নবনীতা হোটেল রুম থেকে ক্লান্ত অবস্থায় পা খুঁড়ে আস্তে আস্তে বের হয়ে আসছে।এমন সময় ফাতিমা এসেছে হোটেলের আরেকটি রুমে ঢুকার জন্য।ফাতিমাকে দেখে নবনীতা ভয় পেয়ে গেল তাড়াতাড়ি ডাক দিল ফাতিমাকে !
নবনিতাঃ এই শোন।
ফাতিমাঃ হ্যাঁ।
নবনিতাঃআমায় চিনিস তুই ?
ফাতিমাঃ না ।
নবনীতাঃ ভালো করে দেখ চিনিস না তো ?
ফাতিমাঃ না ।
নবনীতাঃ কেন রোজ সন্ধ্যায় সাতটায় শাশুড়ি বনাম বউ, নটায় নীল তাঁরা দেখিস না?
ফাতিমাঃ না।
নবনীতাঃ টিভি দেখিস না তুই? চালাকি করছিস?
ফাতিমাঃ আমি সত্যি বলছি না বিশ্বাস করুন।
নবনীতাঃ বাইরে গিয়ে বলে বেড়াবি তো সিনেমার হিরোয়িনকে দেখলাম হোটেল এর ঘরে প্রডিউসার এর সাথে এক বিছানায়।বলে বেড়াবি না ?
ফাতিমাঃ না বলবো না?
নবনীতাঃ বলিস না! খুব খারাপ কথা তো! তারাতারি রটে যায়,ইমেজ নষ্ট হয়ে যায় ,TRP পড়ে যায়।
আর TRP পড়ে গেলে আমায় কোন প্রডিউসার কাজ দিবে নারে আর কাজ না পেলে পরিবারকে নিয়ে রাস্তায় চলে আসতে হবে রে!বলিস না বলতে বলতে নবনিতা চলে গেল।
(উল্লেখ্য কথোপকথন একটি বাংলাআর্ট ফিল্ম “কাল” অবলম্বনে কিছু সংশোধিত পরিবর্তনে লেখা)
উল্লেখ্য,শরীরকে পেশা হিসেবে এবং পেশা ঠিক রাখতে শরীরকে দান করা দুটি চরিত্রের শরীরকে বিলিয়ে দিইয়ে জীবিকা নির্বাহ করার পথটি তাঁরা কেহই নিজ থেকে এ পথে আসে নি। এই নষ্ট সমাজ,নষ্ট সমাজের নষ্ট মানুষ সমাজ,জামাই মারা যাওয়া,সাহায্যের জন্য গিয়ে পাওয়া আর্মিদের ধর্ষণ একিই ভাবে সাহায্যের জন্য গিয়ে পুলিশের ধর্ষণ,ধর্ষণের পর পতিতা লয়ে বেঁচে দেয়া সহ মেয়েদের অভাবে পেটের অন্য কোন পথে সাহায্য নাকরা নষ্ট সমাজের নষ্ট মানুষরা মেয়েদের পতিতা হতে সাহায্য করা নিয়ে নির্মিত আর্টফিল্মটি থেকে আমার চিন্তা থেকে জন্ম নেয়া ধারনাটি সংক্ষিপ্তভাবে নিন্মরুপ,
“চাকুরি বা পেশাগত যেকোন কাজটা যখন পরিবারের পেট চালানোর একমাত্র অবলম্বনকারী মেয়েদের এবং অন্য মেয়েদের ক্ষেত্রেই পৃথিবীর প্রতিটা কর্মক্ষেত্রেই নষ্ট পুরুষদের লোলুপ্য দৃষ্টির শিকার দ্বারা ধর্ষণ হতে হয়।প্রতিটা সমাজের নষ্ট মানুষগুলোর জন্য নষ্ট হয়ে যাওয়া গোটা সমাজটা দায়ী থাকে একটা মেয়েকে পতিতা হওয়ার পিছনে”
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:০৬