somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কারাগারে ও জামাই আদরে জ্বিনমোল্লা এখন জেলে

৩০ শে মে, ২০১১ বিকাল ৪:৪৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মহসিন জুবায়ের

হাজার হাজার জীবন বিনষ্টকারী, শত শত মহিলাদের ধর্ষণকারী, এলাকার ভুমিখেকো মানুষকে বিপদে ফেলে সুবিধাভোগকারী, এলাকায় ষড়যন্ত্রকারী, গ্রামে কোন্দল সৃষ্টিকারী, ভাল মানুষের চরিত্র হরণকারী, দুর্নাম রটনা করে নারীদের ব্যবহারকারী, প্রতারণা করে নিজের খায়েশ চরিতার্থকারী। ফোনের মাধ্যেমে জ্বিন কন্ঠে আলাপ করিয়ে দেশে,- বিদেশে আতংক সৃষ্টিকারী, জ্বিন মোল্লা, জ্বিন হুজুর, জ্বিনের বাদশা, সিলেটের জ্বিন চিকিৎসক, জ্বিন কাপ্তান, জ্বিন ভাই কামালী সাহেব। জ্বিন পুত্র হালিম, জ্বিন হাফিজ সাহেব। ফরিদপুরের হাফিজ সাহেব, সিলামের হুজুরসহ শত নাম ধারণকারী ভন্ড হাফিজ আব্দুল হালিম কামালী কাপ্তান এখন সিলেট কারাগারে। শত সহস্র লোকের অভিযোগের ভিত্ত্বিতে তাহাকে পুলিশ গ্রেফতার করতে বাধ্য হয়। যদিও তার নামে প্রায় ডজন খানেক মামলা আগে থেকেই ছিল, কিন্তু পুলিশ প্রশাসনসহ আওয়ামী লীগ ও সরকারের মন্ত্রী এমপিদের সাথে সম্পর্ক থাকায় কেহ তাহাকে আটক করার সাহস করেনি। পূর্বে একবার গ্রেফতার করেও তাহাকে আটকে রাখেনি পুলিশ। তাহার খুটির জোরে সে বেরিয়ে এসেছে।

যে ভাবে উত্তান
সিলেটের লালাবাজারে ফরিদপুর গ্রামের ময়না মিয়ার পুত্র কাপ্তান মিয়া ছোট বেলা থেকেই দুষ্ট ছিল। ম্যাজিক, যাদু এই সব নিয়ে সে শৈশব থেকেই মজা দেখাতো। অতিষ্ট হয়ে তার বাবা তাহাকে মাদ্রাসায় হাফিজি পড়তে দিয়ে দেন। ১৪/১৫ বৎসর বয়স যখন তার তখন সে তার নানাবাড়ী নিয়মিত যাতায়াতে মামাতো বোনের সাথে অবৈধ সম্পর্ক করে মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে যায়। তখন কয়েকদিন এক ভন্ডের আস্তানায় আশ্রয় নেয় সিলেট রেলওয়ে বস্তিতে। ঐ ভন্ডের কাছ থেকে কন্ঠ বিকৃত করে ভয়ঙ্কর কিছু কলা কৌশল শিখে সে ঐ একই পথে পা বাড়ায়। শুরু করে সে জ্বিনের মাধ্যেমে ঝাড় ফুঁক দেওয়া। জ্বীনের থেকে ঝাড় ফুঁক নিতে সে এলাকায় কোন কথা ছড়ায়নি, ছড়িয়েছে দূর-দূরান্তে। অসুস্থ অসহায় মানুষ সুস্থ হবে তা ভেবে ভীর জমাতো তার ফরিদপুরের গ্রামের বাড়িতে। আর তখনি সে তাহার প্রতারণার জাল বিস্তার করে। জী¡ন দিয়ে কার্য্য উদ্ধার করাতে সমাজের দুষ্ট লোকেরা ও তাহাকে ব্যবহার করতে শুরু করে। দীর্ঘদিন পরে তাহার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে এলাকাবাসী একদিন তাহার বাড়ি ঘেরাও করে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে জ্বালিয়ে দেয় ঘরবাড়ী। সে পালিয়ে আশ্রয় নেয় নানার বাড়ী সিলামে। সেখানেও সে ভদ্রভাবে আবারো শুরু করে দেয় তাহার কর্মকান্ড। শহরে লোক দিয়ে কথা ছড়িয়ে দেয় সে জ্বীন সাধক এবং সে জ্বীন হল মুফতি, যে কেউ ঐ জ্বীন মুফতির সাথে কথা বলিতে পারবে। ভাড়া করা লোকগুলো পুলিশের লোকদের কাছে এবং সরকারী অফিসারদের মধ্যে কথা ছড়িয়ে দিতে থাকে। অবৈধ সম্পদ অর্জনকারী ঘোষখোরদের অফিসার তাদের পরিবারের তদবীর করতে যেয়ে হয়ে যায় তাদের আস্থা ভাজন। তখন সে তার নেটওয়ার্ক সম্প্রসারন করে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে। সিলেটের প্রিন্সিপাল হাবিবুর রহমানের সাথে আতাত করে তাহার বাসা বিক্রি করিয়ে দিবে লন্ডন প্রবাসী বৃদ্ধ এক দম্পতির কাছে। তাহার কাছে বিশ্বাস করে ঐ দম্পতি প্রায় এক কোটি বিশ লক্ষ টাকা দেন। পরে ঐ টাকা সে আর কাজির বাজার মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা হাবিবুর রহমান আত্মসাৎ করে আব্দুল হালিম কামালি কাপ্তান ওরফে জ্বীন হুজুরকে বায়না নামা করে সম্পূর্ন বাসা যা সিলেট শহরের কেন্দ্রস্থলে ৭২ ইঙ্গলাল সড়ক, কুয়ারপাড়ে অবস্থিত। তা নিজে দখল করে পরিবার পরিজন নিয়ে উঠে যায়। প্রবাসী দম্পতি সব সম্পদ হারিয়ে এখন মানবেতর জীবন যাপন করছেন। দিলারা বেগম তাহার বিরুদ্ধে মামলা করেও কোন প্রতিকার পান নাই। কুয়ার পাড়েরর ঐ বাসাই তাহাকে পৌঁছে দেয় খ্যাতির শীর্ষে। এবং সে তাহাকে প্রচার করতে থাকে মহান সাধক হিসেবে। কিশোরগঞ্জ, বরিশাল, ঢাকা, চট্টগ্রামেও সে তখন তাহার কীর্তি ছড়িয়ে দিলো।

