সুতি কাপড়ের কারিগররা অধিকাংশই বংশ পরস্পরায় কাপড় তৈরি করে আসছেন। হয়তো দাদা তাঁতী ছিলেন নাতিও পারিবারিকভাবে এ পেশাকে স্থায়ীভাবে নেন। এখন অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় ছেলে আর বাবার পেশায় আসতে আগ্রহী নয়। এর কারণ অর্থনৈতিক। তাঁত শিল্পীরা কখনোই তাদের ন্যায্য মজুরি পায় না। ফলে পরবর্তী প্রজন্মের মাঝে এ শিল্পের প্রতি দরদও আর থাকেনি। আর অভিজ্ঞ কারিগররা দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ায় দক্ষ সুতি কারিগরের অভাব দেখা দিয়েছে। এখন যারা কারিগরের জায়গা নিচ্ছে তারা কেউ বংশনুক্রমিকভাবে তাঁতশিল্পী নয়। এদের কারণে সুতি তার ঐতিহ্য হারাতে বসেছে। এ সুযোগে ভারতীয় শাড়ি দখল করেছে বাজার। ভারতে সুতার উৎপাদন বেশি হওয়ায় শাড়ির দাম কম। এদেশে সরকারী সাহায্যের যেমন অভাব রয়েছে। তেমনি রয়েছে তাঁতশিল্পীদের শিক্ষার অভাবও।
মুসলমান তাঁতীদেরকে প্রচলিত ভাষায় "জোলা" বলা হয় এবং হিন্দু তাঁতীদেরকে বলা হয় "যুগী"। জোলারা শ্রম শক্তি বৃদ্ধির জন্য প্রায় সবাই একাধিক বিয়ে করে বৌদের দ্বারা কাজ করায়। কিন্তু হিন্দুদের মধ্যে একাধিক বিয়ে করায় রেস্ট্রিশন থাকায় ওরা একের বেশী বিয়ে করতে পারেনা।
ব্লগেই কয়েকজন "জোলা" আছে কিন্তু তারা নিজেকে "জোলা" পরিচয় দিতে লজ্জা পায় তাই সেই জোলা মামায় নিজেকে জমিদার পরিচয় দেয়। আমি তেমন একজন জোলার পরিচয় প্রকাশ করায় মডারেটর সন্তুস্ট হইয়া আমার কমেন্টস ব্যান করিয়েছেন। ফলত আমি এখন কারো পোস্ট মন্তব্য করতে পারিনা-তাই নিজের পোস্ট মন্তব্য করি।যদিও আমার স্টাটাস(আমার আবার স্টাটাস!) লেখা সরাসরি প্রথম পাতায় প্রকাশিত হইবে-কিন্তু মডারেটর কথা রাখেননি!আমার লেখা প্রথম পাতায় প্রকাশ হয়না!
মডারেটর আমাকে শুধু কমেন্টস ব্যানই করেন নাই-আমার লেখা কোনো পাতায়ও প্রকাশিত হয়না। এই দিক থেকে হামা ভাই অনেক ভাগ্যবান-তার কমেন্টস ব্যান করা হলেও তাঁ লেখা প্রথম পাতায় প্রকাশ হয়।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:১৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




