একটা সময় ছিল যখন বিটিভি ছাড়া অন্য কোন বাংলাদেশি চ্যানেল ছিলনা। ফলে স্বভাবতই মানুষ 'ডিশ' এর দিকে ঝুকে পড়ে। দেশে ভারতীয় কালচারের প্রভাব তখন শুরুর দিকে। আমি তখন প্রাইমারী লেভেলে পড়ি। স্কুলে সবার সাথে সাথে আমিও ভারতীয় বিভিন্ন অনুষ্ঠান নিয়ে আলোচনা করতাম।আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকত অবশ্য 'ডিসকভারী' চ্যানেল এর অনুষ্ঠান।জিটিভিতে 'জি হরর শো' মিস দিতাম না একদিনও।
যাহোক প্রাইমারী লেভেল পার করলাম। বলিউডের ছবি দেখতাম খুব।শাহরুখ খানকে ভাল লাগত। বলিউড দিয়ে সিক্স টু এইট পার করা।ক্লাস নাইন টেনে পড়ার সময় জেমস-মাইলস-বাচ্চুর গান শোনা শুরু পুরো দমে। হালকার উপরে ঝাপসা ছ্যাকা খাওয়ার পরে বাংলা গান শোনার ফিলিংস বুঝতে পারলাম। বাচ্চুর ''এখন অনেক রাত...'' গানটা এই ২০০৮ এও বুকে কাপন তোলে। এখন যেন কেমন হয়ে গেছে বাচ্চুর গানগুলো।
আসল প্রসঙ্গে আসি। এস.এস.সি পার করলাম। আমার বন্ধুদের কিংবা আমার বয়সী ছেলেদের মাঝে হঠাৎ বাংলার প্রতি আগ্রহ দেখলাম। কেউ বাংলা গান শুনছে কেউ গিটারে বাপ্পার গান তুলছে। আর টি শার্টে বাংলা লেখা আকিবুকি নিয়ে ঘুরছে অনেকেই এখন যেটা একটা ক্রেজ হয়ে গেছে। ততদিনে বাংলা চ্যানেল হয়েছে অনেকগুলো। হঠাৎ করে সবাই বাংলা খবর এর প্রতি ঝুকে পড়ল। এখন বোধকরি সবাই যেকোন চ্যানেল এর খবর বা স্ক্রল পড়ে। সেই সাথে বলিউড প্রীতিও থেমে নেই। তবে বলতে দ্বিধা নেই এ ব্যাপারে কেন যেন মেয়েরা অনেক এগিয়ে। ব্যতিক্রম অবশ্যই আছে...।
ব্লগে প্রায়ই বলিউড রিলেটেড পোস্ট দেখি। বিরোধিতা করলে বলা হয় বাংলা সিনেমা দেখতে। হাস্যকর ফিলোসফি। হিন্দি সিরিয়ালের চেয়ে এখনকার নাটক অনেক ভালো, বলিউডের চেয়ে হলিউড ভাল, হোক বিদেশী।
এখন ২০০৮। মানুষ অনেক সচেতন এখন। বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠানের কারনে মানুষ ধীরে ধীরে দেশি চ্যানেলমুখি হচ্ছে যা অবশ্যই ভাল লক্ষন। বিদেশি চ্যানেল দেখবনা তা না তবে দেশে এখন ভাল কিছু হচ্ছে। এগুলোর পৃষ্ঠপোষকতা করলে নিজেদের সংস্কৃতি স্বকীয়তা পাবে।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৩:১০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