দেশে প্রতারণা
মাদ্রাসা বানিয়ে একদম রাস্তা থেকে কুড়িয়ে ২০/২৫ জনকে এনে কুরআন পড়ানোর নামে হুজুরের কারামতী প্রচার করানোও তাদের নামে বাহানা করে লোকদের থেকে গরু, ছাগল মানত ও খতমের নামে নজর নিয়াজ নেওয়া, ওয়াজ মাহফিলের নাম করে আলেম ওলামাদের চৌকুস হাদিয়া প্রদান করে তাদের সমর্থন ও সহযোগীতা হাসিল করা। তদবীরের নামে সেই সব মাদ্রাসা ব্যবহার করা। এই সব করে সে পৌঁছে যায় দেশের র্শীর্ষ স্থানীয় আলেমদের দৃষ্টিতে। ঘনিষ্ট হয়ে যায় মরহুম আব্দুস সামাদ আজাদের সাথে। সাবেক মন্ত্রী সামাদ আজাদ তাহাকে ব্যবহার করা শুরু করলে আরো আস্কারা পেয়ে যায়। ঘনিষ্ট হয়ে যায় মাহমুদ উস সামাদ কায়েস, আব্দুল কাইয়্যুম চৌধুরী, দেওয়ান ফরিদ গাজীসহ পৌঁছে যায় শেখ হাসিনা পর্যন্ত। তাদের একান্ত সান্নিধ্যেও কথা প্রচার করেও ছবি দেখিয়ে আরো বেশি প্রতারনা শুরু করে এবং বিভিন্ন দিকে দালাল নিয়োগ করে। ফুঁ ও তাবিজ সমস্যা সমাধানের অবিনব অভিনয় করে টাকা বানানোর নেশায় এগিয়ে যেতে থাকে।

মোবাইল ফোনে প্রতারণা
দেশে-বিদেশে ফোন করে জ্বীন কন্ঠ দিয়ে কথা বলিয়ে আতংকগ্রস্থ করে তোলতো এই প্রতারক। সে মেয়েদের কন্ঠ ব্যবহার করতো যাদের ফোন করতো তাদের সম্পর্কে আগেই কিছু খবর নিয়ে রাথতো। জ্বীন কন্ঠ মানুষ তা শুনে হতচকিত হয়ে যেতো। এবং মনে করতো সত্যিই তো বলছে। এইভাবে ধোকা দিয়ে কোটি কোটি টাকা কামিয়েছে। অন্যর জমি নিজের নামে লিখিয়ে নিতো এবং আল্লাহ রাসুলের নাম ব্যবহার করতো। এবং সব ক্ষেত্রে নগদ টাকা আদায় করতো। প্রবাসীদের ফোনে বলে দিতো নগদ টাকা কি ভাবে কখন কাহার কাছে দিতে হবে। সুহেল আহমদ, সোহেল মিয়া. খালেছ মিয়া, শিল্পী বেগম, জাহানারা বেগম নামে টাকা আনাতো বিদেশ থেকে।

