খুব সহজ একটা প্রশ্ন দিয়ে শুরু করি....
অ থেকে চন্দ্রবিন্দু পর্যন্ত বাংলা বর্ণমালা একবারে আমরা কতজন কোন ভুল ছাড়া বলতে পারি?
আমি নিজেই পারিনা
আমার লেখাতে হাজার রকমের বানান ভুল থাকে, উচ্চারনে অজস্র ভুল
জিআরই করতে করতে অনেক কঠিন কঠিন ইংরেজি শিখতে পারছি কিন্তু বাংলা ভাষার গভীরে প্রবেশের তাগিদ নিজে মধ্যে অনুভব করিনা খুব একটা
ঠিক মত ইংরেজী প্রনাউনসিয়েশান না করতে পারা নিয়ে লজ্জার সীমা নেই...বাংলা তো নিজের ভাষা,,,,,ওটার উচ্চারন একরকম হলেই হলো
কর্পোরেট বেনিয়ারা আমার ভাষাকে কতটুকু ক্ষতবিক্ষত করেছে তার সীমা জানা নেই
তবে আমি নিজেই আমার ভালোবাসাকে তার প্রাপ্য সম্মান কতটুকু দিয়েছি সেটাই চিন্তার বিষয়
এই একটি দিনে ভাষার প্রতি ভালোবাসা জেগে ওঠাটা অপরাধ হয়ত না, সারা বছর আমার ব্যাবহারে বাংলা না থাকুক সেটাও হয়ত ঠিক কিন্তু আমার বিশ্বাসের জায়গাতে, মনের গভীরটাতে যেটা কেউ দেখছেনা সেখানে ভাষার প্রতি ভালোবাসা আছে তো?
আজকে প্রভাতফেরীতে যাইনি....ঘুমিয়ে ছিলাম......অপরাধ হবেনা যদিনা গড্ডালিকার স্রোতে বাংলাকে বিলিয়ে না দিই
একুশ শুধুই ভাষার প্রতি মমত্ববোধের যায়গা নয়....একুশ আমাদের চেতনার প্রতীক, আমাদের স্বকীয়তার শিখা.....
এই একটি দিনে আমারা শিখেছিলাম আমাদের নিজস্বতাকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলা যায় না
আমরা বাঙ্গালীরা তোমাদের নীল নকশা সফল হতে দেইনি
আজও কি আমরা সেই বিশ্বাস বুকে ধারন করি?
হয়ত করি
আজও পুরো জাতি লাল-সবুজের ক্রিকেট দলের পেছনে একতাবদ্ধ হয়ে দাড়ায়
যেই ছেলেটা বাংরেজী ভাষার এফএম রেডিওতে গান শুনতে শুনতে ইউনিকোডে সারা বিশ্বে বাংলাকে ছড়িয়ে দিচ্ছে সেও আজকের ভাষাসৈনিক
শাহরুখ সালমান রা এসে আমাদের মাঠে নেচে যাক অসুবিধা নেই, কিন্তু খেয়াল আছে কি আমাদের গান চলচিত্র নিয়ে একঝাক নতুন সেনারা যে ডিজিটাল যুদ্ধে নেমেছে তার পেছনে আমরা জাতি হিসেবে কতটা রসদ সরবরাহ করছি
নিজেদের স্বকীয়তা রক্ষায় আমাদের চেতনাটুকু যদি একুশকে সামনে রেখে জলে ওঠে তাহলে বোধকরি মুক্ত আকাশের আঘাত ঠেকিয়ে, আমরা সহস্র বছর পরেও "আমাদের" খুজে পাবো
মনে জ্বলুক আগুন, সেই আগুন মশালে ধরিয়ে আমরা সামনের বাধা ঠেলে এগিয়ে যাবো
.
.
.
.
.
তোমাদের প্রতি ভালোবাসা মাখানো শ্রদ্ধা জানাই যারা মাথা তুলতে শিখিয়েছো.......

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




