somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভালোসার রং

২৬ শে আগস্ট, ২০০৬ ভোর ৫:৩৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আহারে চারিদিকে কত রং! রং এ রঙ্গিন দুনিয়া। এত রং, কোত্থেকে এল? কে রং বানায়? আসুন জেনে নেয়া যাক রং সমর্্পকে কিছু তথ্য। রং পদর্ােথর কোন ধর্ম নয় এটা আলোর ধর্ম, কোন পদার্থ হতে প্রতিফলন, প্রতিসরণ বা শোষণের পরে যে বর্ণের আলো চোখে পড়ে, পদার্থের রং বা বর্ণ সেটাই হয়। খুব বেশি দিন আগের কথা নয়, 1666 খৃস্টাব্দে জগৎ বিখ্যাত বিজ্ঞানী স্যার আইজ্যাক নিউটন রং এর উৎস হচ্ছে আলো এবং রং এর বিভাজন আবিষ্কার করেন। পৃথিবীর অধিকাংশ রং খালি চোখে দেখা যায় না। মূল রং হচ্ছে তিনটি যথা-লাল, হলুদ ও নীল। আমরা যে সব রং দেখে থাকি তাদেরকে দুই ভাগে ভাগ করতে পারি। যেমন ঃ (ক) মৌলিক রং (খ) যৌগিক রং। তাছাড়া গ্রাফিক ডিজাইনে রং কে দুই ভাগে ভাগ করা হয়- (1) কুল কালার (2) ওয়ার্ম কালার। একটি রং এর সাধারণত দু'টি সেন্স থাকে। একটি হচ্ছে পজেটিভ সেন্স, অন্যটি হচ্ছে নেগেটিভ সেন্স। পৃথিবীতে বিভিন্ন মহাদেশব্যাপী রং কে সিম্বলিজম করা হয়েছে। যেমন- এশিয়ান কালার সিম্বলিজম, আমেরিকান কালার সিম্বলিজম, ইউরোপিয়ান কালার সিম্বলিজম, আফ্রিকান কালার সিম্বলিজম ইত্যাদি। এক এক দেশে একই রং ভিন্ন ভিন্ন অর্থ প্রকাশ করে। যেমন- চীন এবং আমেরিকাতে সাদা রং এর পোশাককে বিয়ে বা আনন্দের পোশাক হিসাবে নির্বাচন করা হয়। কিন্তু আমাদের পাশর্্ববতর্ী দেশ ভারত কিংবা আমাদের দেশেও সাদা বর্ণের পোশাককে বিধবাদের পোশাক কিংবা শোকের পোশাক হিসাবে বুঝানো হয় (যদিও আমাদের দেশসহ অনেক দেশে কালো পোশাককে শোকের পোষাক হিসেবে নির্বাচন করা হয়)। লাল রং কে চীনে সেলিব্রেশন ও লাকি কালার হিসাবে দেখা হয়। এমনকি এদেশে অনেক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে লাল রং এর গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহার রয়েছে। ভারতে লাল রং কে পরিশুদ্ধতার রং এবং নীল রং কে পবিত্র রংহিসাবে বুঝানো হয়। আমেরিকাতে খ্রিস্টমাস ডে তে কম্বাইন্ড লাল এবং সবুজ রং ব্যবহার করা হয় এবং নিরাপদ বোঝাতে সবুজ রং ব্যবহার করা হয়। শুধু তাই নয় সারা পৃথিবীতে ট্রাফিক সিগন্যাল হিসাবে লাল এবং সবুজ রং ব্যবহার করা হয়। এশিয়াতে লাল রং ও সাদা রং এর কম্বাইন্ডকে আনন্দের রং হিসাবেও ব্যবহার করা হয়ে থাকে (এক্ষেত্রে কালো রং এর সাথে যদি লাল রং এর কম্বাইন্ড থাকে তাহলে, খুন, হত্যা, অশুভ, ভায়োলেন্স বুঝাবে) । নীল রং কে ভারতে পবিত্র রং (কৃষ্ণের রং) হিসাবে গণ্য করা হয়। মধ্যপ্রাচ্যে নীল রং কে প্রটেক্টিভ (রক্ষাকবজ) কালার হিসাবে বিবেচনা করা হয়। তবে আমাদের দেশে অনেকে বেদনা বা দুঃখের রং হিসাবে নীল রংকে নির্বাচিত করে থাকেন। ভারতে সবুজ রং কে মুসলমানদের (ইসলামী) রং হিসাবে সনাক্ত করা হয়ে থাকে। এরকমভাবে জাতিগত, সংস্কৃতিগত পৃথিবীতে দেশভেদে রং এর বিভিন্ন ব্যবহারিক ও প্রতীকি অর্থ রয়েছে। কালার থিউরী, কালার সিম্বলিজম, কালার সাইকোলজি, কালার কম্বিনেশন নিয়ে আলোচনা করতে গেলে অনেক সময়ের প্রয়োজন। এতে পাঠকদের ধৈর্য্যচু্যতি ঘটতে পারে। আমি সবাইকে খুব সহজে ভালোবাসা দিবসের পোশাক নির্বাচনের বিষয়টা নির্ধারণ করতে অনুরোধ করছি। সারা পৃথিবীতে ভালোবাসার রং হচ্ছে পিন্ক (গোলাপী)। কিছু কিছু ক্ষেত্রে বা কেউ কেউ (যেটা সঠিক নয়) আমাদের দেশে নীল রং কে ভালোবাসার রং হিসাবে গণ্য করে থাকেন। কিন্তু ভালোবাসার সত্যিকারের রং হচ্ছে গোলাপী। সবুজ রং এর পর পরেই যে রংটি মানুষের জন্য নিরাপদ ও উপযোগী সেটা হচ্ছে গোলাপী। কালার সাইকোলজিষ্টরা বহুদিন গবেষণা করে এ তথ্য প্রকাশ করেছেন। তবে গোলাপী রং এর সাথে লাল রং এর কম্বাইন্ড পোশাক ব্যবহার করা যেতে পারে। যেহেতু ভালোবাসার রং গোলাপী সুতরাং ভালোবাসা দিবসের পোশাকে এই রংটিকেই প্রাধান্য দেয়া উচিত। আরেকটি তথ্য দেয়া উচিত সেটা হলো স্ত্রী লিঙ্গের ( প্রতীকী) রং হচ্ছে গোলাপী আর পুরুষ লিঙ্গের (প্রতীকী) রং হচ্ছে আকাশী নীল। গোলাপী রং মেয়ে শিশু এবং হালকা সায়ান (আকাশী রং) ছেলে শিশু বুঝাবে। রং সম্পর্কে বিস্তারিত লিখতে চাই। রং সম্পর্কেযে কেউ কোন তথ্যের জন্য যোগাযোগ করতে পারেন।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে আগস্ট, ২০০৬ দুপুর ১:২৫
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বন্ডাইর মত হত্যাকাণ্ড বন্ধে নেতানিয়াহুদের থামানো জরুরি...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:২৫