বিয়ে ৩, বাচ্চা ১৬
নানা বাড়িতে যাতায়াতে বিয়ে করে মামাতো বোনকে, বোনের বাড়ীতে বেড়াতে আসা প্রথম বউয়ের খালাতো বোনকে ও কায়দা করে বিয়ে করে। আত্মীয়তার সম্পর্ক হওয়ায় তাদেরকেও তাহার প্রতারণা ব্যবসায় জড়িয়ে ফেলে কৌশলে ওদের দিয়ে মহিলাদের বশ করতে থাকে। তদবীর করতে আসা মহিলাদের বলা হতো সোনা দিয়ে তাবিজ লিখতে হবে। এ জন্য মহিলাদের কাছ থেকে গহনাসহ কাপড় চোপড় আদায় করে নিত। লোকমুখে শুনে তদবীর করতে আসা ১৫ বৎসরের একটি মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং মেয়েটিকে জ্বীন দিয়ে বাধ্য করে বিয়ে করে। তাদের কোলে বাচ্চা হল সর্বমোট ১৬টি যা সে গর্ব করে বলে। এছাড়াও তাহার লালসার শিকার শত শত মেয়েরা। বস্তিবাসী মেয়েদের লোভ দিয়ে ও সামান্য সাহায্য সহযোগীতা করে তাদের গর্ভেও তাহার অবৈধ সন্তান, ঐ সব সন্তানদের এতিম বলে মাদ্রাসায় এনে ধর্মপ্রাণ জনগনের থেকে সদকা খয়রাত আদায় করতো।

বিদেশে ও প্রতারণা
হজ্ব করতে যেয়ে সৌদি প্রবাসীদের সাথে কৌশলে প্রতারণা করে আসছিল। তাদের থেকে টাকা পয়সা আদায় করেই গা ঢাকা দিতো। এই রকম শত শত সৌদি প্রবাসীরা তাহার প্রতারণার শিকার হয়ে সর্বশান্ত হয়েছেন। দুবাইতেও তাহার যাতায়াত ছিল। সেখানেও দেশ থেকে মেয়ে নিয়ে যেতো স্ত্রী বলে। সেখানে নিয়ে তাকে দিয়ে করাতো দেহ ব্যবসা। লোভ দেখিয়ে দুবাই প্রবাসীদের সাথেও করেছে প্রতারণা। সাউথ আফ্রিকায় যেতো ওখানে ও সে শুরু করেছিলো প্রতারণা। কিন্তু সুবিদে করতে পারেনি সেখানকার ইন্ডিয়ান আলেম ওলামাদের জন্য। পরে টার্গেট করে লন্ডন প্রবাসীদের। বালাগঞ্জের আওয়ামী লীগ যুবলীগ নেতার বড় ভাইয়ের সাথে যিনি ডকল্যান্ড থাকেন, তাহার সাথে সখ্যতা করে প্রথমে। তাবলীগ জামাতের নাম করে আওয়ামী লীগ নেতাকে নিয়ে টাকা কামাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। তাহাকে নিয়ে ওরা রাজনৈতিকভাবেও প্রতারণা করতে থাকে। এ ক্ষেত্রে বিশাল উপকৌটন দিতে থাকে দেশের জঙ্গিদের। জঙ্গি আব্দুর রহমান মুফতি, শহিদুল ইসলাম, মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদের উদ্দেশ্যে হল দেশে নিরাপত্তা পাওয়া এবং এলাকায় প্রভাব বিস্তার করা। লন্ডন থেকে গেল ফ্রান্সে, সেখানেও একি অবস্থা। ধরা পড়ে যাবে বলে চলে যায় স্পেইনের বার্সিলোনায়। ওখানে যেয়ে গেড়ে বসে আস্তানা। ওখান থেকে ইউরোপের চারিদিকে তাহার তদবীর ব্যবসায় সাথে সাথে শুরু করে আদম ব্যবসা। এই ভাবে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে স্থানীয় কয়েকজন মানুষকে সর্বশান্ত করে বিদেশের মাঠিতে অসহায় করে সে দেশে চলে যায় হজ্বের নাম করে।

