আমার বুকের ভিতর ছটফট করে আমাকে ধিক্কার জানায়
আমি তার কচি শরীরের রক্ত মুছে দিতে গেলে
সে তার গলায় অন্ধকার এক পথের সন্ধান দেয় আমায়
আমি ভয়ে লজ্জায় কুঁকড়ে যাই।
সে আসে প্রতিরাতে!
সে এলেই আমার আমি ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যাই
আমার হাত পা ঠাণ্ডা হয়ে যায়
আমার প্রচণ্ড পানির পিপাষা পায়
ভয়ে আমি আমার চারপাশে অবলম্বন খুঁজি।
সে আসে
তার নিষ্পাপ চোখে জন্মের ঘৃণা নিয়ে
সে আসে
শেষ সমাধির এক মুঠো মাটি নিয়ে।
প্রতিটি রাতে
একটি রক্ত মাখানো নবজাতক
মাতৃত্বের সব অহংকারের মুখে থুথু দিয়ে যায়।
অদেখা অপষ্ট একটি নিষ্পাপ মুখ
প্রতিদিন শব্দহীন প্রশ্নের চোখে তাকিয়ে থাকে।
পৃথিবীর নিষ্ঠুরতার সাক্ষী
জল ছুঁয়ে লাশ হয়ে পরে থাকা এই শিশুটি
প্রতিরাতে আমাকে নিঃশেষ করে দেয়।
এটা কোনো কবিতা নয় বা কোনো গল্প ও নয়.. কদিন আগে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা
আমাদের গ্রামের বাড়ির খাল পারে নাকি একটি নবজাতক শিশুর রক্ত মাখা লাশ পাওয়া যায়। আমি দেখিনি ঐ লাশ বা শিশু কে কিন্ত তবু কেন জানিনা প্রতিরাতে চোখ বুজলেই আমি আতঁকে উঠি।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:৩৫