somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সরকারের উচিত কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:৪৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও কি ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয় বড়। ঢাবিতে হিজাব নিষিদ্ধ নয়। ব্যাঙের ছাতা এনজিও বিশ্ববিদ্যালয়ে এত দুঃসহস নিন্দনীয়।
ব্রাজধানীর ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে হিজাব অবৈধকরণের তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ এবং সরকারের প্রতি অবিলম্বে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের আমির এবং দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক আল্লামা শাহ আহমদ শফী। তিনি বলেন, বিতর্কিত এনজিও ব্র্যাক শুরু থেকেই ইসলামি শিক্ষা ও কৃষ্টিকালচার বিরোধেী বিভিন্ন প্রকল্প পরিচালনা করে মুসলমানদের স্বার্থবিরোধী কাজের সাথে জড়িত রয়েছে। সম্প্রতি তাদের পরিচালিত রাজধানীর ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে হিজাব পরিহিত একজন ছাত্রীকে বহিষ্কার করে এবং তাদের প্রতিষ্ঠানে হিজাব পরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করে ইসলামের বিরুদ্ধে তাদের অবস্থানকে আরো স্পষ্ট করেছে। এটা ইসলামের বিরুদ্ধে নগ্ন আগ্রাসন ছাড়া আর কিছু নয়। তিনি বলেন, মুসলিমপ্রধান দেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে জনসাধারণের মৌলিক ও ধর্মীয় অধিকার হরণ করে ড্রেসকোডে এমন বিধান থাকার কোনো সুযোগ নেই। তিনি বলেন, সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের দেশে ইসলামি পোশাক পরিধানের জন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে বহিষ্কার হতে হবে, এটা জাতির জন্য লজ্জা ও পরিতাপের বিষয়। যারা এ কাজটি করেছে তারা অত্যন্ত ঘৃণ্য ও নিন্দনীয় কাজ করেছে। খবরটি আমাকে দুঃখ দিয়েছে ও উদ্বিগ্ন করেছে। তিনি বলেন, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ হিজাব পরিহিত ছাত্রীকে বহিষ্কার করে রীতিমতো নারী নির্যাতন করেছে, উলঙ্গপনাকে উৎসাহিত করে নারী জাতিকে হেয় প্রতিপন্ন করেছে। বিবৃতিতে আল্লামা শাহ আহমদ শফী ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের অপরিহার্য বিধান হিজাববিরোধী অবস্থানের তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করে তৌহিদি জনতাকে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান। বিবৃতিতে আল্লামা শাহ আহমদ শফী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, অবিলম্বে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের হিজাবের বিরুদ্ধে অবস্থানের ব্যাপারে যথাযথ তদন্ত করে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে তৌহিদি জনতার ক্ষোভ প্রশমিত করুন। আগ্রহী ছাত্রীদের হিজাব, বোরকা ও নেকাব পরে কাসে আসতে দিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ড্রেসকোড যদি ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক হয়, তবে তাতে পরিবর্তন আনতে হবে। তৌহিদি জনতা কোনোভাবেই ইসলামের বিরুদ্ধে এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা নীরবে সইবে না। এ ধরনের বর্বর ও জঘন্য ঘটনার বিচার না হলে ইসলামের দুশমনরা এরূপ আরো ঘটনা ঘটিয়ে দেশের সম্প্রীতি ও শৃঙ্খলা বিনষ্টে ষড়যন্ত্র করতে উৎসাহিত হবে। অন্যথায় জনসাধারণ নাস্তিক্যবাদ ও ইসলামবিদ্বেষীদের পাশাপাশি আপনাদেরও তাদের সহায়ক হিসেবে বিবেচনা করবে। বিবৃতিতে আল্লামা শাহ আহমদ শফী আরো বলেন, বিশ্বে নিরাপত্তা বাহিনীই সবচেয়ে কঠোরভাবে ড্রেসকোড মেনে চলে। তা সত্ত্বেও ভারতীয় পুলিশ, বিএসএফ ও সেনাবাহিনীতে শিখদের তাদের ধর্মীয় পোশাক পাগড়ি পরিধানে বাধার সৃষ্টি করা হয়নি। এ দিকে হেফাজতে ইসলামের আমির গত দুই দিনে দেশের বিভিন্ন পত্রপত্রিকা, ইলেকট্রনিক মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ সাইটে বিগত ২১ সেপ্টেম্বর ওলামা-মাশায়েখ সম্মেলনকে কেন্দ্র করে বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, সে দিনের ওলামা-মাশায়েখ সম্মেলনে ইসলাম ও মুসলিম