জ্বীন বিক্রি
বাংলাদেশে বিভিন্ন অঞ্চলে আলেম ও মসজিদের ইমামদের প্রলোভন দিত জ্বীন দিয়ে তদবীর করতে। সে জ্বীন সাপ্লাই দিবে। বিনিময়ে তাহাকে টাকা দিতে হবে নিয়মিত। লন্ডনেও চিহিৃত কিছু তাবিজ ব্যবসায়ীদের সাথেও গড়ে তোলে নিয়মিত যোগাযোগ। লন্ডনের মাওলানা সামসুদ্দীন নুরী, মুফতি আব্দাল, মুফতি আলাউদ্দিন, মুফতি রফিক, ব্রাডফের্ডের মুফতি আব্দুল জলিল, বার্মিংহামের মাওলানা আব্দুল আহাদ, হাফিজ আব্দুর রব, মাওলানা ইখলাসুর, মাওলানা হাসানসহ সকল টাকাওয়ালা ব্যবসায়ী মৌলানাদের সাথে লক্ষ লক্ষ টাকার চুক্তি করে তাদের থেকে হাজার হাজার টাকা নিয়ে বাংলাদেশে চলে যায় এবং পরে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।
উকিল ও সাংবাদিকদের সহিত সখ্যতা
দেশ-বিদেশে যোগাযোগ, সরকারী অফিসার, মন্ত্রী, এম পিদের সাথে সখ্যতা পুলিশ অফিসারদের নিয়মিত মাসোহারা ঘোষদাতা তার প্রচারের প্রয়োজন পড়ত। তাই স্থানীয় সাংবাদিকদের ঢেকে নিয়ে তাহার পরোপকার গরীবদের সহায়তা ইত্যাকার সংবাদপত্রে প্রচার করাতো তাদের আপ্যায়ন ও উপহার সামগ্রী দেওয়ার মাধ্যেমে। আদালতে মামলা টেকাতে উকিলদের সাথেও রাখতো যোগাযোগ। সে আওয়ামী লীগ করতো তাই সে আওয়ামী লীগ পন্থী উকিলদের হাতে রাখতো। বিশিষ্ট আওয়ামী লীগ নেতা আত্ত্বর আলী তাহার নিয়মিত উকিল।

পীরদের তোষামোদী
তাহার ব্যবসা প্রসারে সে সব ধরণের ফন্দি লাগিয়েছে কাজে। সিলেটের পীর ফুলতলীর সাথে গড়ে তোলে নীবিড় যোগাযোগ। নিয়মিত হাদিয়া দিত গহরপুরের মুহাদ্দিস খ্যাত পীরকেও। তাদের মুরিদদের বলতো স্বয়ং পীর সাহেবও চিকিৎসা করান তাহার সাধনকৃত জ্বীন দিয়ে। জেলে যাবার আগে তাহার তিন লক্ষ টাকার জীপ গাড়ি উপহার হিসেবে দেয় চরমোনাইর পীর রেজাইল করিমকে।

স্ত্রী নির্যাতন
তাহার এইসব প্রতারণা ব্যবসায় অতিষ্ট হয়ে তাহার স্ত্রী প্রতিবাদ করে। ঐ স্ত্রীর পরিবার পরিজন অনেককে সে সর্বশান্ত করেছে।তাহার জ্বীন তদবীরে কোন উপকারেই আসেনি তাদের। স্ত্রী এইসব নিয়ে কথা বললে স্ত্রীকে নির্যাতন করতো। স্ত্রী নির্যাতনের চরম পর্যায়ে যখন ,তখন মুমুর্ষ অবস্থায় তাহাকে হাসপাতালে ভার্ত করা হয়। পরে কিছু ভাল হলে স্ত্রী তাহার বাপের বাড়ি চলে যায়। এবং নারী নির্যাতন মামলা করে। টাকার জোরে সে ঐ মামলায় জামিনে ছিল। এবং তখনি তদবীর করাতে আসা একটি মেয়েকে ধর্ষণ করে। ঐ ধর্ষন মামলায় তাহাকে গ্রেফতার করে পুলিশ কারাগারে প্রেরণ করে। বর্তমানে তাহার নামে মামলা হল ১৭টি।

