কেমন হয় যদি পৃথিবী ছাড়াও অন্য একটি গ্রহে মানুষ বসবাস শুরু করে। এই স্বপ্নটাকে মাথায় রেখে বিজ্ঞানীরা কাজ করে যাচ্ছে কয়েক দশক ধরে। মঙ্গল এর পরিবেশকে বোঝার জন্য অনেকগুলো মহাকাশযান পাঠানো হয়েছে। ১৯৯৭ সালেই মঙ্গলগ্রহের পৃষ্ঠে প্রথমবারের মতো একটি রোভার ডিভাইস অবতরণ করে। এরপর থেকে বেশ কয়েকবারই মঙ্গলগ্রহের উদ্দেশ্যে পরিচালিত অভিযানে রোভার পাঠানো হয়।
গত ৩০ জুলাই ২০২০ সালে নাসা Perseverance Rover পাঠায় মঙ্গোল এর উদ্দেশে। আজকে বাংলাদেশ সময় রাত ২ টা বেজে ৫৫ মিনিটে মঙ্গলে পাঠানো নাসার মঙ্গলযান পারসেভেরেন্স সেখানকার পৃষ্ঠে অবতরণ করবে। পুরো পৃথিবী জুড়ে বিশাল একটা সংখ্যার মানুষ বিশ্বকাপ খেলা দেখার মতো এক্সসাইটেড হয়ে দেখবে পারসেভেরান্স রোভার এর ল্যান্ডিং। যখন আমি এই লেখাটি লিখতেসি তখন পর্যন্ত পারসেভেরান্স রোভার এর দুরত্ব পৃথিবী থেকে ২৯২,২০৯,০৩৫ মাইল এবং মঙ্গোল থেকে ৩,১৬,০০০ মাইল। ৫৭ কোটি কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে মঙ্গল গ্রহে পৌঁছাবে।
Perseverance Rover সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে দেখতে পারেন নাসার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের এই লিংক
https://mars.nasa.gov/mars2020/
আজ রাত ১ টা বেজে ১৫ মিনিট হতে নাসার অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেল এ তাদের লাইভ স্ট্রিম শুরু হবে যেখানে মিশন এর হালনাগাদ সরাসরি দেখানো হবে
নাসার লাইভ স্ট্রিম লিংক :
https://cutt.ly/ek6hjlo
নাসা মিশন কন্ট্রোল রুম লাইভ স্ট্রিম :
https://www.youtube.com/watch?v=GIooAx_GkJs
এই মিশনের ব্যয় ধরা হয়েছে ২.৭ বিলিয়ন ডলার। এটি ফ্লোরিডার ‘কেপ ক্যানাভেরাল এয়ারফোর্স স্টেশন’ থেকে ‘অ্যাটলাস-ভি’ রকেটের মাধ্যমে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে । পারসেভেরান্স যে নমুনা সংগ্রহ করবে তা ২০৩১ সালে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা হবে আরো বিস্তারিত গবেষণার জন্য।‘পার্সিভারেন্স’ এর সাথে (পেটের ভেতর)যাচ্ছে Ingenuity নামে একটি হেলিকপ্টার,যেটি হতে যাচ্ছে পৃথিবীর বাইরে উড়ন্ত সর্বপ্রথম হেলিকপ্টার।
মঙ্গলেের আকাশে পৃথিবী,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,।
পৃথিবীর বুক থেকে আকাশের দিকে তাকালে যেমন অসংখ্য মিটমিটে তারা আর সূর্যের আলোয় উজ্জ্বল স্থির আলোর গ্রহদের দেখা যায়, মাঝে সাঝে চোখে পড়ে মঙ্গলকেও, তেমনি মঙ্গলের মাটি থেকে আকাশের দিকে তাকালে খুঁজে পাওয়া যায় পৃথিবীকে।
মঙ্গলের মাটিতে হেঁটেচলে বেড়ানো পৃথিবীর কিউরিওসিটি রোভার স্পষ্ট ছবি পাঠিয়েছে মঙ্গলের মাটি থেকে পৃথিবী দর্শনের।
কিউরিসিটি রোভার যে ছবি পাঠিয়েছে তা দেখে নাসার বিজ্ঞানীরা মনে করছেন মঙ্গল থেকে খালি চোখেই পৃথিবীকে দিব্যি দেখা যায়। তবে কিউরিসিটিই প্রথম নয়। এর আগে মঙ্গল থেকে পৃথিবী দেখার ছবি ২০০৪ সালে পাঠিয়েছিল আমেরিকার রোভার স্পিরিট।
মঙ্গলেে আকাশ থেকে কিউরিসিটি রোভার যানের চোখে দেখা, পৃথিবী, বৃহস্পতি ও শুক্র। পৃথিবী নীচে, মাঝখানে বৃহস্পতি ও উপরে শুক্রগ্রহ।
Send your name to NASA: https://cutt.ly/qk6VOcS
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:৪৫