somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

তোমাকে ভালোবেসে আমার চিরকূট…

০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ২:৫৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



‘যা কিছু পাওয়া যায়না তার প্রতি যে টান থাকে সে টানের নাম আসলে ভালোবাসা নয়। সে টানের নাম হলো দূরত্ব। যে চায় আর যা কিছু চাওয়া হয় তার মাঝখানে এ দূরত্ব বড়ো নিশ্চিন্তে দুঃখ দিতে থাকে।‘

'পৃথিবীতে অনেক মুখ চোখে পড়ে, কিন্তু এক-একটি মুখ বলা কহা নাই একেবারে মনের মধ্যে গিয়া উত্তীর্ণ হয়। সে কেবল সৌন্দর্যের জন্য নহে, আর-একটি কী গুন আছে। সে গুনটি বোধ করি স্বচ্ছতা। '

একজন বিষন্ন মানুষকে ভুলে যেতে কতদিন লাগে?
খুব বেশি দিন লাগার কথা নয়... ইচ্ছে করলেই হয়তো অবসেশন কাটিয়ে ওঠা যায়... কিন্তু কেন যেন, ভুলে যেতে মায়া লাগে... থাকুক না ....মাঝে মধ্যে পড়ুক মনে ... !! ... ক্ষতি কী?

কিছু গল্পের শেষ হতে অনেক লম্বা সময় লাগে । হয়তো ঠিক তত দিনই যত দিনে মানুষ বদলাতে বদলাতে নিজের কাছেই অপরিচিত হয়ে যায়, তার ইচ্ছা করে মৃদু আলোতে সঙ্গ দিয়ে চলা নিজের ছায়াটার থেকেও পালিয়ে গিয়ে পুরোপুরি অন্ধকারে ডুবে থাকতে।

সবারই গোপন-গোপন দুঃখ থাকে... মনের কোনে, নিজের একার ... কারো কারো গোপন কিছু সুখও থাকে... ন্যাপথলিনে মুড়ে নিরাপদ কুঠুরিতে রাখা !

গভীর গোপন কোনো অ-সুখকে অনেক দিন ধরে আগলে রাখলে সেটার প্রতি এক ধরনের ভালোবাসা জন্মে যায়। কিংবা বলা ভালো, একটা অভ্যাস তৈরি হয়ে যায়। দূরবর্তী কারনের চেয়েও নিকটবর্তী প্রাত্যাহিক সহচার্য-ই তখন স্বাভাবিকতা হয়ে ওঠে।

আস্থা রাখা যায় এমন মানুষদের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। কমে যাচ্ছে বললে কম বলা হয়, বলা উচিৎ আশংকাজনক হারে কমে যাচ্ছে। চারিদিকে এত এত নাম, এত এত পরিচিত মুখ, এত এত চরিত্র, মানুষ আসলে ক'জন? সত্যিকারের মানুষ, স্বচ্ছ মানুষ, বলিষ্ঠ মানুষ। চরিত্র গুলো নানান ভূমিকায় নিপুন অভিনয় করে চলেছে। এতখানি অন্ধকার নিজেদের মধ্যে লুকিয়ে রাখে যে, কোনটা মুখ আর কোনটা মুখোশ বুঝে ওঠা মুশকিল!

আমাদের ব্যস্ত জীবনে চেনাজানা মানুষ অনেক। তার মধ্যে কিছু মানুষ থাকে, যাদেরকে আমরা মনে রাখি। গুটিকয়েক জনের সান্নিধ্য আমাদেরকে আনন্দ দেয়। সংখ্যায় আরও কিছু কম মানুষের সাথে আমরা আরাম বোধ করি। সারাজীবনে হাতে গোনা দুই-তিন জন হয়ে উঠতে পারেন আমাদের আশ্রয়! আর 'এভাবেই চিরকাল আমরা বিপরীতে আছি বলেই একটা গোটা জীবন ভালোবেসে গেলাম...'

বোকারা কেন স্বর্গে বাস করে জানো, তারা মানসিকভাবে কলুষতা মুক্ত। ঢাকায় এসে আমি প্রথম "His -His = Who's - Who's" শব্দটার সাথে পরিচিত হই। কী হৃদয়হীন একটা শব্দ! শুনলে এখনো আমার দম বন্ধ লাগে। যার যার, তার তার বলে কিছু আছে নাকি? তাহলে, আমাদের পরিবার, সমাজ, কাছের মানুষেরা, বন্ধু, শত্রু এরা থাকে কেন!! অথচ এটাই সম্ভবত সবথেকে দামী শব্দ। কেবল আমি-ই এর মূ্ল্যমান বুঝি না।

পৃথিবীর সবথেকে কঠিন কাজ নিজের উঠোন পেরোনো। সেটা পার হবার প্রস্তুতি নিতে গিয়ে দেখলাম, সীমানা অসীমে গিয়ে ঠেকেছে!! কতটা পেরোলে আসলে নিজেকে পেরোনো যায় ? নিজেকে পেরোনো মানে কী গন্ডির বাইরে নাকি স্মৃতির বাইরে ? মায়াময় ধূলোর আস্তরন মুছতে গিয়ে দেখলাম, বহুদিনের অভ্যাসে তা কেমন অবিচ্ছেদ্য হয়ে গেছে! সমস্ত পৃথিবীকে পেলাম ‘নিজস্ব উঠোন’ করে।

ধরো দূরপাল্লার এক বাস জার্নিতে তুমি অনেক কষ্টে জানালার পাশে একটা সিট ম্যানেজ করলে। সব ঠিকঠাক। বাস ছেড়ে দেয়ার পর বুঝতে পারলে, জানালার গ্লাসটা স্থায়ী ভাবে লকড! কিছু কিছু মানুষের ভাগ্যটা ঠিক এমন... এইসব কিছু কিছু মানুষদেরর জীবনের গল্পটা আরেকটু সুলিখিত হতে পারতো...। ঈশ্বরকে তবে প্রশ্নাতীত ভাবে ভালোবাসতে পারতাম!! আর অদৃষ্টকে দাওয়াত করে এনে বলে দিতাম , ‘তোমার জন্য আমার তুলতুলে বেদনাবোধ হচ্ছে !’

‘নিরবতা একটা খাঁজওলা তীক্ষ্ণ কাঁচখন্ডের মতো বিছিয়ে থাকে, যে প্রথম একে ভাংগার চেষ্টা করবে, তার নির্ঘাত খোঁচা লাগবে। দারুন খোঁচা...’

'আরেকটি বার মরে যাওয়ার তীব্র আকাংক্ষাতে,
ইচ্ছে করে জীবনটাকে দু'হাত ভরে খরচ করি'
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:১৬
১১টি মন্তব্য ১১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=এই গরমে সবুজে রাখুন চোখ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১

০১।



চোখ তোমার জ্বলে যায় রোদের আগুনে?
তুমি চোখ রাখো সবুজে এবেলা
আমায় নিয়ে ঘুরে আসো সবুজ অরণ্যে, সবুজ মাঠে;
না বলো না আজ, ফিরিয়ো না মুখ উল্টো।
====================================
এই গরমে একটু সবুজ ছবি দেয়ার চেষ্টা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হালহকিকত

লিখেছেন স্প্যানকড, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:১২

ছবি নেট ।

মগজে বাস করে অস্পষ্ট কিছু শব্দ
কুয়াসায় ঢাকা ভোর
মাফলারে চায়ের সদ্য লেগে থাকা লালচে দাগ
দু:খ একদম কাছের
অনেকটা রক্তের সম্পর্কের আত্মীয় ।

প্রেম... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×