বাংলাদেশের মিডিয়া রাজ্যে একবার একটা কথা নিয়ে বেশ তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছিল। জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ বলেছিলেন, দেশে কোন যুদ্ধাপরাধী নেই। তাদের দাবী, ১৯৫ জন চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীর সবাই পাকিস্তানি সৈন্য, যাদেরকে সাধারণ ক্ষমার আওতায় এনে নিজ দেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। এমন কি দালাল আইনে অভিযুক্ত ৭৫২ জনের মধ্যে জামায়াতের কোন নেতার নাম অন্তর্ভূক্ত ছিলনা।
এ কথাগুলো ঐতিহাসিকভাবে সত্য হলেও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতেই হবে-এই হচ্ছে আওয়ামী লীগ ও তথাকথিত বাম-রাম সুশীল সমাজের প্রাণের দাবী। ইতোমধ্যে এ বিচারের পূর্ব নির্ধারিত রায় অনুযায়ী সরকারের কিছু কিছু মন্ত্রী জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দিয়েছেন! অর্থাৎ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ব্যানারে জামায়াতের রাজনীতিকে নির্মুল করতে হবে-এটাই হচ্ছে সরকারের মিশন।
তবে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার যে আদৌ সম্ভব নয়, এটা সরকারও বেশ ভাল করে জানে। ইশারা-ইঙ্গিতে সরকার সেটা বলেও দিয়েছে। আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ আমেরিকা থেকে এসেই বললেন, এখন থেকে য়ুদ্ধাপরাধ শব্দটা ব্যাবহার করা যাবেনা, বলতে হবে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ। অর্থাৎ দেশে কোন যুদ্ধাপরাধী নেই। কিন্তু জামায়াতের বিচার যেহেতু করতে হবে, সেহেতু একটা কৌশল অবলম্বন না করলে তা কিভাবে সম্ভব ?
অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন, দেশে কোন রাজাকার নেই। এসবের যোগফল এই দাঁড়ালো, আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের কথাই সত্য এবং তারা সম্পূর্ণ নির্দোষ।
এরপরও কেউ য়ুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবি তুললে তা হবে নিতান্তই হাস্যকর !
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই মে, ২০১০ দুপুর ২:৩৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



