আমার কথা হচ্ছে অর্থ মানুষকে প্রচুর কষ্ট দেয়। অর্থের জন্য মানুষ অতি জঘন্য কাজ করে ফেলে। তার মূল্যবোধকে ক্ষুন্ন করে। সমাজে কিছু মানুষ আছে যারা মানুষকে অসত কাজে ব্যবহার করে। আর মানুষ অভাবের তাড়নায় সেই খারাপ কাজে লিপ্ত হয়। শুধু অর্থ না মানুষের ভালবাসাটাও আজ কমে গেছে। সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। মানুষের মধ্যে মায়া মহব্বতের অভাব পড়েছে। ধনী মানুষ অর্থের জোরে নিজের মত দুনিয়াটাকে সাজাচ্ছে । আর কিছু শ্রেনীর মানুষের কিছুই করতে না পেরে অসহায়ত্বের দ্বারে মাথা ঠুকছে।
আমরা যা পাই তাতেই আমাদের খুশি থাকতে হবে। হতাশা জীবনে দুর্ভোগ নামিয়ে আনে। আল্লাহ তায়ালা মানুষকে বলেছে সবুর কর। যারা ধনী, তারা ধনী কেন। কারণ তাদের সমাজের প্রতি প্রচুর দায়িত্ব আছে। কিন্তু তারা তা ভুলে যায়। তারা আরো অর্থ কামানোর নেশায় মত্ত থাকে। মোবাইল আপডেটের সাথে সাথে হাতে সেই মোবাইল থাকা। প্রতি বছর নতুন নতুন গাড়ি বাড়ি কিনার জন্য এই অর্থ ধনী মানুষের হাতে আসে না। আসে এই অর্থের সুষম বন্টনের জন্য। তারা হল মাধ্যম। এই কথাগুলো তাদের মাথায় যায়না। এজন্যই তারা নিজেরা কখনো শান্তিতে থাকতে পারেনা।
ভালবাসা আর অর্থ এমন দুটি পবিত্র রূপক যা নিজে ভোগ করাতে না, বিলিয়ে দেয়াতে আনন্দ। আমার জন্য একটা মানুষ হাসবে এটাই তো অনেক। এর চেয়ে আর সুখ এই পৃথিবীতে আছে? আমার আর কি চাই। সবাই যদি এমন হত তাহলে আমরা আমাদের পৃথিবীটাকে আরো সুন্দর করে তুলতে পারতাম। আমরা আমাদের কাজগুলো ভাগ করে নিব। আমি একলা কতটুকু পারব। সবাইকে হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। আমার, আমাদের, দেশের কল্যাণে কাজ করে যাব, যেতে হবে। আমরা এই কাজগুলোকে, এভাবে ব্যবহার করবনা- যে কারো উপকার করছি। এটা আমাদের দায়িত্ব। যে, যতটুকু পারি করি, করার চেষ্টা করি। আমার আর কিছুই বলার নেই ।
আমি এই চারজন মানুষকে জীবনের অর্থ বুঝাতে পেরেছি এতেই আমার শান্তি। আসেল আমি না ত্তরা নিজেরাই নিজেদের পরিবর্তন করেত পেরেছে। মানুষ নিজের থেকে ভালো না হতে চাইলে কেও তাদের ভালো করতে পারবেনা। আমরা শুধু মাধ্যম- আমি, রেহান আর রেহানা। আমি এগুলো লিখেছি আমার সুনাম খ্যাতির জন্য না আমি লিখেছি কারণ আমার এই কথা পড়ে আরও কেও যেন তাদের হাত বাড়িয়ে দেয়। আমি আর কিছুই বলতে চাইনা।
আমি রেহান আরেকটু যোগ করতে চাচ্ছি। মামার মত বানী আমি দিতে পারবনা। আমি একটু অন্যরকম। তবে মামার মত হতে চাই । মামা মহত অধিকারের মানুষ। অনিলা, যাকে আমি ভালবাসি। সে এখন সুস্থ এবং এখন আমার অর্ধেক। বুঝছেনতো। অলিন্দ, অমিত, আমার ভালোবাসা অনিলাকে মাদক থেকে দূরে সরাতে সক্ষম করেছে। অমিত একজন অনেক ভালোমানুষ। অমিত অনিলাকে বুঝায়,
