনবোর্ড এলাকায় আসার পর ট্রাফিক পুলিশ গাড়ি আটকালেন। ঘটনা কী জানতে চাইলে বললেন, আপনাদের অন্য গাড়িতে তুলে দেওয়া হবে। আপনারা নামুন।

এটা তো... ...বাকিটুকু পড়ুন

একজন খাঁটি ব্যবসায়ী ও তার গ্রাহক ভিক্ষুকের গল্প!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৪


ভারতের রাজস্থানী ও মাড়ওয়ার সম্প্রদায়ের লোকজনকে মূলত মাড়ওয়ারি বলে আমরা জানি। এরা মূলত ভারতবর্ষের সবচাইতে সফল ব্যবসায়িক সম্প্রদায়- মাড়ওয়ারি ব্যবসায়ীরা ঐতিহাসিকভাবে অভ্যাসগতভাবে পরিযায়ী। বাংলাদেশ-ভারত নেপাল পাকিস্তান থেকে শুরু করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×