প্রিয় সামু
অনেক দিন ধরে ভাবছি তোমাকে কিছু লেখব।কিন্তু লেখব লেখব করে আর লেখা হয় না। হয়ত দেখা যায় কি নিয়ে লেখব তা ভাবতে ভাবতেই মাস চলে গেছে।অথচ সারাদিন কত ভাবনা, বিচিত্র সব চিন্তা মাথার মধ্যে ঘুরপাক খায় তার ইয়ত্তা নেই।লাগামহীন সব ভাবনা গুলো ঘুরপাক খেতে খেতে কখনো চলে যায় খেলার মাঠে, কখনো বা বৃষ্টিস্নাত সকালে মায়ের রাধাঁ খিচুড়ীতে, কখনো ভবিষ্যতের দিনপঞ্জিতে, কখনো বা পরীক্ষার ফলাফলে, কখনো দুরন্ত শৈশবে,আবার কখনো ক্লাসে লেকচার তোলার ফাকেঁ ফাকেঁ আড়চোখে তাকানো কোনো মেয়ের কাছে এবং অবশেষে সুন্দর সব ভাবনা গুলোর করুন পরিণতি হয় বইয়ের পাতার বিদঘুটে সব ইকুয়েশনে।ভাবনা গুলো কখনো মজার, কখনো কষ্টের-তবু ও ভাবতে ভালই লাগে।আচ্ছা বল, এসব জটিল জটিল সব ইকুয়েশন,থিওরি-র কারণে ভাবনাগুলোর স্বাধীনতা ক্ষুন্ন করা কি ঠিক??
মাঝে মাঝে মনে হয় এইসব আউল ফাউল ভাবনা গুলো একত্র করে তোমাকে কিছু লেখি কিন্ত সমস্যা একটাই, লিখতে বসলেই সবকিছু কোথায় যেন হারিয়ে যায়। তখন মনে হয়, ধুৎ...আমি লেখক না আমি একজন পাঠক।
উড়ে বেড়ানো এসব ভাবনা গুলো সারাদিনই যেন মনের মাঝে উদিত হয় হয়ত বা বাসে চড়ে কোথাও যাওয়ার সময়, বা পড়ার টেবিলে,বা ঘুমানোর আগ মুহুতে,বা শুক্রবার খুতবা শোনার সময়,কখনো বা টয়লেটের চরম আরামের মুহুতে। জানো, অমনিডিরেকশনাল এসব ভাবনা গুলোর কোনো মা বাপ নেই।শুধুই লাফিয়ে বেড়ায়।এই এক তো একটু পর আর এক।কখনো কখনো ভুলেই যাই, একটু আগে কি যেন ভাবছিলাম।সেই দিন একটা ঘটনা শুনে মন খারাপ হয়ে গেল, তারপর ভাবলাম তোমার সাথে শেয়ার করি।সারাটা পথ কত কিছু গুছিয়ে রাখলাম তোমাকে লেখব বলে, কিন্তু বাসায় এসে যখনই লেখতে বসলাম তখনই দেখি কলমের আগা থেকে কিছুই বের হচ্ছে না।তখন মনে হচ্ছিল, আমি লেখক নই,পাঠক।
আচ্ছা, সবাই এত সুন্দর করে তোমার কাছে কিভাবে লিখে বলত।মাঝে মাঝে কিছু লেখা আমি মন্ত্রমুগ্ধের মত পড়ি...কেবল পড়ি।কিছু কবিতা পড়ে মাঝে মাঝে অবাক লাগে। খুবই সাধারন একটা কবিতা, অথচ শব্দচয়ন গুলো এত চমৎকার যে, অসাধারন মনে হয়।তখন কিছু একটা লেখতে ইচ্ছে হয়,আবার মনে হয়,থাক সবার তো আর জীবনানন্দ হওয়ার দরকার নেই,পাঠকই ভাল।
অনেক লিখে ফেল্লাম।যাই একটা মুভি দেখব...
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে মে, ২০১০ বিকাল ৫:৪৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




