সামহোয়্যার ইন... দায়িত্বশীল স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। আমরা ব্লগার’রা কারো বাক বা চিন্তা স্বাধীনতার পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে চাই না। চিন্তার সংঘাত কিংবা সমালোচনা একটি ব্লগিং কমিউনিটিতে থাকতে পারে কিন্তু যখন এই সংঘর্ষ, চিন্তা কিংবা আদর্শের গন্ডী পেরিয়ে সংঘর্ষে রূপ নেয় তখন আর তা সুস্থ পরিবেশের পরিচায়ক হয় না।
ধর্ম হচ্ছে বিশ্বাস। পবিত্র বিশ্বাস। কেউ বিশ্বাস করেন, আবার কেউ করেন না। যারা বিশ্বাস করেন তারা আস্তিক এবং যারা বিশ্বাস করে না তারা নাস্তিক। এই দুইটা সহনশীল গ্রুপের ঠিক মাঝখানে একদল সুবিধাবাদী ধান্দাবাজ সম্প্রদায় আছে, যাদের প্রধান কাজ হচ্ছে যেকোন একটা দলের পরিচয় নিজের কাঁধে নিয়ে গোপনে অন্যকোন উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে ব্যস্ত। এরা হচ্ছে মানসিকভাবে হিজরা সম্প্রদায়, নপুংশক চিন্তাধারার। এরাই সমাজে অসুস্থ চিন্তাধারার ধারক এবং বাহক। এদের প্রধান কাজ হচ্ছে যেকোন একটা সুনির্দিষ্ট ধর্মকে কুতসিত ভাষায় আক্রমণ করে গোপণে ফায়দা লোটার চেষ্টা।
উদ্দেশ্যঃ আর কিছুই না, পাশ্চাত্যের ভিসা যোগাড় করা অথবা টুপাইস কামানো। অতীতে ব্লগে এইসব অনেক অনেক দেখা গেছে। এই নির্বোধগুলি মনে করে এরা যা যা করে বেড়াচ্ছে সেটা আর কেউ টের পাবে না।
অনেকটাই কাকের মতো, যখন এরা সাবান চুরি করে অন্যকোথাও লুকায়।
এদের এইসব নোংরা কাজের একটা প্যাটার্ণ আছে।
এরা অন্যকোন বিষয়ের অবতারণ করে যেন কেউ প্রথমেই বুঝতে না পারে।
কিন্তু লেখার বিষয়বস্তু সম্পূর্ণ ভিন্ন হয়। এদের প্রথম এবং প্রধান টার্গেট হচ্ছে ধর্ম, বিশেষ করে ইসলাম ধর্ম।
যখন এদের এইসব পোস্টের লেখার বিষয়বস্তু নিয়ে কেউ প্রতিবাদ করে, মিথ্যা লেখার কারণ জানতে চায়; তখন চোরের মতো সব মন্তব্য ডিলিট করে দেয়। এমন কি খোদ মডারেটরের মন্তব্যও ডিলিট করে দেয়।
অথচ ব্লগ হচ্ছে আলোচনার জায়গা। গঠনমূলক আলোচনা বা সমালোচনার জায়গা। কিন্তু এইসব চোর ব্লগার’রা বর্ণচোরা, কুতসিত মানসিকতার। এরা ব্লগারদের প্রশ্নের উত্তর দিতে ভয় পায়। কারণ উত্তর দিলেই সবার কাছে ধরা পরে যাবার সম্ভাবনা থাকে, আসল মুখোশ উন্মোচনের সম্ভাবনা থাকে!
