বাংলাদেশ-ভারতের সীমান্তে ছিটমহল সমস্যা দীর্ঘ প্রায় ৬৫ বছর ধরে ঝুলে আছে। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিরাজমান সমস্যাগুলোর মধ্যে ছিটমহল সমস্যাটি প্রকট ও চিহ্নিত সমস্যাগুলোর অন্যতম। ছিটমহলের মালিক বাংলাদেশ না ভারত তা নির্ধারণেই বছরের পর বছর পার হয়ে গেছে। অমানবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে এসব ছিটমহলকে ঘিরে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা হয় নিজেদের উদ্যোগেই। ঠিকমতো চিকিৎসা ও শিক্ষা কিছুই মিলছে না ছিটমহলবাসীর। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা, বিচার, পানীয় এবং আধুনিক সব ধরনের যোগাযোগ থেকে বঞ্চিত ছিটমহলবাসী। ছিটমহলবাসীরা নিজ ভূমিতে থেকেও পরবাসী। কিন্তু এসব ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সরকারের সে শক্ত ও জোরালো ভূমিকা নেয়ার দরকার ছিলো। দুঃখজনকভাবে সরকার তা করতে ব্যর্থ হয়েছে।
অপরদিকে এক একর দু’ একর নয়, মায়ানমারের জবরদখলে থাকা ২ হাজার একরেরও বেশি ভূমি সম্পর্কেও সরকারের কোনো খবর নেই। উদ্ধারের প্রক্রিয়া নেই। কূটনৈতিক তৎপরতা নেই।
প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে, খাগড়াছড়ির আচালং মৗজার ১৭শ একর জমি হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশের এই ভূমি ভারত অবৈধভাবে দখল করে নিয়েছে। ২০১১ সালের ২০ আগস্ট থেকে বাংলাদেশ ও ভারতের চূড়ান্ত সীমান্ত ম্যাপ স্বাক্ষর শুরু হলেও এ ভূসম্পদ উদ্ধারে বাংলাদেশ সরকারের কানো উদ্যোগ আছে বলে মনে হয় না।
সম্প্রতি সিলেট জৈন্তাপুর সীমান্তে ভারত বাংলাদেশকে ঠকিয়ে ভূয়া জরিপের নামে হাজার হাজার একর জায়গা দখল করে নিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলার তাইন্দং ইউনিয়নের তাইন্দং ও ১৮৩নং আচালং মৗজার প্রায় ১৭শ একর জমি ভারত ১৯৮৬ সালে জবর দখল করে নেয়। এর আগে সর্বপ্রথম ১৯৬২ সালেও ভারত এ বিশালায়তনের ভূমি জবর দখল নিয়েছিল।
পরে ১৯৬২ সালের ২৮ সপ্টেম্বর তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের সীমান্ত রক্ষীবাহিনী ইপিআর ও ভারতের বিএসএফ’র মধ্যে সংঘটিত রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে এ ভূমিটি উদ্ধার করা হয়।
কিন্তু এরপরে মাটিরাঙ্গা উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরের দুর্গম পাহাড়ি এলাকা আচালং থেকে ১৯৮৬ সালে উপজাতি সন্ত্রাসীগোষ্ঠী শান্তিবাহিনীর নাশকতামূলক পরিস্থিতিতে নিরাপত্তার অভাবে সেখানকার বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে আনা হয়। ফলে ভারতের দক্ষিণ ত্রিপুরার অমরপুর মহকুমার সীমান্ত ঘষা আচালং এলাকাটি জনশূন্য হয়ে পড়ে। এ সুযোগে ভারত সীমান্তবর্তী ফেনী নদীর তীরের বাংলাদেশের প্রায় ১৭শ একর জমি দখল করে নেয়।
ভারত দখল করে নেয়া ১৭শ একর জায়গা উদ্ধারে বাংলাদেশ সরকারের কোনো তৎপরতা না থাকায় শুধু এলাকাবাসীর মাঝে নয়, বরং গোটা দেশবাসীর ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের জায়গা তারা (ভারত) দখল করে রেখেছে। অথচ আমাদের দেশের সরকারের তরফ থেকে দায়িত্বপ্রাপ্তদের মাঝে এ জায়গা উদ্ধারের কানো তৎপরতা দখা যাচ্ছে না।
, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “যখন কোনো জনগোষ্ঠী মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে কৃত ওয়াদার খিলাফ করে অর্থাৎ হক্ব মত পথ বা সম্মানিত দ্বীন ইসলাম ছেড়ে অনৈসলামী কার্যকলাপে ঝুঁকে যায়, তখন ঐ জনগোষ্ঠীর উপর মহান আল্লাহ পাক তিনি বিদেশী শক্তি চাপিয়ে দেন।” নাঊযুবিল্লাহ!
কাজেই জনগণকে মনে রাখতে হবে, তারা যেন খালিছ তওবা করে মহান আল্লাহ পাক উনার পথে ফিরে আসে। তাহলেই তাদের কামিয়াবী হাছিল হবে। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘তোমরা চিন্তিত হইও না এবং পেরেশান হইও না তোমরাই কামিয়াবী হাছিল করবে, যদি তোমরা মু’মিন হতে পারো।’
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৩১