somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সাবধান ! করোনার ‘ডাবল মিউট্যান্ট’ ভারতীয় ধরন শনাক্ত বাংলাদেশেঃ আইইডিসিআর

০৮ ই মে, ২০২১ বিকাল ৫:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
,


সীমান্ত বন্ধসহ নানা সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার পরও অবশেষে বাংলাদেশে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট (ধরন) শনাক্ত হয়েছে। এভারকেয়ার হাসপাতালের একটি নমুনায় এই ধরন পাওয়া গেছে। আজ শনিবার (৮ মে) দুপুরে রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইডিসিআর) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এএসএম আলমগীর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সম্ভবত ভারতে ভ্রমণ করে আসা কারও শরীরে এই ভেরিয়েন্ট পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের একটি নমুনা পরীক্ষায় ভারতীয় স্টেইন ধরা পড়েছে। যা জার্মানির গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা ডাটাতে (জিএসআইডি) প্রকাশিত হয়েছে। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত কয়জনের মধ্যে পাওয়া গেছে সেই সংখ্যাটা আমাদের কাছে আসেনি, তাই বলতে পারছি না। স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম গণমাধ্যমকে জানান, দেশে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে। যশোরে কোয়ারেন্টিনে থাকা ভারতফেরত ৪ রোগীর দেহে ভারতীয় ধরন পাওয়া গেছে। এ ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত রোগীরা ভারত থেকে ফিরেছেন। তারা চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়েছিলেন এবং বর্তমানে যশোরে অবস্থান করছেন। এদিকে স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, ভারত থেকে দেশে ফেরার পর প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকাদের মধ্যে ৬০ জন করোনা আক্রান্ত হয়ে ফিরেছেন। তবে তারা করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত কি না সেটি জানতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।


এদিকে দেশে করোনাভাইরাসের ভারতীয় ধরন (ভ্যারিয়েন্ট) বি.১.৬১৭ শনাক্ত হওয়ার খবর দিয়েছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)। আজ শনিবার আইইডিসিআর জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত চারজন রোগীর শরীরে করোনার ভারতীয় ধরন পাওয়া গেছে। এ প্রসঙ্গে আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এএসএম আলমগীর বলেন, এভারকেয়ার হাসপাতালে একটি নমুনা পাওয়া গিয়েছে। সেটি আমি দেখেছি। আর ধরা পড়ছে বলেই এ ধরনের তথ্য তাদের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে।প্রতিষ্ঠানটির গবেষক সৈয়দ মুক্তাদির আল সিয়াম আজ শনিবার জিআইএসএআইডির উপাত্ত ধরে বলেন, বাংলাদেশে ভারতীয় ভেরিয়েন্ট (ধরন) বি.১.৬১৭.২ পাওয়া গেছে। আইইডিসিআর এটি সাবমিট করেছে। ইনস্টিটিউট ফর ডেভেলপিং হেলথ সায়েন্স অ্যান্ড হেলথ ইনিশিয়েটিভের নমুনা সংগ্রহকারী প্রতিষ্ঠান হলো ‘আইদেশি’(Ideshi)। সৈয়দ মুক্তাদির বলেন, জিএসআইডির উপাত্ত বলছে, এটি গত ২৮ ও ২৯ এপ্রিল সংগৃহীত নমুনা থেকে পাওয়া গেছে।যেহেতু ভাইরাসের একই ধরন বাংলাদেশেও ঢুকে পড়েছে তাই ভারতের মতো বাংলাদেশেও ব্যাপক প্রাণহানি ও আক্রান্তের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ডব্লিউএইচও জানায়, করোনার বি.১.৬১৭ ধরনটি প্রথমে ভারতে শনাক্ত হয়। তবে এ ধরন ভারত ছাড়াও যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও সিঙ্গাপুর থেকেও ছড়িয়েছে বলে জানিয়েছে তারা। এর আগে গত ৬ ফেব্রুয়ারি করোনাভাইরাসের দক্ষিণ আফ্রিকান ধরনের অস্তিত্ব মেলে বাংলাদেশে। ঢাকার বনানীর ৫৮ বছর বয়সী এক নারীর শরীর থেকে সংগ্রহ করা নমুনায় এই স্ট্রেইন পাওয়া যায় বলে নিশ্চিত করে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (বিসিএসআইআর) জিনোমিক রিসার্চ ল্যাবরেটরির গবেষক দল। এছাড়া গত ৫ জানুয়ারি যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশে আসা ছয়জনের দেহে করোনাভাইরাসের আরেক নতুন ধরন পাওয়া যায় বলে আইইডিসিআর থেকে জানানো হয়। রুন্তরিত এই নতুন ধরন গত ডিসেম্বরে যুক্তরাজ্যে শনাক্ত হয়।


করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে কার্যত বিধ্বস্ত ভারত। দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যুতে দেশটি একের পর এক রেকর্ড গড়ে যাচ্ছে। এতে দৃশ্যত দেশটির চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। অক্সিজেনের অভাবে বহু করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। ডব্লিউএইচও বলছে, ভারতে করোনার অন্যান্য যে ধরন রয়েছে তার চেয়ে এটি অনেক বেশি সংক্রামক। ভারতের বর্তমান করোনা পরিস্থিতির জন্য তিনটি কারণ উল্লেখ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তার মধ্যে একটি হলো করোনার অতি সংক্রামক ধরনের বিস্তার। ফলে দেশটিতে প্রথম ঢেউয়ের চেয়ে দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ খুব দ্রুত ঘটছে। দেশে করোনাভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্সিং হয় অণুজীববিজ্ঞানী সেঁজুতি সাহার নেতৃত্বে। তিনি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশনের (সিএইচআরএফ) বিজ্ঞানী। উপাত্ত তুলে ধরে সেঁজুতি সাহা বলেন, ‘যে ভেরিয়েন্ট (বি.১.৬১৭.২) বাংলাদেশে পাওয়া গেছে, সেখানে ই৪৮৪কিউ মিউটেশনটি নেই। এটা থাকলে খুব ক্ষতিকর হতো। এখানে আমাদের টিকা কাজ করবে বলে মনে হয়।’ তিনিআরও বলেন, ‘ভারতে ভ্রমণ করে আসা কারও শরীরে এই ভেরিয়েন্ট পাওয়া গেছে। গতকালই পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ড এটিকে ভেরিয়েন্ট অব কনসার্ন হিসেবে ঘোষণা করেছে। তাই ইমিডিয়েটলি এর সঠিক কোয়ারেন্টিন, কন্টাক্ট ট্রেসিং এবং সিকোয়েন্সিং করে আমাদের নজরদারি বাড়াতে হবে। সাবধানে থাকতে হবে।’ সুতরাং এখনই গুরুত্বের সাথে এ বিষয়ে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
সূত্রঃ IEDCR

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
ব্রেকিং নিউজ২৪.কম :-& ফেসবুক-১ :-& ফেসবুক-২
[email protected]
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই মে, ২০২১ বিকাল ৫:১৫
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ডালাসবাসীর নিউ ইয়র্ক ভ্রমণ

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:৪৪

গত পাঁচ ছয় বছর ধরেই নানান কারণে প্রতিবছর আমার নিউইয়র্ক যাওয়া হয়। বিশ্ব অর্থনীতির রাজধানী, ব্রডওয়ে থিয়েটারের রাজধানী ইত্যাদি নানান পরিচয় থাকলেও আমার কাছে নিউইয়র্ককে আমার মত করেই ভাল ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×