somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভ্যালেন্টাইন'স ডে পালনের নামে আপনার সন্তান কি কি করছে ছবি ও ভি ডি ও দেখুন। আপনার সন্তানও যদি ঐশী হয় !!

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:১০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ভালোবাসা দিবস বা সেন্ট ভ্যালেন্টাইন'স ডে (ইংরেজি: Valentine's Day) (সংক্ষেপে ভ্যালেন্টাইন'স ডে নাম পরিচিত একটি বার্ষিক উৎসবের দিন যা ১৪ই ফেব্রুয়ারি প্রেম এবং অনুরাগের মধ্যে উদযাপিত করা হয়।এই দিনে মানুষ তার ভালোবাসার মানুষকে ফুল, চিঠি, কার্ড, গহনা প্রভৃতি উপহার প্রদান করে দিনটি উদযাপন করে থাকে।

২৬৯ সালে ইতালির রোম নগরীতে সেন্ট ভ্যালেইটাইন'স নামে একজন খৃষ্টান পাদ্রী ও চিকিৎসক ছিলেন। ধর্ম প্রচার-অভিযোগে তৎকালীন রোমান সম্রাট দ্বিতীয় ক্রাডিয়াস তাঁকে বন্দী করেন। কারণ তখন রোমান সাম্রাজ্যে খৃষ্টান ধর্ম প্রচার নিষিদ্ধ ছিল। বন্দী অবস্থায় তিনি জনৈক কারারক্ষীর দৃষ্টিহীন মেয়েকে চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ করে তোলেন। এতে সেন্ট ভ্যালেইটাইনের জনপ্রিয়তার প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে রাজা তাকে মৃত্যুদণ্ড দেন। সেই দিন ১৪ই ফেব্রুয়ারি ছিল। অতঃপর ৪৯৬ সালে পোপ সেন্ট জেলাসিউও ১ম জুলিয়াস ভ্যালেইটাইন'স স্মরণে ১৪ই ফেব্রুয়ারিকে ভ্যালেন্টাইন' দিবস ঘোষণা করেন। খৃষ্টান জগতে পাদ্রী-সাধু সন্তানদের স্মরণ ও কর্মের জন্য এ ধরনের অনেক দিবস রয়েছে। যেমন: ২৩ এপ্রিল - সেন্ট জজ ডে, ১১ নভেম্বর - সেন্ট মার্টিন ডে, ২৪ আগস্ট - সেন্ট বার্থোলোমিজম ডে, ১ নভেম্বর - আল সেইন্টম ডে, ৩০ নভেম্বর - সেন্ট এন্ড্রু ডে, ১৭ মার্চ - সেন্ট প‌যাট্রিক ডে। পাশ্চাত্যের ক্ষেত্রে জন্মদিনের উৎসব, ধর্মোৎসব সবক্ষেত্রেই ভোগের বিষয়টি মুখ্য। তাই গির্জা অভ্যন্তরেও মদ্যপানে তারা কসুর করে না। খৃস্টীয় এই ভ্যালেন্টাইন দিবসের চেতনা বিনষ্ট হওয়ায় ১৭৭৬ সালে ফ্রান্স সরকার কর্তৃক ভ্যালেইটাইন উৎসব নিষিদ্ধ হয়। ইংল্যান্ডে ক্ষমতাসীন উৎসব পিউরিটানরাও একসময় প্রশাসনিক-ভাবে এ দিবস উদযাপন করা থেকে বিরত থাকার জন্যে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এছাড়া অস্ট্রিয়া, হাঙ্গেরি ও জার্মানিতে বিভিন্ন সময়ে এ দিবস প্রত্যাখ্যাত হয়। বর্তমানকালে, পাশ্চাত্যে এ উৎসব মহাসমারোহে উদযাপন করা হয়। যুক্তরাজ্যে মোট জনসংখ্যার অর্ধেক প্রায় ১০০ কোটি পাউন্ড ব্যয় করে এই ভালোবাসা দিবসের জন্য কার্ড, ফুল, চকোলেট, অন্যান্য উপহার সামগ্রী ও শুভেচ্ছা কার্ড ক্রয় করতে, এবং আনুমানিক প্রায় ২. ৫ কোটি শুভেচ্ছা কার্ড আদান-প্রদান করা হয়।


এবার আসি মূল প্রসঙ্গে:

