অনেকেই বলেন, 'রাজনীতি করি না'। এর মানে যদি ঘুনেধরা গণতান্ত্রিক ফাজলামোকে অপছন্দ করেন; তাহলে ঠিক আছে। কিন্তু একজন নাগরিক কোনোভাবেই 'রাজনীতির' বাইরে থাকতে পারেন না। রাষ্ট্রে বসবাসের জন্য নাগরিক দায়িত্ব পালন তার কর্তব্য। একটা উদাহরণ দিই। হযরাত আলী রা. এর সময়ে এক ব্যক্তিকে দুজন ব্যক্তির সামনেই হত্যা করা হয়। এদের একজন হত্যাকারীকে আটক করে এবং আইনের হাতে সোপর্দ করেন। বিচার হত্যাকারীসহ হত্যার দর্শক দুজনকেও শাস্তি দিলেন। স্বভাবিকভাবেই হত্যাকারীকে দেওয়া হলো কেসাসের শাস্তি। এবং ওই দুজনের মধ্যে যে তাকে আটক করে আইনের হাতে দিয়েছে, তাকে দিলেন আজীবন জেলদণ্ড। কারণ, এই লোকটি হত্যাকারীকে আগে নিবৃত করার চেষ্টা করেনি। যেটা তার 'রাজনৈতিক' (নাগরিক) দায়িত্ব। এ দায়িত্ব পালন করলে, নিহত, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুজনেরই জীবন রক্ষা হতো। এটি যখন সে করতে পারেনি, তাহলে মুক্ত থাকার দরকার কী, কারাগারই তার জন্যে শ্রেয়। যে লোকটি শুধু হত্যার দর্শকই হলো, হত্যাকারীকে তো নিবৃত করার চেষ্টা করেনি, তাকে আটকেও সহায়তা করেনি, তার চোখ দুটো উপরে ফেলতে নির্দেশ দিলেন বিচারক। চোখার থাকার পরও, যে নাগরিক (রাজনৈতিক) দায়িত্ব পালন করলো না, এমন চোখের সমাজ ও রাষ্টের দরকার কি!
নোমান বিন আরমান। মিডিয়াকর্মী
[email protected]