তুই কি জানিস রীতু?
তোর চোখ
জল ভরা শাওনের মেঘের চেয়েও ভারী।
অথচ দ্যাখ-
আমি শুষ্ক মরুর ক্যাকটাস।
কতবার কারণে আকারনে তুই জল ঢেলেছিস!
তুই কি জানিস রীতু?
যে দিন তুই কাগোশিমা থেকে ফুকুওকায় ফোনে
“বিলেইটেড হ্যাপী বার্থডে।
এক সপ্তাহ দেরী। রাগ করেছিস?”
উত্তরে নিস্তব্দ খানিক…
তারপর ঝরেছিলি অঝোরে ধারায়
বললি “আমার মা আজ থেকে আমদের মা”
তখনও আমি ছিলাম
শীতের আকাশের জলহীন মেঘ।
রীতু
যে দিন তুই
প্রিয় কৃষ্ণচুড়া আর সোনালু বৃক্ষকে
ডুবালি বানের জলে-
কুয়াশা ভরা ধরা গলায় বললি
“ভয় পাসনে!
(একাকীত্বে আমার ভয় বরাবর - তুই জানতি)
আবার সব নতুন হবে।”
সে দিনও ছিলাম আমি
হেমন্তের মেঘহীন একাকী আকাশ।
তুই তো জানতিস রীতু,
কোন কোন “অনেক কিছুরই” আর
হয় না নতুন হওয়া।
কিছু কিছু চাওয়া
কারো কারো
কখনোই হয় না পাওয়া!
রীতু
যে দিন হঠাৎ
সিংগাপুর এয়ার পোর্টে দেখা-
ভিজালি আবার
দমকা বাতাসের তোড়েও
শুনেছি তোর আকুতি
“তুই কি এমনই থাকবি?”
সে দিনও ছিলম
ঘাস ফুল-এলাচ গন্ধ চোখে।
তুই তো জানিসই রীতু
যে পথে একবার যাওয়া হয়
সে পথের পেছনে থাকে
শুধুই পায়ের ছাপ!

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