ভালোবাসা মানে হল হৃদয় এর মানুষটিকে প্রাণ উজাড় করে ভালোবাসা। যদিও ভালোবাসার মানুষটিকে ৩৬৫ দিনই ভালবাসতে হবে। এর পরও একটি বিশেষ দিনকে (১৪ ফেব্রুয়ারি) উপলক্ষ হিসেবে ধরে প্রেমিক প্রেমিকারা ভালোবাসা দিবসটি উদযাপন করেন।

এখন চলুন কিভাবে বাংলাদেশে দিবসটিকে কিভাবে উদযাপন করা হয় তার কয়েকটি বাস্তব চিত্র দেখিঃ



দিন বদলের সাথে সাথে ছেলে মেয়েরা আধুনিক হচ্ছে। ভালোবাসা দিবসকে উপলক্ষ করে প্রেমিকের সাথে লঙ ড্রাইভ, রেস্টুরেন্টে খেতে যাওয়া, ফুল কার্ড দিয়ে সেলিব্রেট করা এতটুকু আমার কাছে স্বাভাবিক। কিন্তু শুধু তাই কি? না। বাস্তবের চিত্র ভিন্ন। চলুন জানি ভালোবাসা দিবস পালনের নামে ঐ দিনে কি কি নোংরামি হয়। বাস্তবতার প্রেক্ষিতে উল্লেখ যোগ্য ৩ টি নোংরামির কথা ব্যাখ্যা করা হলোঃ

প্রেমিকাকে নিয়ে ডেট করার জন্য হোটেলের রোম রিজার্ভেশানঃ


এখনকার যুগের ছেলে মেয়েরা হোটেল ডেট নামক শব্দটির সাথে বেশ পরিচিত। ভালোবাসা দিবসকে উপলক্ষ করে প্রেমিকের সাথে হোটেলে ডেটিং করতে যায়। তরুণী ! তুমি কি ফ্রি-সেক্সে বিশ্বাস কর? যদি না কর তাহলে বল যে ছেলেটির সাথে হোটেলে ডেটিং করতে গেছ সে তোমাকে বিয়ে করবে তার নিশ্চয়তা কি? কাল যদি তার সাথে তোমার ব্রেক আপ হয়ে যায় তখন কি করবে? অন্য একটি ছেলের সাথে প্রেম করবে? এভাবে ! কি চলে ? জীবনটিকে ধ্বংস করে দিবে? তোমার মা-বাবার স্বপ্ন তুমি ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার-ব্যারিস্টার হবে? সে স্বপ্ন এর কি হবে? যে মা তোমাকে ১০ মাস ১০ দিন গর্ভধারণ করে নির্মম প্রসব বেদনা সহ্য করেছেন অসহনীয় যন্ত্রণা ভোগ তোমাকে পৃথিবীর আলো দেখিয়েছেন, যে বাবা তোমাকে মানুষ করার জন্য নিজের রক্ত পানি করেছেন অথবা এখনো করছেন তাদের অপমান করার ও সমাজে হেয় করার অধিকার তোমাকে কে দিয়েছে? একবার ভেবে দেখ, একবার মা-বাবার মুখটি মনে করে দেখ । তাদের বিশ্বাসের সাথে প্রতারণা করতে লজ্জা করবেনা?

সিসা বার এ গিয়ে আধুনিকতার নামে নেশাগ্রস্ত হয়ে মা-বাবাকে কষ্ট দেওয়াঃ মন্ত্রী এম.পি দের মদদে ঢাকা- চট্টগ্রামে সিসা বার খুলে রেখেছে তথা কথিত ব্যবসায়ীরা ।



এসব সিসা বারে সন্ধ্যার পর তরুণ-তরুণীরা সিসা আর সিগারেটের ধোয়ায় নিজেকে হারিয়ে ফেলে এক অজানা রাজ্যে। আধুনিকতার নামে স্কুল পার হয়ে কলেজে যাওয়ার পর এখনের ছেলে মেয়েদের বয় ফ্রেন্ড গার্ল ফ্রেন্ড জুটে যায়। ১ দিন ২ দিন ৩ দিন যাওয়ার পর পরিপূর্ণ ভাবে নেশা গ্রস্ত হয়ে পড়ে। জন্ম নেয় এক একজন ঐশীর । যে কিনা নেশা করতে করতে এতটাই আসক্ত হয়ে যায় যে নিজের মা-বাবাকে হত্যা করতে দ্বিধাগ্রস্ত হয়না। ছেলে মেয়েরা নেশা গ্রস্ত হলে মা বাবা কত কষ্ট পান তা শুধু মাত্র নেশা গ্রস্ত ছেলে মেয়েদের পিতা মাতারাই অনুভব করতে পারে।




