★পার্বত্য চট্টগ্রাম
অনেকে অনেক ভাবে বিষয়টি নিয়ে অালোচনা পর্যালোচনা করেছেন ।
অামার দেখা কয়েকটি ঘটনা শেয়ার করছিঃ-
★পঞ্চম শ্রেণী পড়ুয়া মেয়ের প্রেম এবং পালিয়ে যেয়ে বিয়ে। এটা কোন সংবাদ পত্র থেকে পড়া কোন সংবাদ নয়। অামার দেখা বাস্তব ঘটনা।
★ চতুর্থ শ্রেণীর মেয়ের প্রেমের অনেক ঘটনা।
★ অষ্টম শ্রেণীতে পড়ুয়া বালিকার নির্লজ্জ দাবি অামাকে বিয়ে দিতেই হবে। এক দফা এক দাবি। অতঃপর পারিবারিক ভাবে বিবাহ সম্পন্ন।
এমন অারো অনেক ঘটনা অাছে। উপরে যে গুলা বললাম সে গুলি অামার দেখা ঘটনার মধ্য থেকে অল্পোো কিছু।
অনেক বুদ্ধি জীবি উন্নত বিশ্বের কথা বলছেন। পরশু একটা পত্রিকাাই দেখলাম " একজন বলছেন, অামাদের দেশ এখন এগিয়ে যাচ্ছে। অামারা যদি ১৮ এর নিচে মেয়েদের বিয়ের অাইন করি তবে উন্নত বিশ্ব কিভাববে।"
চলুন উন্নত বিশ্বের কি অবস্থা একটু দেখে অাসিঃ
১)অস্ট্রিয়াতে মেয়েদের বিয়ের সর্বনিম্ন বয়স ১৮ তবে কোর্টের অনুমতি নিয়ে ১৬তেও বিয়ে দিতে পরবে।
২) বেলজিয়ামে মেয়েদের বিয়ের সর্বনিম্ন বয়স ১৮ তবে কোর্টের অনুমতি নিয়ে ১৬তেও বিয়ে দিতে পরবে।
একই ভাবে বুলগেরিয়া, ফ্রান্স,জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ড, পোল্যান্ড, রাশিয়া, অষ্ট্রেলিয়ার মেয়েদের
বিয়ের সর্বনিম্ন বয়স ১৮ তবে কোর্টের অনুমতি নিয়ে ১৬তেও বিয়ে দিতে পরবে।
★ ডেনমার্কেে মেয়েদের বিয়ের সর্বনিম্ন বয়স ১৮ তবে রাজার অনুমতি নিয়ে ১৫তেও বিয়ে দিতে পরবে।
★ কানাডায় বিয়ের সর্বনিম্ন বয়স ১৮ তবে কোর্টের অনুমতি নিয়ে ১৫তেও বিয়ে দিতে পরবে।
★ এমনকি অামেরিকার অনেক রাষ্ট্রে কোর্টের অনুমতি নিয়ে ১৮ কম বয়সে বিয়ে দিতে পারবে।
নরওয়েতে থিয়া নামের ১২ বছরের একটি মেয়ে গোয়ার নামের (৩৭)একটি ছেলেকে বিয়ে করেছে।অান্তর্যাতিক মিডিয়ায় এসেছে।কম বয়সে বিয়ে করার অপরাধে গোয়া কিংবা থিয়াকে নরওয়ে সরকার কিন্তু জেলে ঢোকাইনি।
পত্রিকা খুললেই দেখা যায় ডাষ্টবিনে বা টয়লেটের পাইপে বাচ্চা পাওয়া যাচ্ছে। এমনকি বাংলাদেশের ক্লিনিক গুলোর অায়ের অন্যতম উৎস এম.অার.ডি.এন.সি মানে বাচ্চা নষ্ট করা।
বাংলাদেশের অাবহাওয়া গত কারনেই এখান কার মেয়েরা দ্রুত যৌবন প্রাপ্ত হয় অাবার অন্যান্য দেশের তুলোনাই দ্রুত বুড়িয়ে যায়। এক্ষেত্রে ১৮বছর ধরা বাধা করে দিলে লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশি। সামাজিক অশান্তি বেড়ে যেতে পারে। অপরাধ প্রবনতা বেড়ে যেতে পারে।
অারেকটি বিষয় মেয়েরা সাধারনত ৬ষ্ঠ থেকে ৮ম শ্রেণীতে(১২-১৪ বছর) উঠতে উঠতেই দৈহিক ভাবে লম্বা চওড়া হয়ে যায়। এক্ষেত্রে অভিভাবকরা মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দেয়। কোন কোন ক্ষেত্রে জন্ম সনদ সংশোধন করে বয়স ১৮ করে নেই। অথবা অনেক সময় বিয়ে রেজিস্ট্রি বকি রাখে। সেক্ষেত্রে অনেক সময় কন্যা ও বর পক্ষ্য গ্রেফতার ও হয়। তবুও কি তারা থেমে অাছে।
বিয়ের বয়সের ক্ষেত্রে মনোবিজ্ঞানী অাহাম্মে্মেদ হেলাল মনে করেন অনেক ক্ষেত্রে ২৫ বছরেও মানসিক দিক থেকে অনেক মেয়ে উপযুক্ত হয়না। অাবার অনেকে ১৮বছরের অাগেও মানসিক ভাবে প্রস্তুত হয়ে যায়।
ভারতীয় উপমহাদেশে ১৮৯০ সাল পর্যন্ত হিন্দু ধর্ম মতে ৮বছরের মেয়ে বিয়ে হতো। পরে এবিষয়ে প্রথম ব্রিটিশ সরকার ১৮৯১ সালে অাইন করে ১২ এর নিচে বিয়ে নয়। তার পর অাবার ১৮ বছরকে নির্ধারন করা হয়। বাংলাদেশ এটাকেই অাইন হিসেবে গ্রহন করেছে।
এদেশের এনজিও ও কথিত সুশীল সমাজ যে ইউরোপ ও অামেরিকার উদাহরন দিচ্ছে সেসব দেশে ১৫-১৬ বছরে বিয়ের অনুমতি থাকলেও বাংলাদেশেে তারা মেয়েদের বেশি বয়সে বিয়ের প্রচারনা চালাচ্ছে। এদের উদ্দশ্য নিশ্চয় ভালো নয়। কারন অনেক বিষয় তারা এড়িয়ে যাচ্ছে।
অামাদেরকে সিদ্ধান্ত নিতে হলে দেশের সার্বিক অবস্থা ,পরিবেশ ইত্যাদিকে অবশ্যই বিবেচনাই অানতে হবে। নতুবা লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশি।
তথ্য সূত্রঃ ইন্টারনেট ও বিভিন্ন পত্রপত্রিকা।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৫