আয়ের উপায় হতে পারে ওয়েব কনটেন্ট রাইটিং
সংগ্রহ ঃযায়যায়দনি
রাশেদুর রহমান রনি
ইন্টারনেটের ভুবনজোড়া জালে তৈরি হয়েছে অর্থ উপার্জনের এক নতুন পথ। লেখালেখিই তার মাধ্যম। মৌলিক লেখা লিখতে পারলে ভালো রোজগার আপনার হাতের নাগালে। কিন্তু কথা হচ্ছে কনটেন্ট রাইটিং বিষয়টা আসলে কি? হ্যা, বিষয়ভিত্তিক যে কোনো লেখাই হচ্ছে কনটেন্ট রাইটিং। আর যখন এ কনটেন্ট রাইটিংটা হবে কোনো ওয়েবসাইটের জন্য তখন তাকে বলা হবে ওয়েব কনটেন্ট রাইটিং।
কি লিখবেন, কিভাবে লিখবেন
লেখার বিষয়টা নির্ভর করে লেখকের দক্ষতা, রুচি, সহযোগিতা সর্বোপরি যে সাইটের জন্য লেখা হচ্ছে সেটার চাহিদার ওপর তো বটেই। তবে বিষয়বস্তু যা-ই হোক না কেন একজন ওয়েব কনটেন্ট রাইটারকে কোনো নির্দিষ্ট টপিক নিয়ে রীতিমতো গবেষণা করে ডেটাবেজ তৈরি করতে হয়। সে ক্ষেত্রে কনটেন্ট রাইটার একজন সাংবাদিক আবার গবেষকও বটে। ওয়েবসাইটের ধরন অনুযায়ী ঠিক করে নিতে হয় লাইন অফ অ্যাকশন। যেমন স্ট্যাটিক পোর্টালের ক্ষেত্রে শুধু গবেষণার কাজই মানানসই। আবার ডায়নামিক পোর্টালের ক্ষেত্রে গবেষণার পাশাপাশি সাংবাদিকতার সুযোগও রয়েছে। তবে কনটেন্ট রাইটার, গবেষক বা সাংবাদিক যে নামেই অভিহিত করা হোক না কেন আপনাকে লিখতে হবে একেবারেই মৌলিক লেখা। কারণ ইন্টারনেট বিশ্বব্যাপী সবার কাছেই উন্মুক্ত, অবারিত। বর্তমানে সহজলভ্যও বটে। সুতরাং আপনার স্ক্রিপ্টে কাট-পেস্ট এর প্রভাব থাকা যাবে না। বিশেষ করে আপনি যদি ওয়েবসাইট থেকে তথ্য নিয়ে হুবহু বা আংশিক এদিক-ওদিক করে মেরে দেন তো কপিস্কেপ-এর মতো সফটওয়্যার দিয়ে তা সহজেই ধরা পড়বে। আর বইয়ের মতো প্রতিটি সাইটেরই স্বত্বাধিকার রয়েছে। সে ক্ষেত্রে ফেসেও যেতে পারেন।
লেখা হতে হবে সংক্ষিপ্ত ও প্রাঞ্জল। একজন রুচিশীল পাঠকমাত্রই যা আশা করেন। অর্থাৎ রাইটার হিসেবে আপনাকে মনে রাখতে হবে, যারা ওয়েবসাইটে আপনার লেখা পড়বেন, তিনি মিনিট প্রতি বা ঘণ্টা প্রতি নির্দিষ্ট পয়সা খরচ করে পড়বেন। সুতরাং তিনি চাইবেন সবচেয়ে কম সময়ে প্রয়োজনীয় জিনিস পড়তে। তাই তথ্য নির্ভর, সংক্ষিপ্ত বিষয়ভিত্তিক লেখাই আপনাকে লিখতে হবে। এতে লেখক হিসেবে আপনার গ্রহণযোগ্যতা যেমন বাড়বে তেমনি উপার্জনের পথও প্রশস্ত হবে।
ভালো কনটেন্ট রাইটার হওয়ার জন্য
১. প্রথমত ইন্টারনেট ব্যবহারের খুটিনাটি জানতে হবে। তারপর গবেষণার জন্য থাকতে হবে তীক্ষè একাগ্রতা।
২. থাকতে হবে নিজস্ব সৃজনশীলতায় তথ্যকে সম্পূর্ণ করে লেখার ক্ষমতা এবং সংগৃহীত তথ্যকে সংঘবদ্ধভাবে সাজিয়ে পাঠককে নতুন নতুন স্বাদ পাইয়ে দেয়ার চেষ্টা।
৩. রাইটার হিসেবে একেবারে নতুন হলেও সমস্যা নেই। তবে সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতা থাকলে ভালো হয়। লেখার ইচ্ছা, ভালো রচনাশৈলী ও সময়োপযোগী বিষয়বস্তু নির্বাচনের সামর্থ্য থাকলে এ পেশায় আপনি সফল হবেন।