ভ্যালেন্টাইন ডে পালনের নামে ডি জে পার্টিতে গিয়ে মদ খেয়ে তাল হারিয়ে ফেলা পরে নিজের সতীত্ব বিসর্জনঃ


ভ্যালেন্টাইন'স ডে উপলক্ষে আয়োজন করা হয় ডি জে পার্টির। সে সব পার্টিতে আয়োজকরা নিজেদের ব্যবসার জন্য ভাড়া করে আনে কল গাল। ভাড়া কোরে আনে কিছু হাই সোসাইটি গার্লও। থাকে দেশী বিদেশী মদ। সে পার্টিতে কিছু স্পেশাল টিকেট থাকে অনেক স্পেশাল টিকেট।


যে টিকেট গুলোর দাম প্রায় ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। ৫০ হাজার টাকা দিয়ে টিকেট কিনলে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়। সুবিধা গুলোর মধ্যে একটি হলো পার্টি শেষে শহরের হাই সোসাইটি গার্ল দের সাথে রাত্রি যাপন। সে হাই সোসাইটি গার্লরা কল গার্ল না। খুব খেয়াল !!



এরা কোন ভদ্র ফ্যামিলির সন্তান। কোন সভ্য শিক্ষিত মা-বাবার কলিজার টুকরো। শুধু মাত্র নেশাগ্রস্ত হয়ে যাওয়ার কারণে নিজের নেশার চাহিদা মেটাতে এক রাতের জন্য নিজেকে বিক্রি করে। আরও বেশি টাক দিলে পাওয়া যায় মেয়ে ডিজেদের।ডিজে সোনিকার সুমধুর ডিজের ঝংকারে কিছুক্ষণের মধ্যে নাচতে নাচতে তাল হারিয়ে ফেলে তরুণ তরুণীরা। শুরু হয় নোংরামি। ডি জে পার্টি গুলোর কমন দৃশ্য হচ্ছে একটা গ্রুপে ১০ -১৫ টা ছেলে থাকে মাঝখানে ২-৩ টা মেয়ে থাকে। তারপর দল বেঁধে নাচে।

ভিডিও টি দেখুনঃ

অভিজাত ও উচ্চবিত্ত পরিবারের ছেলেদের অনেকেই গার্ল-ফ্রেন্ড নিয়ে আনন্দ-ফুর্তি করতে ডিজে পার্টিতে আসে। আবার অনেকে আসে একাকী। একাকী যারা আসে, তাদের জন্যই পার্টিতে থাকে চিয়ার্স গার্লরা। পয়সাওয়ালা পুরুষরাই থাকে চিয়ার্স গার্লদের মূল টার্গেট। আয়োজকরাই ইশারায় চিয়ার্স গার্ল দের চিনিয়ে দেয় মালদার পুরুষকে। ব্যাস, তাকে টার্গেট করেই এগিয়ে যায় একেকজন চিয়ার্স গার্ল। নাচের নামে একটু একটু করে বাড়ায় ঘনিষ্ঠতা। দেহের বিশেষ বিশেষ জায়গার ছোঁয়া দিয়ে পুরুষটির দেহমনে তৈরি করে পুলক। এরপরই শুরু হয় বেড পার্টনার হওয়ার দর কষাকষি।




একই সাথে চিয়ার্স গার্লরা জেনে নেয়, সে বাবা (ইয়াবা) নেয় কিনা? যদি উত্তর পজিটিভ হয় তাহলে তো পোয়াবারো। খুলে গেল তার ব্যবসার নতুন দুয়ার। পেয়ে গেল সে নিয়মিত খদ্দের। অভিযোগ আছে, বেশিরভাগ চিয়ার্স গার্লই ইয়াবা আসক্ত। ফিগার ঠিক রাখা আর ‘নাইট পার্টি’-তে হাজিরা দিতে রাত জাগার জন্য তারা নিয়মিতই ইয়াবা সেবন করে। এদের অনেকেই আবার মাদক সিন্ডিকেটের ডিলার বা এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। ডিজে পার্টির আয়োজকদের অনেকের বিরুদ্ধে মাদক সিন্ডিকেটের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ আছে।




