আধারের যদিও নেই কিরণসম দীপ্তি,
আলোর আছে – তাতেই আধারের তৃপ্তি।
দেহে তার জড়িয়ে লতা, এই ফুলশাখার দুখ,
ফুলশাখাকে জড়িয়ে আছে – তাতেই লতার সুখ।
আধারে হেসেছে বলেইতো চাদের পড়েনি পলক,
আধারে হেসেছে বলেইতো চাদের রুপে এত ঝলক।
নদী হাসিয়া গড়ায় সমুদ্রে, তবু গর্ব নেই সমুদ্রের,
সমুদ্রে হাসিয়া গড়ায়, তাই এত গর্ব নদীর ।
চাঁদ গগনে হাসে, সে-তো আপনি খেয়ালে,
চাঁদ হাসে বলেই তিলক পড়িল গগন ভালে।
বৃষ্টি নামে, এ-তো প্রার্থনা সবুজ ঘাসেদের,
বৃষ্টি নামে বলেই অভিমান হলো আকাশের।
ঝর্না নামে বলেই পাহাড়ি দেহ ভরে উচ্ছলতায়,
ঝর্না নামে বলেই বুক ভাসে পাথরের কান্নায়।
পুস্প আসিল সৌরভে ভরায়ে দেহ, তবু সে ঝরিল,
আসিয়া ঝরিল বলেইতো পুস্পের এত কদর হইল।
পদ্মের হাসি দেখেইতো পরীরা নাচে ধরায়,
পরী নাচে বলেইতো, এত সুখ পদ্মের মানায়।
আকাশকে আলিঙ্গন করবে আশা করল সমুদ্র,
প্রত্যাখ্যান পেলো বলেইতো ক্রন্ধনে সমুদ্র হল রুদ্র।
রমনী চিরকাল রহস্যময়ী, ধোঁয়শা, অপরিচিতা,
অপরিচিতা বলেইতো নারী টানে, এ-কি তার পরিণীতা?

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




