শ্রদ্ধেয় স্যার জনাব মশিউর রহমান হেলালীর কাছে আমাদের চাওয়া-পাওয়া
মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বি,এ (অনার্স) এমএ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
সাবেক-প্রভাষক, বঙ্গবন্ধু ডিগ্রী কলেজ ও বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের তথ্য সরবরাহকারী (১৯৫৬-১৯৭১)
একবিংশ শতাব্দীর রাজনীতি অনেকাটাই অঘটনে-ঘটনা, তাই ফলাফল বিষবৃক্ষ। বাংলাদেশের রাজনীতি-এই ক্ষেত্রে এক ধাপ এগিয়ে। আমাদের জাতি-জাতীয়তা, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, ও গণতন্ত্র আজ দলীয় ধ্যান-ধারনার কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। ছাত্র সমাজ বিদ্যা অর্জনকে পাশ কাটিয়ে রাজনীতিকে কর্ম হিসাবে গ্রহন করে সমগ্র ্রদেশময় অর্থনৈতিক দুবির্ত্তায়নের সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে তৎপরতা-বাড়িয়েই চলছে; তাদের পিছনে ইন্দন যোগাচ্ছে কতিপয় দেশদ্রোহী স্বার্থপর রাজনীতিক। সর্বকালের নিকৃষ্ঠতম কর্ম/সিদ্ধান্তকে দেশ নেতারা দলীয় ক্ষমতায় শ্রেষ্ঠতম বলে প্রচার-প্রসারে ব্যস্ত রয়েছে। গোটা জাতির কাছে জাতীয়তা, নৈতিকতা, শিক্ষাও সততা এক রহস্যময়তার আবেগে দুল খাচ্ছে। ঠিক যেন ‘মন্ডের মদন খেলা,।
দেশের শিল্পী-সাহিত্যিক, লেখক-সাংবাদিক শিক্ষকসহ সর্ব সাধারন দলীয় রাজনীতির কাছে নত জানু হয়ে বেঁচে থাকার আকুতি করছে। স্বাধীনচেতা ব্যক্তিরা নির্বাক দর্শকের ভূমিকা নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছে। ন্যায়-অন্যায়ে প্রশ্ন অবান্তর, ক্ষমতাসীন দলের তোষামুদিতে কিছু পাবার আশায় হাত কচ্লাচ্ছে বুজোর্য়া পুঁজিবাদীরা। দেশের তরুন-যুবারা বেকারত্বের চাকায় পিষ্ঠ হয়ে ক্রমে ক্রমেই এই অসুস্থ্য রাজনীতির দিকে ঝুকে পড়ছে। তারা যেন ন্যায়-অন্যায়ের বিচার করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলছে। মানবিক সভ্যতার হাজার বছরের ফলাফলকে দুরে ঠেলে দিয়ে তারা দলবাজ লুটেরার হয়ে ক্ষনস্থায়ী ভোগবাদী রাজনীতির কেঁচি কলে আটকা পড়ছে। এহেন, অবস্থায় জাতির ভবিষ্যৎ কি?
অত্যন্ত পরিতাপের সাথে বলতে হচ্ছে, আমার ২নং দিঘলীয়া ইউনিয়নের রাজনীতির কথা। এই ইউনিয়নের গুটি কয়েক ভন্ড ও প্রতারক রাজণীতিবিদ সৃজনশীল ও শিক্ষিত ব্যক্তিদের পাশ কাটিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা লুটছে। বর্তমান চেয়ারম্যানের অনেক দুর্বলতাকে অযুহাত করে নতুন ‘ফটকাবাজ রাজনীতির জন্ম হচ্ছে। যদিও কয়েক যুগ আগ থেকেই চালবাজরা/লুটেরারা চেয়ারম্যান পদটি অলংকৃত করে আছে। ইতি মধ্যে শিক্ষিত সৃজনশীল ব্যক্তিদের রাজনৈতিক অনিহার কারনে কেরানী থেকে নৌকার মাঝি সকলেই চেয়ারম্যান হয়েছেন, আশা রাখছেন জেলেরাও। বর্তমানে এই চেষ্ঠা আরও এক ধাপ নিচে নেমে গেছে। আজ এই ইউনিয়নের বদমাইশ. লুটেরা, দলীয় বিশ্বাসঘাতকরা সাধারন জনসাধারনকে পুজি করে ফায়দা লূটার চেষ্টা করছে। জনসাধারনের এই মাথা বেচার রাজনীতিকে প্রতিহত করতে আমাদের শ্রদ্ধেয় স্যার জনাব মশিউর রহমান হেলালী সাহেব আপ্রান চেষ্ঠা করছেন। আমার দুর-দুরান্ত হতে স্যারকে ধন্যবাদ জানাই এবং দিঘলীয়া ইউনিয়নে তার নেতৃত্বে একটি শিক্ষিত সৃজনশীল, ভদ্র ও সত্যবাদী রাজণীতিক অভ্যূত্থান আশা করি।