এই তিনটি উল্লেখ যোগ্য। এ ছাড়াও আরও অনেক নোংরামি হয়।
প্রিয় বোন জানি আমার কথা খারাপ লাগবে। এরপরও বলছি তুমি ভালোবাসা দিবস উদযাপন কর। কিন্তু নিজের শরীরটা প্রেমিকের খাবার এ পরিণত করোনা। আধুনিকতার নামে নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়িয়োনা। এতে সাময়িক আনন্দ পাওয়া যায় বটে কিন্তু সে আনন্দ তোমাকে সারা জীবন কষ্ট দিবে। তোমাকে একাধিক বার ভোগ করে তোমার রূপ যৌবন ধ্বংস করে সে যখন তোমার প্রতি মোহ হারিয়ে অন্য একটি মেয়ের সাথে জড়িয়ে যায় তখন কি করবা? প্রেম কর কোন আপত্তি নেই কিন্তু নিজেকে সস্তা করোনা। তোমাকে আজ যে ইয়াবা সিসা তোমাকে ভোগ করার জন্য টাকা খরচ করে কিনে দিচ্ছে কাল তোমার প্রতি মোহ হারিয়ে ফেলার পর সে যদি তার মোবাইল অফ করে অন্য মেয়ে নিয়ে ফুর্তি করে তখন কি করবা?সে তোমাকে সারা জীবন সিসা, ইয়াবা , মদ কেনার টাকা দিবে তার নিশ্চয়তা কি? তুমিও অন্য একটি ছেলের সাথে নিজেকে জরাবে নতুন করে? না বোন তোমার সে সুযোগ নেই। তোমার মধ্যে যে মধু ছিলো তা আগের জন পুরোটাই চুষে নিয়েছে। তখন নেশার টাকা জোগাড় করতে হয় তোমাকে ঐশী হতে হবে অথবা আদৃতা হতে হবে। মনে পড়ে আদৃতার কথা?



সারাদিন ফ্যাশান শো আর ফটো শুট করে যা টাকা ইনকাম করতো তা দিয়ে নেশা করত। একদিন সে নেশায় তাকে হত্যা করে। সে না হয় মডেল ছিলো। টাকা জোগাড় করতে পারতো। কিন্তু তুমি কি করবা? একবার ঠাণ্ডা মাথায় আমার কথা গুলো ভেবো। তারপর সিদ্ধান্ত নিও নেক্সট ভ্যালেন্টাইন'স ডে তে তুমি কি করবে আর তোমার কি করা উচিত।


প্রিয় আধুনিক বাবা-মা,

আপনি যদি মুসলিম হয়ে থাকেন তবে তো অবশ্যই পরকালেও বিশ্বাস করেন। আপনার সন্তান মদ খাচ্ছে, পাপাচার, যৌনাচার করছে কেয়ামতের দিন আল্লাহকে কি জবাব দিবেন সে প্রশ্ন রেখে গেলাম !!


একটু পেছনে ফিরে যাই। এই ভ্যালেন্টান্স ডে এর আড়ালে চাপা পড়ে এক দুঃসহ স্মৃতি। ভালোবাসা দিবস কি কেন এবং কিভাবে এদেশে পালিত হয় তার সুন্দর বিবরন আছে ব্লগার দিনমজুর ভাই এর এই পোস্টে। তার এই পোস্ট থেকে কিছু লাইন যুক্ত করে দিলাম। সারা বিশ্বেই ফ্রেন্ডশিপ ডে’র আড়ালে চাপা পড়ে যায় হিরোশিমা দিবস আর আমাদের দেশে ভ্যালেন্টাইনস ডে’র আড়ালে চাপ পড়ে যায় ১৪ই ফ্রেব্র“য়ারির স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস- ১৯৮৩ সালের এই দিনে তৎকালিন সামরিক শাসক হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদের সামরিক শাসনের অবসান ও গণবিরোধি মজিদ খান শিক্ষাকমিশন বাতিলের দাবিতে তীব্র আন্দোলন রচনা করেছিল তৎকালিন ছাত্রসমাজ। ১৪ই ফেব্র“য়ারি তারিখে শিক্ষামন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি প্রদানের উদ্দেশ্যে সামরিক আইন ভঙ্গ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা থেকে যাত্রা শুরু করে কার্জন হল ও শিক্ষাভবনের সামনে পৌছানো মাত্রই আর্মি-পুলিশের গুলিতে শহীদ হন জাফর-জয়নাল-দিপালী সাহা। এরই ধারাবাহিকতায় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতৃত্বে সারা দেশেই তীব্র হয়ে উঠে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন যার ফলশ্র“তিতে ’৯০ এর গণআন্দোলনের মধ্যদিয়ে সামরিক শাসনের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘটে। আজ সামরিক শাসক ক্ষমতায় নেই কিন্তু কর্পোরেট সংস্কৃতির এমনই মহিমা যে, ১৪ই ফেব্র“য়ারি তারিখে যে তারুণ্য একদিন স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস রচনা করেছিল সেই তারুণ্যেরই একটা অংশ এখন চলমান শোষণ নির্যাতন প্রতিরোধের বদলে কর্পোরেট স্পন্সরড ’ভ্যালেন্টাইনস ডে’তে বুঁদ হয়ে থাকে!

