যুক্তরাষ্ট্র থেকে নিজ নিজ রাজ্যকে আলাদা করতে হোয়াইট হাউজে আবেদন করেছে আড়াই লাখেরও বেশি মার্কিনি।
হোয়াইট হাউজের ‘উই দ্য পিপল’ ওয়েবসাইটে এ নিয়ে ২০টিরও বেশি আবেদন জমা পড়েছে, যাতে সমর্থন দিচ্ছে ‘স্বাধীন’ রাজ্য পেতে ইচ্ছুক এই নাগরিকরা।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানে ইউনিয়ন থেকে রাজ্যগুলোর পৃথক হওয়ার কোনো সুযোগ রাখা হয়নি।
কোনো আবেদনে এক মাসের মধ্যে ২৫ হাজারের বেশি মানুষ সমর্থন দিলে তা বিবেচনা করা হয় বলে ওই ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে। পৃথক হওয়ার আবেদনগুলোর মধ্যে বুধবার সকাল পর্যন্ত মধ্যে টেক্সাস, লুইজিয়ানা, ফ্লোরিডা, জর্জিয়া, আলাবামা, টেনিসি ও নর্থ ক্যারোলাইনার আলাদা হওয়ার আবেদন ২৫ হাজারের বেশি মানুষের সমর্থন পেয়ে গেছে।
হোয়াইট হাউজের এই ওয়েবসাইটে মার্কিন নাগরিকেরা দেশের বিভিন্ন ইস্যুতে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের কাছে আবেদন করতে পারে। কোনো প্রস্তাব ২৫ হাজারের বেশি সমর্থন পেলে তা গোচরে নিয়ে নীতি নির্ধারকদের কাছে পাঠানো হবে বলে ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে।
টেক্সাসের আলাদা হয়ে যাওয়ার পক্ষে এরই মধ্যে ৯৩ হাজার মার্কিনি সমর্থন দিয়েছে। লুইজিয়ানার পক্ষে এখন পর্যন্ত জুটেছে ৩২ হাজার মানুষের সমর্থন।
ওবামা পুনর্র্নিবাচিত হওয়ার পর গত ৭ নভেম্বর লুইজিয়ানা ও ৯ নভেম্বর টেক্সাসের আবেদন জমা পড়ে।
বিচ্ছিন্ন হতে চাওয়ার বেশিরভাগ আবেদনেই যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণার একটি অংশের উদাহরন টানা হয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে নাগরিকদের সরকার ব্যবস্থার পরিবর্তন করা বা তা ভেঙে দিয়ে নতুন সরকার গঠন করার অধিকার আছে।
এছাড়াও পৃথক হওয়ার পক্ষে বিভিন্ন যুক্তি দেখিয়েছে রাজ্যগুলো।
যেমন এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সমর্থন পাওয়া টেক্সাসের আবেদনে বলা হয়েছে। সরকার অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক ব্যয় ব্যবস্থার সংস্কার না করায় যুক্তরাষ্ট্র অর্থনৈতিক সমস্যায় পড়ছে।
ইউনিয়ন থেকে আলাদা হয়ে দিব্যি চলতে পারবে রাজ্যটি। আর এর মাধ্যমে নাগরিকদের জীবনযাপনের মানও রক্ষা করা যাবে।
তবে টেক্সাসের গর্ভনর রিক পেরি জানিয়ে দিয়েছেন তিনি এ আবেদনকে সমর্থন করেন না।
ওরেগন বলছে, ফেডারেল সরকারের আকার এত বড় হয়ে গেছে যে এটি রাজ্যের সংবিধান লঙ্ঘন করছে এবং অসংবিধানিক আইন নাগরিকদের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে। একই বক্তব্য ইউসকনসিনকে পৃথক করার আবেদনেও রয়েছে।
ওহাইওকে পৃথক করার জন্য দুটি আবেদনের একটিতে বলা হয়েছে, রাজ্যটির জনসংখ্যা আর অর্থনীতি সুইজারল্যান্ডের চেয়েও বড়। তাই তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সর্ম্পক রেখে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে চলতে পারবে।
নাগরিকদের আবেদনের এই অধিকার মার্কিন সংবিধানের প্রথম সংশোধনীতে দেয়া হয়েছে। এ অধিকার নিশ্চিত করতেই ওয়েবসাইটটি খোলা হয়েছে বলে হোয়াইট হাউজের কর্মকর্তারা জানিয়েছে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