কনসেপ্টটা ফ্রিল্যান্সিংয়ের
ফ্রিল্যান্স কথাটা আজকাল আর পেশাজীবী কারো কাছেই অপরিচিত নয়। পেশা হিসেবে বিশ্বে অনেক সেক্টরই আছে ফ্রিল্যান্সারদের জন্য। ওয়েব কনটেন্ট রাইটিং এটার জন্য সবচেয়ে আদর্শ। সুতরাং আপনিও হতে পারে একজন ফ্রিল্যান্স ওয়েব কনটেন্ট রাইটার। ঘরে বসেই উপার্জন করতে পারেন মোটা অঙ্কের অর্থ। তবে তার আগে জেনে নিন এ সম্পর্কিত কয়েকটি পোর্টালের ঠিকানা ও আনুষঙ্গিক তথ্য।
১www.writerforcash.com
এখানে আপনার লেখা প্রকাশ হলে লেখাপ্রতি আপনি পাবেন ১৫ থেকে ২০ ডলার। এ জন্য অবশ্য সাইটে দেয়া বিষয়বস্তু নিয়েই লিখতে হবে আপনাকে।
২www.associatedcontent.com
এখানে লেখার জন্য বিষয়বস্তু বাছাইয়ের স্বাধীনতা আপনার। প্রতি ৪০০ শব্দের জন্য এরা সর্বোচ্চ ৪০ ডলার পর্যন্ত পে করে। এ পোর্টালে ফটো ও ভিডিও সংযুক্ত করা যায়।
৩www.constantcontent.com
এ পোর্টালটিতে নিলামের জন্য কনটেন্ট লিখে পেতে পারেন এক থেকে পাচ ডলার পর্যন্ত।
এছাড়াও নিজস্ব আর্টিকল ডিরেক্টরি বা ব্লগ তৈরি করেও সহজেই উপার্জন করতে পারেন।
এ জন্য সার্চ করুন http://www.blogger.com http://www.ezinearticles.com
সাইট দুটি।
নতুনদের জন্য
মনে রাখতে হবে লেখা যেন যুক্তিযুক্ত হয়। লেখার আগে তাই জানা চাই কি লিখছেন, কেন লিখছেন। নিজের কোনো শখ, দৈনন্দিন জীবন, ব্যক্তিগত কোনো অভিজ্ঞতা বিষয়ে লিখতে হলে লেখার শুরুটা হবে আবেগপ্রবণ। কারণ আবেগ পাঠককে নাড়া দেয়। এ ক্ষেত্রে ঘটনার খুটিনাটিতে না গিয়ে বরং যা ঘটেছিল ঠিক তাই বর্ণনা করুন।
অতিরিক্ত শব্দ ব্যবহার না করে সামঞ্জস্যপূর্ণ শব্দ বেছে নিন। লেখা শেষে বারবার পড়–ন। তবে নির্ভুল হওয়ার ব্যাপারে খুতখুতে না হলেও চলবে।
ভালো লেখা পড়া, ই-মেইল, চ্যাটিংয়ের মাধ্যমে ওয়েব রাইটারদের সঙ্গে ভাবনা চিন্তার আদান প্রদান করুন।
লেখার মধ্যে নাটকীয়তা রাখার চেষ্টা করুন। পাঠকরা যাতে চমক পায় সে রকম কিছু রাখুন আপনার লেখায়।
সব শেষে বলতে হয়, বিরূপ মন্তব্যে ভেঙে না পড়ে মৌলিকত্ব বজায় রেখে দৃঢ়ভাবে এগিয়ে যান। সাফল্য আসবেই।
মিশন: কাঁসার থালা–বাটি
বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন
আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন
J K and Our liberation war১৯৭১


জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন
বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ
বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ
কেন বিএনপি–জামায়াত–তুরস্ক প্রসঙ্গ এখন এত তপ্ত?
বাংলাদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে একটি পরিচিত ভয়–সংস্কৃতি কাজ করেছে—
“র”—ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা নিয়ে রাজনীতিতে গুজব,... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।