"পরবর্তীতে পশ্চিমাদের দালাল শফিক রেহেমান ১৯৯৩ এ যায়যায়দিন পত্রিকা থেকে প্রথম ভালবাসা দিবস পালনের আহবান জানিয়ে একটি বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করে।” আর তখন থেকে ভ্যালেন্টাইন'স ডে বাংলাদেশের তরুণ দের কাছে পরিচিত হতে থাকে। ভ্যালেন্টাইন'স ডে পালনের নামে এসব নোংরামির পেছনে শফিক রেহেমান দায়ী। "

আসুন আমরা ১৪ই ফেব্রুয়ারিকে স্বৈরচার প্রতিরোধ দিবস হিসেবে পালন করি।


আমাদের দেশের তরুণরা ফাস্ট হবে, স্মার্ট হবে, বিজ্ঞান শিখবে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে আমি এসবের পক্ষে। কিন্তু আধুনিক হতে গিয়ে পাপাচার করা, মদ্য পান করে নারী নিয়ে ফুর্তি করা এসব আমার কাছে নোংরামি। এ সব আধুনিকতা আপনার সন্তানকে ধ্বংসের পথে ঠেলে দিবে। তাই-এখনই সচেতন হতে হবে। না হলে আপনার সন্তানরা হয়ে উঠবে এক একজন ঐশী। পরিপূর্ণ ভাবে নেশাগ্রস্ত হয়ে গেলে নেশার টাকা জোগাড় করতে ঐশীর মত আপনার সন্তানও আপনাকে হত্যা করতে পারে। তাই সিদ্ধান্ত আপনার।

সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:১১
৫৬টি মন্তব্য ৫৬টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কিভাবে বুঝবেন ভুল নারীর পিছনে জীবন নষ্ট করছেন? - ফ্রি এটেনশন ও বেটা অরবিটাল এর আসল রহস্য

লিখেছেন সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪

ফ্রি এটেনশন না দেয়া এবং বেটা অরবিটার


(ভার্সিটির দ্বিতীয়-চতুর্থ বর্ষের ছেলেরা যেসব প্রবলেম নিয়ে টেক্সট দেয়, তার মধ্যে এই সমস্যা খুব বেশী থাকে। গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত কমসে কম... ...বাকিটুকু পড়ুন

সম্পর্ক

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৪২


আমারা সম্পর্কে বাঁচি সম্পর্কে জড়িয়ে জীবন কে সুখ বা দুঃখে বিলীন করি । সম্পর্ক আছে বলে জীবনে এত গল্প সৃষ্টি হয় । কিন্তু
কিছু সম্পর্কে আপনি থাকতে চাইলেও থাকতে পারবেন... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতিদিন একটি করে গল্প তৈরি হয়-৩৭

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৫১




ছবি-মেয়ে ও পাশের জন আমার ভাই এর ছোট ছেলে। আমার মেয়ে যেখাবে যাবে যা করবে ভাইপোরও তাই করতে হবে।


এখন সবখানে শুধু গাছ নিয়ে আলোচনা। ট্রেনিং আসছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

একাত্তরের এই দিনে

লিখেছেন প্রামানিক, ০১ লা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

আজ মে মাসের এক তারিখ অর্থাৎ মে দিবস। ১৯৭১ সালের মে মাসের এই দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে উঠে। এই দিনে আমার গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×