গত কিছুদিন যাবতই নাস্তিকরা খেপেছে। কেন খেপেছে জানতা হলে পড়তে হবে। পেইড ব্লগারদেরও লিস্ট আছে।
ধর্ম একটা প্রয়োজনীয় বিষয়। এটা বাতিল যোগ্য হলে,এটা ছাড়াই সমাজ ভাল চললে বহু আগেই এই গাঁজাখুরি জিনিসটা সমাজ থেকে উঠে যেত। সমাজে ধর্মের প্রয়োজনীয়তা প্রমানিত যেহেতু এটা এখনো সমাজে টিকে আছে। এট লিস্ট উতসবগুলোর মাধ্যমে সমাজে এখনো কিছুটা হলেও সম্প্রীতি বজায় আছে।
নাস্তিকরা(ব্লগ নাস্তিকদের কথা বলছি) এর পিছনে লাগছে, কারন তারা পেইড ব্লগার। আর তাদের জ্ঞান তো নাইই, (আসল নাস্তিকদের দু একজন ব্লগে ছিল,নিকটাও আছে, কিন্তু সে থেমে গেছে,তার মত নাস্তিক নিয়া আমাদের মাথা ব্যাথা নাই) নিচু পরিবারের ছেলে-পিলে। রাস্তা ঘাটে জন্ম হইছে। কেউ অফিসে কেরানি,কেউ কন্সট্রাকটর অফসের পিয়ন/বায়ার/দালাল/কেউ ফটোশপ ইঞ্জ্বিনিয়ার/কেউ পত্রিকা অফসের টাইপিস্ট,কেউ বাল-ছাল সাবজেক্টে পড়ে, তারা কিছু টাকার লোভে ঝাপায়ে পড়ছে, আগে অবশ্য এন্টি-ছাগু স্ট্যান্ড নিছে,যাতে কেউ কিছু কইতে না পারে।এদের জাস্ট এড়াইয়া যান। এদের পোস্টে এরা নিজেরাই কমেন্ট করুক আর এদের রিভার্স নিকগুলো খেলে যাক, জানা-আরিল তাদের বাচ্চার সামনে যদি নির্লজ্জের মত চোখ-মুখ বন্ধ কইরা এই রমজান মাসে মৌজ করতে পারে তাইলে আমরা ক্যান অন্তত এই রমজান মাসে তাগো পোস্টে কমেন্ট করা থেকে বিরত থাকতে পারব না?
আমরা মুসলমান, আল্লাহকে জন্মের পর থেকে অন্ধভাবে বিনা বাক্যে সৃষ্টিকর্তা হিসেবে মেনে নিয়েছি। কেউ তার বিধানে চলি কেউ চলি না। তবে আমাদের এই পালন নিয়ে আবেগ আছেই। আমরা তো ভাল আছি, কারো কোন ক্ষতি করছি না। নাস্তিকদের ধরে ধরে মুসলমান বানানোর ও ট্রাই করছি না,এমনকি তাদেরকে বলছিও না ইসলাম আপনাকে পালন করতেই হবে। তাহলে আমরা যদি কারো সমস্যা না করে ভাল থাকতে পারি তাহলে আপনার সমস্যা কই? আপনি কেন আমাদের সবচেয়ে আবেগের সময় এসে আঘাত হানছেন? এটা ওটা ধরে ভুল প্রমানের জন্য জ্ঞানহীন যুক্তি দিয়ে ভুল প্রমান করিয়ে ছাড়বেনই এমন ধারনা নিয়ে ব্লগিং করছেন? আপনি তাহলে ভাল হলেন কোন দিক দিয়ে? আমাদেরকেও নাস্তিক হতে হবে নাহলে আমরা আপনার উপহাসের বস্তু হব আপনাদের তামাশা করার খেলা করার ধমক খাবার বস্তু হবে কেন?
আমরা ব্লগটাকে আমাদের ধর্মের প্রচারের কাজে ব্যবহার করছি না যে এই ব্লগে আমরা আসতে পারব না, আপনি যদি ভুল মনে করে তৃপ্ত থাকেন তাহলে থাকেন না তৃপ্ত,মানুষকে জালাচ্ছেন কেন? কোরানের মত একটা মানবতার জন্য গ্রন্থ লিখে এসে কোরানের ভুল ধরেন,এখন কেন শুধু শুধু জ্বালাচ্ছেন? ধর্ম একটা ব্যক্তিগত বিষয়, পালনের দিক থেকে হয়ত সামাজিক বা বিশ্বব্যাপী, তাহলে আপনি আপনার বিশ্বাস নিয়ে থাকুন, আপনার মত করে জীবন-যাপন করুন,আপনি যদি ভাল কিছুর জন্ম দিয়ে যেতে পারেন লোকে পরে অবশ্যই আপনার জীবন ব্যবস্থাকেই অনুসরন করবে, তাই বলে মুসলিমদের অনুভূতিকে গালাগালি করা কতটুকু কাজের কথা? ধর্মে অনেক গোড়ামি আছে, জঙ্গিবাদ,মৌলবাদ,উগ্রবাদ সেগুলোর পিউরিফিকেশন নিয়ে আলোচনা হতে পারে। ইতিহাস থেকে সমাধান আনতে পারেন,তাই বলে গোটা ধর্ম ব্যবস্থা তুলে দিয়ে আপনারা সমাজ কিভাবে চালাতে চান? মানুষ কি নিজের ইচ্ছায় চলবে? জন্ম্বের পর থেকে প্রগতিশীল হয়ে যাবে? তারা কোন কমিউনিটির মধ্যে বড় হবে? তাদের তথাকথিত সুন্দর মস্তিষ্ক কিভাবে আসবে? সুন্দর মন কে গড়বে ? কিভাবে গড়বে? ধর্ম যে একটা শিক্ষা সেইটা না মানলে কিভাবে করবে? আর মানলে এইটার পিছনে লাগছ কেন? একটা শিশুকে চুরি করা খারাপ বললে কখনোই সেটা সামাজিকীকরন এর অংশ হতে পারে না বরং চুরি করলে শাস্তি আছে বললে সেটাই সামজিকীকরন হবে(তোদের মত মূর্খ্রা তো এখনই নেটে সার্চ দিবি সামজিকীকরন কি জিনিস জানতে) প্রতিটা অনুকনার ও নিজস্ব ধর্ম আছে, একটা কনাও নিজের ধর্ম ছাড়া চলে না। কিন্তু শালা তোরা এই প্রকৃতির সন্তাত হইয়াও ধর্ম পালন করতে চাস না। মানুষ হয়ে জন্মালে বাই ডিফল্ট কিছু ধর্ম পালন করতে হয়, মানবতা হোক আর ইবাদতের ধর্ম হোক।ধর্ম মানে যে খালি ঐ ইসলাম আর হিন্দু না বুঝস তোরা? একটা শিশুরে তোরা কি ধর্ম শিখাবি? তুই কে? তোর শিখানোর কি আছে? যারা ধর্ম প্রতিষ্ঠা করে গেছে তারা তো কিছু করে গেছে মানবতার জন্য, তোরা কি বাল করছস যে তোরা নতুন ধর্ম বানাবি? নতুন করে সমাজরে শিখাবি? বল শাউয়ার বাচ্চার।
আমাদের জ্বালাবেন না। সহজ কথায় বললাম।সামুর উপ্রে হুদাই দপাইয়েন না। হুদাই ব্লগের পরিবেশটা নষ্ট করিস না।
ব্লগিং করার অনেক বিষয় আছে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