আরো নোংরা ব্যাপার হচ্ছে এইসব নপুংশক ব্লগাররা নিজের ধর্ম বাদ দিয়ে অন্য ধর্মকেই আক্রমণ করে বেশি। নিজের চারিত্রিক এবং ধর্মীয় পরিচয় লুকিয়ে রাখে যেন সাধারণ মানুষ বিভ্রান্ত হয়। এরা মিথ্যুক, সদা সত্য অবলেপণই এদের আসল কাজ।
বিগত দুইদিন আগের ঠিক এইরকম একজন ব্লগার খুঁজে পাওয়া গেল-
ব্লগার অদ্বিতি
সাথে তার অসুস্থ চিন্তাভাবনার পোস্টঃ
ভাস্কর্য বনাম মূর্তি - অদ্বিত এর বাংলা ব্লগ
এই পোস্টের হেডিং হচ্ছে “ভাস্কর্য বনাম মূর্তি” অথচ পোস্টের প্রায় সব লেখাই হচ্ছে ইসলাম বিদ্বেষী। তাকে এইসব লেখার কারণ জিজ্ঞেস করলেই মন্তব্য ডিলিট করে দেয়। ব্লগের সবার কাছে ধরা পড়ে যাবার ভয়ে এই পোস্ট গায়েব করে দেয়ার সমূহ সম্ভাবনা আছে। তাই ব্লগের সম্মানিত ব্লগারদের জন্য কিছু অংশ এবং সেটা নিয়ে ব্লগারদের মন্তব্য তুলে দিলামঃ
১) কোরআন কি সত্যিই আল্লাহর বাণী? আল্লাহ কি সত্যিই আছে? থাকলে প্রমাণ কি?
>তাকে যখন প্রমান দেয়ার জন্য কেউ মন্তব্য করে দেখামাত্রই সেগুলি ডিলিট। কোন রকম যুক্তি তর্কে সে আসবে না। এমন কি শ্রদ্ধেয় মডারেটর তাকে এই প্রমাণ নিয়ে দুইটা মন্তব্য করেছিল সেইগুলিও সে ধরা পড়ে যাবার ভয়ে ডিলিট করে দিয়েছে।
২) আরিফ আজাদ, তুই পূজা করিস না, নিজে পৌত্তলিক হইস না। অন্যদের পৌত্তলিক হতে বাধা দিবি কেন?
>একজন লেখক’কে তুই তোয়াক্কিরি করে অবজ্ঞা করে লেখা দেখে সম্মানিত একজন ব্লগার মেহেদি_হাসান. প্রতিবাদ করে ভদ্র ভাষায় সর্তক করে বলেছেঃ
-আরিফ আজাদ একজন সম্মানিত লেখক তার অগণিত পাঠক আছে আপনি তাকে তুই তোকারি করে কথা বলতে পারেন না। ধর্ম নিয়ে পরে কথা বলতে আসবেন আগে অন্যকে সম্মান দিতে শিখুন।
প্রতি উত্তরে সে বললোঃ
-কিন্তু আরিফ আজাদ কোন ব্যক্তি নয়, কিভাবে তাকে সম্মান করি ? তার কোন ব্যক্তিত্ব নাই। আরিফ আজাদ কাদের কাছে সম্মানিত ? একজন রামছাগল অন্য ছাগলদের কাছেই সম্মানিত হয়, মানুষের কাছে নয়। আরিফ আজাদের চেয়েও জাকির নায়েক বেশী সম্মানিত। তো ? তাই বলে কি জাকির ভাইকে জোকার বলব না ?
৩) বাংলাদেশ কেন ইসলাম মেনে চলবে ?
>ইসলাম বাংলাদেশে বৃহত্তম ধর্ম। এখানকার প্রায় ৮৮.২% লোক ইসলাম ধর্মাবলম্বী। যেই নির্বোধ কোন দেশের ৮৮.২% মানুষ ইসলাম ধর্মের হবার পরেও এইসব প্রশ্ন তুলে, তার আসল উদ্দেশ্য কি সেটা বুঝতে কারো কষ্ট হবার কথা না!
৪) মূর্তিকে হালাল বানানোর জন্য আমরা ইসলামকে বাদ দিই। রাষ্ট্র যেহেতু ধর্মহীন হওয়া যাবে না, কাজেই ইসলাম বাদে বাকি সব ধর্ম আমরা রেখে দিই। কেমন?
> এটাই হচ্ছে আসল কথা। গাত্রদেহ শুধু ইসলাম নিয়ে। অন্যকোণ ধর্ম নিয়ে এর সমস্যা নেই। যত সমস্যা এর ইসলাম নিয়ে।
এর এই লেখা পড়ে এবং অন্যসব পোস্ট পড়ার যথেষ্ট সন্দেহ হচ্ছে সে মুসলিম না।
কেউ মুসলিম না হয়ে ইসলাম’কে নিয়ে এইধরণের লেখা চরম ধৃষ্টতার সামিল।
আমরা মুসলিম। কই আমরা কি হিন্দু বা সনাতন ধর্ম নিয়ে আজে বাজে মন্তব্য করে বেড়াই, নোংরা পোস্ট দেই?
