আমি যতো চাই নিখুঁত করে কাজটা করতে ততই দেখি বিপদে পড়ি। সবাই আমার আগে চইল্যা যাইয়া গুরুর কাছে আবদার করে, শালার আমিই পারি না। হঠাৎ এক সুন্দরীর প্রেমে পড়লাম, গুরুকে বলতেই ওমনেই চেইতা গেল। জ্ঞান দিল, এখন আখের গুছানির টাইম, এই সব পরে দেখা যাইবো। মন তো আর মানে না, স্বপ্ন ভরা চোখে তাকিয়ে থাকি তার পানে, কাজ কামে কোন মন নেই। হাতুড়ী মারতে গিয়া আবুলের একবারে সব গুলা আঙ্গুলই ভাইঙ্গা দিলাম, কারন তখন আমি রোমান্টিক সালমান শাহ আর মৌসুমীর গানের সিনে আছিলাম।
এদিকে শালার বুড়া বাপটাও আইসা হাজির, ট্যাকা চায়! আমি হালার নতুন জামা কাপড় কিনবার পারি না বুড়ারে দিমু ট্যাকা, একবারে খেদাইয়া দিছি। ভাবতাছি একটা সানগ্লাস কিনমু। হালকা ট্যারা চোখটা দেখা গেলে সুন্দরী আবার নারাজ হইতে পারে।
এদিকে তেনারা আবার বাসা পাল্টাইব। খবরটা শোনার পর থেইক্যা মন টা আরো খারাপ। ভুতের গলির চিপায় তারা বাসা নিচে, ভাবতাছি আমিও ওইখানে খাটাস কামাইল্যার দোকানে কাম লমু। পরী জানালা দিয়া আইছে চুল শুকাইতে, আহারে কি সুন্দর লাগতাছে তারে।
পরানটা চায় একবারে জড়াইয়া ধরি। তারে লইয়া হারাইয়া যায় সালমান খানের ফিল্মের মত। দেখা হওয়া জরুরী। একবার নিচে আইলে তেনারে দেকা করনের কথা কইলো। সংসদ ভবনে দুইজনে একচিপায় বইয়া বাদাম খাইলো। বিয়ার কথাটাও সাইরা ফালাইলো। ট্যাকা দরকার। আগের মালিকের কাছে কিছু ট্যাকা পাওনা আছিল। গিয়া দেহে মালিকরে ক্যাডা জানি চুরি মাইরা একবারে ভুড়ি গালাইয়া দিছে। ইশারায় কইলো ড্রামের ভিতরে ট্যাকা আছে। ড্রাম হাতাইয়া দেখলো আসলেই ট্যাকা।
তারা বিয়া করলো। সুখে শান্তিতে চলতে থাকলো। তাগো পোলা হইলো। পোলায় একদিন বড় হইলো। বড় হইয়া বাপের মত একই কাহীনি করলো। অল্পের লাইগা বাপ চুরির আঘাত থেইক্যা বাইচা গেছে। তখন বাপে মনে মনে কইলো গুরু তুমি মামলা দিয়ো না, আমিও আমার পোলার নামে মামলা দিমু না।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জুন, ২০০৭ বিকাল ৪:৩৫