ডঃজাফরুল্লাহর গণস্বাস্থ্য কভিড-১৯ রোগ শনাক্তকরণের জন্য যে কিট আবিষ্কার করেছে বলে দাবি করছে সেটা নিয়ে এত জল ঘোলা করার কি দরকার! এটার সাথে জড়িত ডঃফিরোজ ও ডঃবিজন কুমারের কথাগুলো শুনেছি। তাদের কথাগুলি মোটামুটি সহজ এবং বোধগম্য ছিল। ওষুধ প্রশাসনের ডিজি ও সরকারি অন্যান্য লোকজনের কথাগুলো ছিলো জটিল ও রাজনীতিবিদদের মতো। এটা খুবই সহজ বিষয়, তারা স্বল্প খরচে রোগ নির্ণয়ের জন্য একটা পদ্ধতি আবিষ্কার করেছে। সেটা কাজ করে কিনা তা বিশেষজ্ঞদের নিয়ে ল্যাবে বসে টেস্ট করে এর ফলাফল বের করা যায়। ফলাফল আশানুরূপ হলে সেটাকে বাজারজাত করার জন্য গণস্বাস্থ্যকে সহযোগিতা করা, আর না হলে তাদের পদ্ধতিকে অযোগ্য ঘোষণা করা।
ডক্টর জাফরুল্লাহর গণস্বাস্থ্য কোনো রকেট সাইন্স আবিষ্কার করেনি, সাধারন একটা জিনিস; এটা নিয়ে এত হাউকাউর কোন দরকার নেই। তারা যে স্যাম্পল দিয়েছে সে অনুযায়ী টেস্ট করে সেটাকে যোগ্য অথবা অযোগ্য ঘোষণা করবে। জাফরুল্লাহকে অসহ্য করার জন্য অনেক কারণ আছে কিন্তু এখন সে কারণগুলি বিবেচনা করে তাদের প্রচেষ্টাকে বিতর্কিত করার কোন দরকার নেই। সত্যিকার অর্থে যদি তাদের এই উদ্ভাবন সফল হয় তাহলে সরকারের জন্য কভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণ করা আরেকটু সহজ হবে।
ডঃ জাফরুল্লাহকেও আরেকটু ধৈর্যশীল হতে হবে। উনি সরকার থেকে এমন ব্যবহার পেয়ে এখন চেঁচামেচি করছেন, উনি কাউকে একটা টাকাও ঘুষ দিবেন না, উনার কিট বাজারে আসুক বা না আসুক। উনার কাছ থেকে এই পরিস্থিতিতে কেউ ঘুষ চাইবে না। যেটা চাচ্ছে সেটা হচ্ছে উনাকে ও উনার গণস্বাস্থ্যকে ক্রেডিট দিতে চাচ্ছে না এবং বর্তমান যে পিসিআর দিয়ে টেস্ট করা হচ্ছে তার আমদানির সাথে জড়িত লোকজন ওনাকে সমর্থন করছে না।
অনতিবিলম্বে সরকারের উচিত হবে উনার এই কিট দিয়ে যদি সত্যিকার অর্থেই অল্প খরচে রুগী শনাক্ত করা যায়, তাহলে এটাকে বাজারজাত করার সকল ব্যবস্থা করা। এছাড়াও যদি এটাতে অল্পস্বল্প ত্রুটি থাকে সেটা দ্রুত সারিয়ে কিট উৎপাদনে উনাকে সাহায্য করা। বর্তমান পরিস্থিতিতে এটাই হবে সঠিক ও ভালো সিদ্ধান্ত।