স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে দেশের চলমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ ও কর্মসূচি প্রণয়নেরই আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি আগের সাংগঠনিক কমিটি বহাল রেখে সংগঠনের কর্মতৎপরতাকে আরো গতিশীল করার জন্য কেন্দ্রীয় শূরা কমিটি ও একটি উপকমিটি গঠন করা হয়। ২১ সেপ্টেম্বরের ওলামা-মাশায়েখ সম্মেলনে হেফাজতে ইসলাম থেকে কাউকে বহিষ্কার করা বা কোনো ব্যক্তিবিশেষকে বাদ দিয়ে কমিটি গঠনের কোনো বিষয়ই আলোচনায় ছিল না। সুতরাং এ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো ও সংবাদ পরিবেশনের কোনো অবকাশ নেই। ঢরাজধানীর ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে হিজাব অবৈধকরণের তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ এবং সরকারের প্রতি অবিলম্বে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের আমির এবং দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক আল্লামা শাহ আহমদ শফী। তিনি বলেন, বিতর্কিত এনজিও ব্র্যাক শুরু থেকেই ইসলামি শিক্ষা ও কৃষ্টিকালচার বিরোধেী বিভিন্ন প্রকল্প পরিচালনা করে মুসলমানদের স্বার্থবিরোধী কাজের সাথে জড়িত রয়েছে। সম্প্রতি তাদের পরিচালিত রাজধানীর ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে হিজাব পরিহিত একজন ছাত্রীকে বহিষ্কার করে এবং তাদের প্রতিষ্ঠানে হিজাব পরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করে ইসলামের বিরুদ্ধে তাদের অবস্থানকে আরো স্পষ্ট করেছে। এটা ইসলামের বিরুদ্ধে নগ্ন আগ্রাসন ছাড়া আর কিছু নয়। তিনি বলেন, মুসলিমপ্রধান দেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে জনসাধারণের মৌলিক ও ধর্মীয় অধিকার হরণ করে ড্রেসকোডে এমন বিধান থাকার কোনো সুযোগ নেই। তিনি বলেন, সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের দেশে ইসলামি পোশাক পরিধানের জন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে বহিষ্কার হতে হবে, এটা জাতির জন্য লজ্জা ও পরিতাপের বিষয়। যারা এ কাজটি করেছে তারা অত্যন্ত ঘৃণ্য ও নিন্দনীয় কাজ করেছে। খবরটি আমাকে দুঃখ দিয়েছে ও উদ্বিগ্ন করেছে। তিনি বলেন, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ হিজাব পরিহিত ছাত্রীকে বহিষ্কার করে রীতিমতো নারী নির্যাতন করেছে, উলঙ্গপনাকে উৎসাহিত করে নারী জাতিকে হেয় প্রতিপন্ন করেছে। বিবৃতিতে আল্লামা শাহ আহমদ শফী ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের অপরিহার্য বিধান হিজাববিরোধী অবস্থানের তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করে তৌহিদি জনতাকে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান। বিবৃতিতে আল্লামা শাহ আহমদ শফী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, অবিলম্বে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের হিজাবের বিরুদ্ধে অবস্থানের ব্যাপারে যথাযথ তদন্ত করে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে তৌহিদি জনতার ক্ষোভ প্রশমিত করুন। আগ্রহী ছাত্রীদের হিজাব, বোরকা ও নেকাব পরে কাসে আসতে দিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ড্রেসকোড যদি ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক হয়, তবে তাতে পরিবর্তন আনতে হবে। তৌহিদি জনতা কোনোভাবেই ইসলামের বিরুদ্ধে এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা নীরবে সইবে না। এ ধরনের বর্বর ও জঘন্য ঘটনার বিচার না হলে ইসলামের দুশমনরা এরূপ আরো ঘটনা ঘটিয়ে দেশের সম্প্রীতি ও শৃঙ্খলা বিনষ্টে ষড়যন্ত্র করতে উৎসাহিত হবে। অন্যথায় জনসাধারণ নাস্তিক্যবাদ ও ইসলামবিদ্বেষীদের পাশাপাশি আপনাদেরও তাদের সহায়ক হিসেবে বিবেচনা করবে। বিবৃতিতে আল্লামা শাহ আহমদ শফী আরো বলেন, বিশ্বে নিরাপত্তা বাহিনীই সবচেয়ে কঠোরভাবে ড্রেসকোড মেনে চলে। তা সত্ত্বেও ভারতীয় পুলিশ, বিএসএফ ও সেনাবাহিনীতে শিখদের তাদের ধর্মীয় পোশাক পাগড়ি পরিধানে বাধার সৃষ্টি করা হয়নি।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:২৬
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×