বন্ডাইর মত হত্যাকাণ্ড বন্ধে নেতানিয়াহুদের থামানো জরুরি...

বন্ডাই সৈকতের হামলাস্থল। ছবি: রয়টার্স

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই সৈকত এলাকায় ইহুদিদের একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সমবেত মানুষের ওপর দুই অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী অতর্কিতে গুলি চালিয়েছে। এতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমাণ নন বলা কুফুরী

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১৪



সূরাঃ ২ বাকারা, ২৫৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৫৫। আল্লাহ, তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই।তিনি চিরঞ্জীব চির বিদ্যমাণ।তাঁকে তন্দ্রা অথবা নিদ্রা স্পর্শ করে না।আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সমস্তই... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিজয়ের আগে রাজাকারের গুলিতে নিহত আফজাল

লিখেছেন প্রামানিক, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:১৩


ঘটনা স্থল গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি থানার উড়িয়া ইউনিয়নের গুণভরি ওয়াপদা বাঁধ।

১৯৭১সালের ১৬ই ডিসেম্বরের কয়েক দিন আগের ঘটনা। আফজাল নামের ভদ্রলোক এসেছিলেন শ্বশুর বাড়ি বেড়াতে। আমাদের পাশের গ্রামেই তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

৫৫ বছর আগে কি ঘটেছে, উহা কি ইডিয়টদের মনে থাকে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৮




ব্লগের অনেক প্রশ্নফাঁস ( Gen-F ) ১ দিন আগে পড়া নিউটনের ২য় সুত্রের প্রমাণ মনে করতে পারে না বলেই ফাঁসকরা প্রশ্নপত্র কিনে, বইয়ের পাতা কেটে পরীক্ষার হলে নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

১৯৭১ সালে পাক ভারত যুদ্ধে ভারত বিজয়ী!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯


দীর্ঘ ২৫ বছরের নানা লাঞ্ছনা গঞ্জনা বঞ্চনা সহ্য করে যখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বীর বাঙালী অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে বীরবিক্রমে যুদ্ধ করে দেশ প্রায় স্বাধীন করে ফেলবে এমন সময় বাংলাদেশী ভারতীয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×