প্রাগৈতিহাসিক সরীসৃপেরা নাচে কালো জল দেখে
অষ্টব্যন্জন রচিত হয়, যুগ থেকে যুগে
তবু চাঁদ একা বসে রয় জোত্স্না গায়ে মেখে।
যমুনার কালো জল নিত্যই বদলায় অসময়ে
বেহুলাই মধ্যরাতের চীরন্তন প্রেমিকের মতন অন্ধকারের নাবিক?
ভেলা কখনও হারিয়ে গেছে, একা একা সময়ের অপচয়ে
বুঝি এই নাবিকেরাই সন্ধ্যের তালে তালে হয়ে যায় সৈনিক।
সরীসৃপের গন্ধ মেখে ভেলা ভেসে চলে,
প্রাচীন ও বৃদ্ধ নাবিকেরা বুঝি একই কথা বলে,
যখন জল ছুঁয়েছে জলের ভেতর কাল রাত্রীর ছায়া,
তখন আকাশের মেঘে মেঘে ভাসে রাত্রীর মায়া।
অমৃতে কখনও কখনও অষ্টব্যান্জনের রুপ
সরীসৃপের উদরে গড়ায় গরলের স্তুপ,
নাবীক ও সৈনিকেরা পোড়ায় রাত্রীর ধূপ,
অমৃতে ঢাকা পড়ে মৃত্যুর কালো কুপ।
ভাটার চোখে আগুণ ধরিয়ে রাত্রী জাগা চাঁদ,
বেহুলা ও লক্ষীন্দরের জীবন মৃতের বাঁধ।
অমৃতের জোয়ার নামে এই নিঃস্ব নারীর আঁচলে,
বুঝি তখন জীবন ভেসে চলে আমাদের যমুনার কালো জলে।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই নভেম্বর, ২০০৭ দুপুর ২:৩৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