তাহলে এ কেন দেবে? এত সাহস কোথা থেকে আসে? অন্যকোন দেশ থেকে? গোপন কোন এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার জন্য?
৫) টক শোতে হুজুরগুলার কথাবার্তা শুনলে দাড়ি টেনে ছিড়ে ফেলতে ইচ্ছা করে।
৬) শালার পুত, আগে তোর আল্লার অস্তিত্ব প্রমাণ কর।
> এই হচ্ছে তার লেখার ভাষা। সে আমাদের ব্লগে লেখা দিয়েছে, তার মানে আমাদের’কে উদ্দেশ্য করে পোস্ট দিয়েছে। অথচ ব্লগারদের সম্মোধন করেছে তুই তোয়াক্কিরি করে, শালার পুত বলে।
কোন ধরনের আচার ব্যবহার এবং শিষ্টাচারের মাঝে সে বড় হয়েছে কিংবা কি পারিবারিক শিক্ষা সে পেয়েছে সেটা ভালোভাবেই বুঝা যায়।
তাকে ব্লগে এইসব নোংরা এবং কর্দয ভাষা পরিহার করার জন্য আমি সহ বেশ কয়েকজন মন্তব্য করেছিলাম, সবগুলি সে চোরের মতো ডিলিট করে দিয়েছে। আমাকে একজন ব্লগার ব্যক্তিগতভাবে না জানালে, জানতামও সে নিয়মিত এই কাজ করছে।
আমার লাস্ট কমেন্টের সে উত্তর দিয়েছে আমাকে হুমকি দিয়ে যে এই মন্তব্যও সে ডিলিট করে দেবে।
নীল আকাশ বলেছেন: আমার এই নোংরা পোস্টে ফিরে আসার কোন দরকার ছিল না।
নিঃশব্দ অভিযাত্রী আমাকে জানানোর পর ফিরে এসে দেখি আপনি সত্যই চোরের মতো মন্তব্য ডিলিট করেছেন।
আমার মন্তব্যের কোথায় সমস্যা ছিল বলেন?
আপনি বয়স্ক মানূষের দাড়ি ধরে মারতে চান নি? ছিড়তে চান নি? শালার পুত কে? কাকে মিন করেছেন?
আপদমস্তক বেয়াদপ একজন ব্লগার। এত দিনেও ভদ্র ভাষায় কথা বলতে শেখেন নি!
ব্লগে লেখা লিখি করার আগে নিজে আগে মানুষ হোন।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৫৫ ০
লেখক বলেছেন: আপনাকে বুঝানোর মত ধৈর্য্য আমার নাই। তাছাড়া একই ধরণের কমেন্ট ৩-৪ টা থাকলে দুটার উত্তর দিয়ে বাকিগুলো ডিলিট করে দেয়াটাই বেটার। অন্যদের কমেন্টের উত্তরেই আপনি নিজের উত্তর খুঁজে পাবেন।
আরে ধুর, রাখেন আপনার বয়স্ক মানুষ ! বয়স্ক মানুষ যদি আপনার বাবা মাকে খুন করে, আপনি কি তারপরও তাকে সম্মান করবেন ? যারাই ইসলামের কথা বলবে, তাদেরই দাড়ি টেনে ছিড়ে ফেলা উচিত। ইসলাম মানবজাতির সবচাইতে বড় শত্রু। শুধু তাই নয়, কোরআনের পৃষ্ঠা ছিড়ে আগুনে পুড়িয়ে ঐ ছাই খাওয়াইয়া দেয়া দরকার। খাওয়ানোর সময় চিৎকার করে আল্লাহকে ডাকবে। তখন আমিও দেখতে চাই, আল্লায় কোনদিক দিয়ে এসে বাঁচায় ? শালার পুতদের মাথা থেকে এভাবেই ইসলামের ভূত ছুটাতে হবে।
হ্যা, আমি বেয়াদপ ব্লগার। তো ? এটা আমার ব্যক্তিস্বাধীনতা আমি কার সাথে ভদ্রতা দেখাব আর কার সাথে বেয়াদপি দেখাব। আমার অন্যপোষ্ট গুলো দেখুন। সেখানে তো ঠিকই ভদ্র ভাষা ব্যবহার করেছি। এখানে কেন করলাম না ? নিশ্চয়ই তথাকথিত বয়স্ক ব্যক্তিরা বেয়াদপি পাবার যোগ্য, ভদ্রতা পাবার যোগ্য নয়। এরকম চিন্তা একবারও মাথায় আসল না ?
