প্রযুক্তি : পিরামিড ও মমি রহস্য
প্রাচীন মিসরের প্রসঙ্গ উঠলে প্রথমেই আসে বিস্ময়কর স্থাপত্য পিরামিড এবং মমি। আধুনিক প্রকৌশল ও স্থাপত্য বিজ্ঞান প্রয়োগে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নজর কাড়া সব দালানকোঠা নির্মিত হচ্ছে। কিন্তু আধুনিক স্থপতি ও প্রকৌশলীরা মিসরের পিরামিড নির্মাণশৈলী পর্যবেক্ষণে রীতিমতো হতবাক। যে সময়ে পিরামিড নির্মাণ হয়েছে সে সময়ে আবিষ্কৃত হয়নি ক্রেন এমনকি কপিকল। তা সত্ত্বেও অত উঁচুতে হাজার হাজার পাথরখণ্ড কিভাবে উত্তোলন করা হয়েছে তা ভেবে দিশেহারা আজকের নির্মাণ শ্রমিকরা। এ গেল পিরামিডের কথা। মমির কথায় যদি আসা যায় তাহলে প্রথমেই বলতে হয় পচনশীলতার কথা। জ্ঞান-বিজ্ঞানের উৎকর্ষতায় বর্তমানে নানা রাসায়নিক দ্রব্য আবিষ্কৃত হয়েছে। জানা গেছে আরো কত আধুনিক প্রযুক্তি। কিন্তু প্রাচীন মিসরীয়রাই সেই আদিকালেই মানুষের মরদেহকে নিজস্ব বুদ্ধিমত্তায় মমি তৈরি করতেন, যা হাজার হাজার বছর পর্যন্ত অটুট রয়েছে। একবিংশ শতাব্দীর বিজ্ঞানীরা যা নিয়ে গবেষণায় গলদঘর্ম। হয়তো একদিন প্রাচীন মিসরীয়দের এ সংক্রান্ত মেধা-মননের কথা বিশ্ববাসী ঠিকই অবগত হবেন। তবে সম্প্রতি একদল গবেষক মমি সংক্রান্ত একটি নতুন তথ্য প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে, প্রাচীন মিসরের মমি ১৮২৫ সালে রয়্যাল সোসাইটি অব লন্ডনের বিশেষজ্ঞরা ময়না তদন্ত করেন। তাতে বিশেষজ্ঞ দল মতামত ব্যক্ত করেন যে, মমিটি ছিল ৫০ থেকে ৫৫ বছর বয়সের একজন মহিলার। যিনি মারা গিয়েছিলেন ডিম্বাশয়ে ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে। এছাড়া তাদের ধারণা মৃত মহিলা ছিলেন একাধিক সন্তানের জননী এবং বাড়তি ওজনের। ডিম্বাশয়ে টিউমার এবং তা থেকে ঐ মহিলা ক্যান্সারে আক্রান্ত হন বলে গবেষকদের ধারণা। অথচ একই মমি পুনরায় ময়না তদন্ত করেছেন ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের প্রফেসর ড. অগাস্টাস বোজি গ্রানডিলের নেতৃত্ব একদল বিশেষজ্ঞ।
ইটালির বংশোদ্ভূত গ্রানডিল একইসঙ্গে একজন অভিজ্ঞ সার্জন ও গাইনোকোলজিস্ট। তার গবেষণার বিষয় ম্যালেরিয়া, বিউবানিক পেস্নগ ও ইয়োলো ফিভার (পীত জ্বর)। ব্যাপক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে এ সংক্রান্ত একটি রিপোর্টে তিনি প্রকাশ করেন রয়্যাল সোসাইটি জার্নাল বায়োলোজিক্যাল সায়েন্সে। রিপোর্টে উলেস্নখ করা হয়েছে-প্রাচীন মিসরে যক্ষ্মারোগের প্রাদুর্ভাব ছিল উলেস্নখযোগ্য। ধারণা করা হয় মমিকৃত মহিলা ফুস্ফুসে প্রদাহজনিত কারণে মারা যেতে পারেন। যার সঙ্গে যক্ষ্মার উপসর্গের বেশ সাদৃশ্য রয়েছে।
সূত্রঃ বিবিসি ওয়েবসাইট

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