“দেখ আমি আমার ধর্ম ত্যাগ করতে পারব না। আমি চাই না তুমি তোমার ধর্ম ত্যগ কর।”
আমি অমিতের পরের কথা শুনে তো হতভাগ হই। অমিত অনিলাকে বুঝায়,
“দেখ আমরা মানুষ আমাদের সবপাওয়া যে পূরণ হবে তা তো ঠিকনা। সব পূরন হলে তো তাহলে আমরা মানুষ হলামনা। তখন তো হয়ে যাব রূপকথার চরিত্র। বাস্তবে তা সম্ভবনা। আমাদের বেচে থাকতে হবে আমাদের জন্য, আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য। মুসলমান ধর্মে আছে বিধর্মি মানুষের হাতে কিছু খাওয়াও পাপ। আর তুমি আমাকে ভালবাসার চিন্তা করছ। তুমি এমনটি কর না। আমরা ভাল বন্ধু ছিলাম এবং থাকব। রেহান তোমাকে অনেক ভালবাসে ও জানে তুমি তিলে তিলে শেষ হয়ে যাচ্ছ, তুমি মাদক সেবন কর তারপরও ও তোমাকে গ্রহণ করতে চাচ্ছে তোমাকে ভালো করতে চাচ্ছে। আমি কখনও করতাম না এমন। প্লিজ তুমি ভালো হয়ে যাও কমপক্ষে রেহানকে আর কষ্ট দিওনা।”
অলিন্দ তাকে বুঝালো,
“আমি ভুল করেছিলাম আমি চাচ্ছিলাম তুমি খারাপ হয়ে যাও আমার জন্য আজ তোমার এই অবস্থা প্লিজ তুমি আগের মত হয়ে যাও। দেখ আমি এখন আগের চেয়ে কত ভাল আছি। আমকে ঘৃণা কর আমার কিছু আসে যায় না। তবে নিজেকে শেষ করে দিও না।
অনিলা তার ভুল বুঝে। আমি আজও অনিলাকে ভালবাসি। অনিলা অনেক ভালো মেয়ে।
আমি অলিন্দ কিছু বলতে চাই। আমরা মানুষ। আমাদের অনেক চাওয়া পাওয়া আছে। সব চাওয়া পাওয়া আমাদের পূরণ হবেনা। এটাই স্বাভাবিক। তাই বলে মাদক কোন সলুইউসান না। আমরা কেন মাদক নিব। পৃথিবীতে কত মানুষ না খেয়ে অছে। কত মানুষ থাকার জন্য আশ্রয় পাচ্ছে না। আমরা একবারও তাদের কথা ভাবিনা। আমরা স্বার্থপরের মত কাজ করি। আমরা আমাদের নিয়ে ভাবি। মাদক আমাদের তিলে তিলে শেষ করে দেয়। আমরা মাদককে না বলব। স্বাভাবিক থাকব। অস্বাভাবিক কিছুই আমরা চিন্তা করব না। তাহলেই আমরা ভালো থাকব। আমরা শুধু আমাদের যা কর্তব্য তাই করে যাব। মানুষের পাশে সবসময় থাকব। আমার এবং মানুষের কথা ভাবব। এই পৃথিবীতে প্রত্যেকটি মানুষ একে অপরের আপনজন। আমি এটাই মনে করি। এবং সবার সুখে আমি হাসব, সবার দু:খে আমি কাদব। তার বেদনাকে আমার বেদনা মনে করব। তার উপায় বের করব। এটাই হওয়া উচিত পৃথিবীর নিয়ম। আমরা যারা ভুল পথে চলি তাদের নির্দেশনা দেয়ার জন্য শুধু ভাল বন্ধু চাই মহান আংকেলের মতন, রেহানের মতন। শেষে আরেকবার বলি মাদক কোন সমাধাননা। খামাকা এর পিছনে টাকা খরচ করে অর্থ আর নিজেকে শেষ করিনা।
এটা শ্রেফ একটা গল্প। প্রত্যেকটি চরিত্র সাজানো। এইসব চরিত্রের কোন ভিত্তি নেই। গল্পটা লিখেছি সমাজের মানুষের শিক্ষা দেয়ার জন্য। মানুষের কর্তব্য কি, তা ধরিয়ে দেয়ার জন্য। জানিনা কেমন হয়েছে। সামান্য চেষ্টা করলাম মাত্র।
জীবনের গল্প ১ Click This Link
জীবনরে গল্প ২ Click This Link
জীবনের গল্প ৩ Click This Link
জীবনের গল্প ৪ Click This Link