ভদ্র ভাষায় কথা বলতে না পারলে মানুষ হওয়া যায় না ? হাঃ হাঃ ... কোন বইতে এই কথা লেখা আছে ? বরং মুসলানরাই মানুষের মধ্যে পড়ে না। নিজে ইসলাম ছেড়ে মানুষ হোন। তারপর কমেন্ট করতে আইসেন।
বেয়াদপ না হলে প্রতিবাদ করা যায় না। প্রতিবাদের ভাষা সবসময় অভদ্রই হতে হয়। .................................
আপনার এই কমেন্টও আমি ডিলিট করে দিব। আগে থেকে জানিয়ে দিলাম। পরে আবার চিল্লায়েন না।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৫৫
এইসব নোংরা ভাষা ব্যবহার করা নিয়ে এর কোনরকম সংকোচ বা দ্বিধা নেই। বরং ধৃষ্টতা দেখিয়ে ইসলাম এবং মুসলিমদের ক্রমাগত আক্রমণ করে গেছে।
তার মতো এত নোংরা মানসিকতার একজন ব্লগার নিয়ে এত কথা লেখার কোন কারণই নেই।
কিন্তু আমি খুবই অবাক হয়েছি সামু ব্লগের বিদ্যমান রুলসগুলি পড়ে!
২চ. কোন এক শ্রেণীর অনুভূতিকে আঘাত করে, এমন কোন ঘৃণাত্মক পোস্ট অথবা মন্তব্যপূর্ণ পোস্ট আমরা প্রথম পাতায় থেকে সরিয়ে দিতে পারি ।
২খ. যেকোন ধরণের মন্তব্য, যার মর্মার্থ আমাদের কাছে গঠনমূলক না হয়ে সংঘাতপ্রয়াসী / উস্কানীমূলক অথবা সমালোচনামূলক না হয়ে ব্যক্তিগত আক্রমণ মনে হলে তা নীতিমালা অনুযায়ী সরিয়ে দেয়া হবে।
৩ছ. যদি কোন পোস্টে সন্নিবেশিত তথ্য কিংবা বিষয় অথবা নির্দেশনা সমাজ এবং ব্লগ কমিউনিটির জন্য হুমকি স্বরূপ হয়।
৩ঞ. বাংলাদেশ অথবা যে কোন স্বীকৃত জাতি বা দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, ইতিহাস, ধর্ম বিষয়ক সত্যকে অস্বীকার করে, বিরুদ্ধাচারণ করে, অসম্মান করে অথবা সত্যের অপলাপ বা অর্থহীন পোস্ট মুছে ফেলা হতে পারে এবং ব্লগারের ব্লগিং সুবিধা সাময়িক অথবা স্থায়ীভাবে স্থগিত কিংবা বাতিল করা হতে পারে ।
আমাদের ব্লগ নিয়ে বাইরে অনেক আজেবাজে কথা এমনিতেই রটে আছে, বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।
ব্লগের বাইরের লোকজন আমাদের ধর্ম বিরোধী এবং নাস্তিক হিসেবে ট্যাগিং করে।
এইসব পোস্ট ব্লগে থাকলে এদের কি খুব বেশি দোষ দেয়া যায়?
এরপরও এই জঘন্য পোস্ট কিভাবে ব্লগে থাকে?
এই ব্লগার মডারেশন প্যানেলের শাস্তি কিভাবে এড়িয়ে গেল (২খ, ৩ছ., ৩ঞ.)?
ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা।
কপিরাইট @ নীল আকাশ, ডিসেম্বর ২০২০