গত ৪টা বছর আওয়ামী লীগ লুটে পুটে খাইছে দেশটারে। তৃষ্ণা মিটাইছে ইচ্ছামত। যত সহিংসতা তারা করেছে যুবলীগ আর ছাত্রলীগ নাম দিয়ে, বাংলাদেশ সৃষ্টির পর থেকে এরকম রেকর্ড আর কেউ করেনি বা করতে পারেনি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে চিনিমিনি খেলছে আওয়ামীলীগ, এটা নিয়ে যে ব্যবসা তারা করেছে, সাধারণ মানুষের অধিকাংশই এটা মেনে নিতে পারেনি। জাতির কাছে যে মানবতা বিরুধী অপরাধ ইস্যু মুলার মত ঝুলিয়ে রাখছে এটাও সহজেই অনুমেয়।
তাছাড়া জননেত্রীর মুখে ও মনে যে যুদ্ধাংগেহী মনোভাব, সাধারণ মানুষের অধিকাংশই তা ভালোভাবে নেয়নি। আর ওনিও তা বেমালুম ভুলে গেছেন যে ওনি প্রধানমন্ত্রী, তাও আবার শুধু আওয়ামীলীগের না, গোটা দেশের! কথাবার্তায় কতটুকু সংযত হওয়া উচিত তা মনে হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে শিক্ষা নেয়া দরকার।কার্যত এটা করলে ২টা লাভ হবে- ১. ওনার প্রতি আক্রোশ অনেকটা কমবে বিপরীতে বলা যায় ওনার জনপ্রিয়তা বাড়বে যেটা ওনার দল গুছাতে অনেক ভাল ফল দিবে বলে মনে করি, দ্বিতীয়ত ওনার ব্যক্তিগত সম্মান অনেকখানি ফিরিয়ে নিতে পারবেন।
অপরদিকে, জামাত ও কম করেনাই, যাদের জন্মই এই দেশে বেজন্মার মত। সহিংসতার জবাব সহিংসতা দিয়েই ফেরত দিছে, তাই আজ এরা কোনঠাসা, দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। চোরে চোরে মাসতুত ভাই, সেটা আওয়ামী-জামাত দেখলেই বুঝা যায়।
জামাত যতকিছুই করুক এটা বিনপির ফেবারে থাকবে কারণ বিএনপি এত সহিংসতা করেনা অন্যদের মত যদিও প্রচ্ছন্ন সাপোর্ট থাকে (তবে বলতে আপত্তি নেই যে বিএনপির ঐ ধরনের সাংগাঠনিক শক্তি নেই কিছু করার মত) এই কৌশলগত সুবিধা তারা নিতে পারে আগামী নির্বাচনে এবং আমি মনে করি এটার কিছুটা সুফল তারা পেয়েছে।
তত্বাবধায়ক ইস্যু এখন বিএনপির প্রধান অস্র। এটা হাতছাড়া মানেই পেনাল্টি গোল এ জিতবে আওয়ামীলীগ। এই ইস্যুতে জামায়াতের কোন লাভ নাই, ক্ষতিও নাই, তাদের মুল টেনশন তাদের নেতাদের মু্ক্তি।
এখন শেষ গোল কে দিতে পারবে? আওয়ামী লীগ নাকি বিএনপি?
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:৪৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




