আমার যে কী লেখা উচিত কিছুই বুঝতে পারতেছি না। মিশ্র অনুভূতি হইতেছে।আর নিশার (সাতিয়া মুনতাহা নিশা) মাথায় হাতুড়ি দিয়ে বাড়ি মারতে ইচ্ছা করতেছে। কারণ সে কোনকালে কী কারণে যে সামহোয়্যারইনে আমার রেজিস্ট্রেশন করায়ে দিছে,আজো বুঝলাম না।যদিও সে খুব ভালো করেই জানে এইসব লেখালেখির কাজ আমাকে বোমা মাইরা মাইরা ফেললেও সম্ভব না,তারপরও আমার সাথে অকারণে ধাক্কাধাক্কি করা তার অভ্যাস।শুধু অভ্যাস না বদভ্যাস।
আমারে কইল, না লেখিস শুধু কমেন্ট করবি! আমি বললাম ওইটাও তো পারি না।সে তখন আমাকে বলল,সিম্পল!! রাশেদ ভাইয়ের মতন শুধু হুমম,হামম,খিকজ করতে থাকবি-দ্যাটস এনাফ!
তারপর প্রথম দিন আল্লা-বিল্লা কইরা, দোয়া-দরুদ পইড়া, বুকে ফুঁ-ফাঁ মাইরা বসলাম।আমার পেইজটা দ্যাখলাম,ভালো-মন্দ বুঝি না,তাই কেমন ফিলিংস হওয়া দরকার বুঝতেছিলাম না।তারপর ভাবলাম আমার পেয়ারা দোস্তের পোস্টেই আগে কমেন্ট দেই. . .
ইয়া আল্লাহ!যেই না ভাব-টাব মাইরা হুমম লিখতে গেছি,দেখি নতুনরা নাকি প্রথম পাতায় আ্যাকসেস না পাওয়া পর্যন্ত কমেন্ট করতে পারবে না! এই রসিক সামহোয়্যারইন আমারে প্রেমে পড়ার আগেই যে এমন ছ্যাঁকা দিবো,জানলে. . . .থাক আর বললাম না!
আর এই কথা শুইনা নিশার সে কি হাসি! তার হাসি তো আবার বিখ্যাত হাসি,দশ মাইল দূর থাইকা শুনা যায়।হাসতে হাসতে বিষম খায়ে বলে-বান্দা,ঠ্যালার নাম বাবাজি!!
আমার ইচ্ছা হইতেছিল ওকে একটা ঘুষি মারি।মারলাম না।
খালি ভাবলাম,এই যদি হয় নিয়ম,তাইলে জিন্দেগীতে আর কমেন্টও করা লাগবে না . . .
তবে আজ বড় কষ্ট পাইলাম।নিশার পোস্টে যায়ে দেখি সে নাকি লেখালেখি ছাইড়া দিতেছে।এইটা কেমুন হইল??সে আমারে কিছুই জানায় নাই. . .আমি জানি আমি তারে নিয়ে এইভাবে লিখতেছি জানলে সে আমার উপর রাগ করবে,কিন্তু না লেখে পারলাম না।আমি জানি ও খুবই অভিমানী,কিন্তু কাউকে বুঝতে দেয় না।কেউ বুঝবে না ও কিসে কষ্ট পাইল,কিন্তু ভিতরে ভিতরে খুব কষ্ট পায়।আমি তারে জিজ্ঞাসা করবো ভাবতেছি,কিন্তু তাইলেই ও বুইঝা ফেলবে যে,আমি ব্লগে ঢুকছি,তারপর আমার পোস্টে আইসা দেখবে এইটা লেখা. . . .তখন সে খুবই রাগ করবে।আসলেই কি রাগ করবে?নিশা অভিমান করতে পারে,কিন্তু রাগ???এই জিনিসটা তার সাথে মানায় না!
আমি জানি,সে যেইটা বলছে,সেইটা অভিমান কইরা বলছে।অভিমান ভাংলেই চলে আসবে।তার কথা বিশ্বাস কইরেন না।
আমি আেগ কখনো এইভাবে কম্পিউটারে বসে লিখি নাই,বহুত ঝােমলা লাগতেছে!

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




