হুমায়ূন আজাদ স্যারকে একবার প্রশ্ন করা হয়েছে ,
“ দেশে হু হু করে বাড়ছে চায়নিজ রেস্টুরেন্ট, বিউটি পার্লার অথচ সেই হারে বাড়ছে না পাবলিক লাইব্রেরি – এই ব্যাপারে আপনার মন্তব্য কী ? “
স্যার যা বলেছিলেন .........।।
এতে এই রাষ্ট্র কতো অসুস্থ তার পরিচয় বহন করে ।কথা হচ্ছে, কেন পাঠাগার বাড়ছেনা ? কেন চায়নিজ রেস্টুরেন্ট বা বিউটি পার্লার বাড়ছে ? বোঝা যাচ্ছে যে , এক গোত্র প্রচুর টাকা উপার্জন করছে , অবৈধভাবে উপ
ার্জন করছে, সেই টাকা অপচয় করার জন্য তাদের এখন নানা জায়গা দরকার। সেই টাকা অপচয় করার জন্য একটি স্থান হচ্ছে চায়নিজ রেস্টুরেন্ট , আরেকটি জায়গা হচ্ছে বিউটি পার্লার , আরো জায়গা আছে – সুপার মার্কেট বা চারতারা , তিনতারা হোটেল – এই জাতীয় স্থুল ব্যাপারে , অবৈধভাবে যারা অর্থ উপার্জন করছে, তারা লিপ্ত হয়ে রয়েছে কিন্তু বই মননশীল ব্যাপার ।
আমাদের রাষ্ট্র যারা চালায় তারা মননশীল নয় । আমাদের আমলা-সেনাপতি-বিচারপতি-অধ্যাপক – প্রকৌশলী-চিকিৎসক কারো মননশীলতা নেই, বই তাদের চিন্তার মধ্যেও নেই । কাজেই পাঠাগার কী করে বাড়বে ?
বোঝা যাচ্ছে , যে মানুষেরা আমাদের রাষ্ট্রকে নিয়ন্ত্রণ করছে, তারা শক্তিশালী, বই তাদের প্রয়োজন নয়; না হলে পাঠাগার বাড়তো । পাঠাগার প্রয়োজন হচ্ছে ছাত্রের এবং জ্ঞান মনস্ক মানুষের , তাদের কোন ক্ষমতা নেই, তাদের কোন অর্থশক্তি নেই যে তারা পাঠাগার বানাবে এবং আমাদের রাষ্ট্র পাঠাগার চায়না । আমাদের রাষ্ট্র ঐ চায়নিজ রেস্টুরেন্ট চায়, বিউটি পার্লার চায়, সুপার মার্কেট চায় এবং নতুন নতুন পাজেরো চায়; মননশীলতা চায় না, সৃষ্টিশীলতা চায় না । কাজেই পাঠাগার বাড়ছেনা ।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে নভেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




