-আপনি কি বিশ্বাস করুন, প্রচলিত রাজনৈতিক ধারায় আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তি আসবে? - আপনি কি বিশ্বাস করুন, আমাদের রাজনৈতিক নেতৃত্ব দেশকে সঠিক নির্দেশনা দিয়ে বিশ্ব উন্নতির মুলধারায় সংযুক্ত করতে পারবে? উত্তর যদি "না-বোধক" হয়, তবে আপনার ধ্যান ধারনা নি:সংকোচে লিখে পাঠান।
আমরা মনে করি, সুশিক্ষিত ও আধুনিক ধ্যান-ধারনায় সমৃদ্ধ নতুন প্রজন্ম তথা যুব সমাজই পারে 'স্বপ্নের বাংলাদেশ' গড়ে তুলতে।
'... স্বাধীনতার প্রায় 30 বছর পরও বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা, জিয়ার সবুজ বাংলা বা এরশাদের নতুন বাংলা কোনোটিই বাসতবতা দেখেনি। আর জনগন পায়নি তাদের স্বপ্নের বাংলাদেশ।..." (সাপ্তাহিক 2000, 23 জুন,2000)
".. চাই নতুন রাজনৈতিক ধারা। যেখানে থাকবে না মতার অপব্যবহার, দুনর্ীতি। নি:স্বার্থভাবে কাজ করে যাবে রাজনীতিবিদরা। বর্তমান রাজনীতিবিদদের আর বিশ্বাস করতে চাচেছ না জনগন। (জরিপে) 57.70% উত্তরদাতা তাই বলেছে।.." (সাপ্তাহিক 2000, 23 জুন,2000)
নতুন প্রজন্মকে শিক্ষিত করে তুলতে হবে। তাদেরকে জানাতে হবে দেশের সঠিক ইতিহাস। পঞ্চাশের শাসনতানত্রিক আন্দোলন, বায়ান্নের ভাষা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণ আন্দোলন এবং একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আজকের এই স্বাধীন বাংলাদেশ। এ সকল কিছুতেই ছাত্র ও যুব সমাজ ছিল মুল চালিকা শক্তি এবং ঐক্যবদ্ধ। রাজনৈতিক নেতারা স্বার্থের জন্য বা মতাদর্শের ভিন্নতায় পথচ্যুত হলেও ছাত্র ও যুব সমাজ ছিল সর্বদা সঠিক পথের পথিক। পৃথিবী এগিয়ে যাচেছ অতি দ্রুত, প্রতি মুহুর্তে।
আর আমরা? পিছিয়ে যাচিছ প্রতিনিয়ত। রাজনীতিবিদরা ব্যসত নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারে। দেশের উন্নয়নের রাজনীতি কেউ করছে না। যোগ্য, শিক্ষিত ও দেশ প্রেমে উদ্ভূদ্ধ রাজনীতিবিদ নেই বললেই চলে। এখন সময় এসেছে ভেবে দেখার, '71-এ স্বাধীন হওয়ার পর গত 31 বছরে আমরা কি পেয়েছি? জনগন শুধু রক্ত দিয়েছে, ত্যাগ স্বীকার করেছে, প্রতিদানে কিছুই পায়নি।
যে উদ্দেশ্যে দেশ স্বাধীন হয়েছিল, তা কি আমরা অর্জন করতে পেরেছি? বঙ্গবন্ধু, জিয়া, এরশাদ, খালেদা কিংবা হাসিনা কেউ কি আমাদের সঠিক দিক নির্দেশনা দিতে পেরেছে? পেরেছে আমাদের স্বপ্ন দেখাতে কিংবা দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে দিতে? সাময়িক স্বপ্ন হয়ত দেখেছি, কিনতু কখনো তা স্থায়িত্ব পায়নি। দেশে কি সত্যিই গনতনত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে? নাকি গনতনত্রের লেবাসে চলছে একনায়কতনত্র ও পরিবারতনত্র। বি,এন,পি ও আওয়ামী লীগের ভেতরে কি গনতনত্র চর্চা হয়? খালেদা আর হাসিনার কথাই কি সেখানে শেষ কথা নয়? দলের মাঝেই যদি গনতনত্রের চর্চা না থাকে, তারা কিভাবে দেশে গনতনত্র প্রতিষ্ঠা করবে! জাতীয় সংসদ অকার্যকর রেখে কি গনতনত্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব? আমাদের মাঝে আজ পর্যনত কোন রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ে উঠেনি। প্রধান দুই দলের নেত্রী একে অপরের সাথে সৌজন্যমুলক কথাবার্তা পর্যনত বলে না। এক অপরের বিষোদাগারে লিপ্ত। জাতীয় ইস্যু নিয়ে অলোচনার চেয়ে দলীয় কোন্দল এবং রেষারেষিতে বেশীরভাগ সময় ব্যয় করছে।
উন্নত বিশ্বের উদাহরন বাদ দিলেও পাশর্্ববতর্ী ভারতেই দেশের স্বার্থে দল, মত নির্বিশেষে সকল নেতা জাতীয় ইস্যুতে একত্রে কাজ করে।
আমাদের রাজনীতি এখন ব্যক্তিতান্ত্রিক ও পারিবারিকতান্ত্রিক। রাজনীতিবিদরা সুপরিকল্পিতভাবে দেশকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করছে আমাদের বোকা বানিয়ে। দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদ এখন শূন্যের কোঠায়।
আসুন, আমরা নবপ্রজন্ম নিজেরাই নিজেদের ভবিষ্যত গড়ে তুলি স্বপ্নের বাংলাদেশে। এ লক্ষ্যে আপনাদের প্রস্তাবনা লিখুন মন্তব্যে। চলুন, রাজনীতিবিদদের উপর নির্ভরশীল না হয়ে আমরা নিজেরাই নিজেদের ভবিষ্যৎ গড়ি।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জানুয়ারি, ২০০৭ রাত ১:৫৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





