
আমি তখন আমার কৈশোর। দেশে হালাল ব্যাংক এলো, ইসলামি ব্যাংক, এলো হালাল সাবান। অ্যারোম্যাটিক কোম্পানি হলুদ রঙের ১০০% হালাল সাবান। কয়েকদিন ভেবেটেবে বুঝলাম, ব্যবসা আরো পোক্তভাবে শুরু হতে যাচ্ছে। তারপর আস্তে আস্তে জিনিশপত্র হালাল হতে শুরু করলো। যেনো আগে সেইসব জিনিশ হারাম ছিলো।
দেশে এখন হালাল চায়নিজ (মিরপুরের ইয়ানথাই চাইনিজে ১০০% হালাল চাইনিজ পাওয়া যায়), হালাল টেস্ট-টিউব বেবি (এইটা কেমনে মাথায় এখনো ঢুকে নাই), হালাল গরুর মাংস ( বেঙ্গল মিটের মাংস) এবং সর্বোপরি হালাল সিমকার্ড(এই সিম দিয়ে সম্ভবত ফোনসেক্স করা যাবে না, করতে গেলেই সিম লক হয়ে যাবে, কিংবা ফোনালাপকারীগণের গলা ফেটে রক্ত বের হবে, সবই আল্লার ইচ্ছা)। এসএমসি বাজারে হালাল কনডম ছাড়ার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।
এইসব হালালের পেছনে এখন আমাদের বিশাল মিছিল। হযরত আলীকে খলিফা মানি, সাহাবি হিশেবে সম্মান করি, গল্পেস্বপ্লে এজিদ, সিমারদের গোষ্ঠী উদ্ধার করি, হাসান-হোসেনের জন্য কান্নাকাটি করি । কিন্তু আমরা তো এজিদের বংশ পবিত্র সুন্নি। শিয়া মরলে খুশি হই। আইএস যখন শিয়া মসজিদ ভেঙে গুড়িয়ে দেয় তখন চুপ করে থাকি, আর সুলতানা কামালকে দেশছাড়া করার জন্য নেংটা হয়ে রাস্তায় নেমে যাই।
মুখে জয়বাঙলা, অন্তরে দাঁড়িপাল্লা।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:০৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