বক্তব্য
আমি এই প্রতিবেদক ভোক্তভোগিদের অভিযোগ শুনে কারাগারে আব্দুল হালিম কামালী কাপ্তান, কাপ্তান কামালী জ্বীন হুজুর, জ্বীনের বাদশার ব্যাপারে যোগাযোগ করলে বেড়িয়ে আসে আরো চমকপ্রদ কাহিনী। কারাগারেও তাহার প্রতারণা ও ম্যাজিক দেখিয়ে কারারক্ষীদের পক্ষে তাহার পক্ষে নিয়ে বেশ জামাই আদরেই আছে। তাহার কারাগারে অবাধ চলাফেরায় কোন বাধা নেই। আওয়ামী লীগ সরকারের সাথে তাহার সম্পর্ক থাকায় সে বেশ আয়েশী জীবন যাপন করছে। এবং পার পেয়ে যাচ্ছে ম্পর্শ কাতর কিছু ব্যাপার থেকে। কারাগারে তাহার সাথে এই সব অভিযোগ ব্যাপারে জিজ্ঞাস করা হলে কৌশলে এড়িয়ে যায়। সে এতে ধুর্ত যে তাহার থেকে কথা বের করা কঠিন। তাহার ৫টি পাসপোর্ট রয়েছে। সে এমন এক জঙ্গী যে সে সাধারণের জন্য বিরাট এক হুমকি। কিন্তু তাহার ধুর্তপনার জন্য পার পেয়ে যাচ্ছে। ভুক্তভোগিদের অভিযোগকে পাত্ত্বাই দিচ্ছেনা প্রশাসন। এমনকি পুলিশও তাহার মামলাগুলোকে ধামাচাপা দিতে ব্যস্ত। প্রবাসীদের অভিযোগকে তো পাত্ত্বাই দিচ্ছে না প্রসাশন। ইংল্যান্ড, স্পেইন ও সৌদি প্রবাসীরা হাইকমিশনে অভিযোগ জানিয়েও তাদের মামলা নিচ্ছে না সিলেটের প্রশাসন। দেশী-বিদেশী ভুক্তভোগী সর্বস্তহারাদের সব কিছুই ফিরিয়ে দিতে পারে প্রশাসন। সে যেহেতু প্রশাসনের ছত্রছায়ায় এত কিছু করতে পেরেছে, তখন প্রশাসনকেই এগিয়ে আসতে হবে জনগনের সম্পদসহ তাদের হারানো সম্মান ফিরিয়ে দিতে। এ ব্যাপারে সিলেট এর প্রশাসন এর কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। বাংলাদেশের সিলেটে ’সবুজ সিলেট’ নামক একটি পত্রিকায় তাহার প্রেফতারের সংবাদ ছাপা হলে প্রবাসীরা তা জানতে পারে। এবং এর প্রতিকারের জন্য প্রশাসনের দ্বারে ধর্না দিচ্ছে।




সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে মে, ২০১১ বিকাল ৪:৫৫
৭টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

Grameen Phone স্পষ্ট ভাবেই ভারত প্রেমী হয়ে উঠেছে

লিখেছেন অপলক , ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৯



গত কয়েক মাসে GP বহু বাংলাদেশী অভিজ্ঞ কর্মীদের ছাটায় করেছে। GP র মেইন ব্রাঞ্চে প্রায় ১১৮০জন কর্মচারী আছেন যার ভেতরে ৭১৯ জন ভারতীয়। বলা যায়, GP এখন পুরোদস্তুর ভারতীয়।

কারনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কম্বলটা যেনো উষ্ণ হায়

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৭


এখন কবিতার সময় কঠিন মুহূর্ত-
এতো কবিতা এসে ছুঁয়ে যায় যায় ভাব
তবু কবির অনুরাগ বড়- কঠিন চোখ;
কলম খাতাতে আলিঙ্গন শোকাহত-
জল শূন্য উঠন বরাবর স্মৃতির রাস্তায়
বাঁধ ভেঙ্গে হেসে ওঠে, আলোকিত সূর্য;
অথচ শীতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইউনুস সাহেবকে আরো পা্ঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪৪


আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৬

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

শহীদ ওসমান বিন হাদি, ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

হ্যাঁ, সত্যিই, হাদির চিরবিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার এই মুহূর্তটিতেই তার খুনি কিন্তু হেসে যাচ্ছে ভারতে। ক্রমাগত হাসি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?

লিখেছেন এ আর ১৫, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৩

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?


হাদিকে মারল জামাত/শিবির, খুনি নাকি ছাত্রলীগের লুংগির নীচে থাকা শিবির ক্যাডার, ডাকাতি করছিল ছেড়ে আনলো জামাতি আইনজীবি , কয়েকদিন হাদির সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×