দৌড় প্রতিযোগীতার মাধ্যেমে ফাষ্ট হয়ে তিনি মন্ত্রী হয়ে ছিলেন। মাননীয় প্রধাণ মন্ত্রীকে নিয়ে বন্দনা মূলক হাফ ডজন বইও তিনি লিখে ছিলেন এর আগের বার। পত্রিকায় সেই বইয়ের ছবি সহ বিশাল বিজ্ঞাপন দিয়ে ছিলেন আমার এলাকার সন্তান আবুল সাহেব।
অনেক পরিশ্রম করে তিনি মন্ত্রী হয়ে ছিলেন তাতে সন্দেহ নাই।
ডিজিটাল সরকার ক্ষমতায় আসার পর চুরি করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভাল পারর্ফম করেন আবুল সাহেব। রাস্তা ঘাটের চরম বাজে অবস্থা থাকার পরও সুশীল মিডিয়া চুপ করে মুখে কুলুপ এটে বসে ছিল। তাদের একটাই কথা ছিল যুদ্ধপরাধীদের ফাসি চাই। বিচার চাই।
বিচার চাও ভাল, বাবারা কিন্তু দেশে কি আর কোন কাম কাইজ নেই?
তবে ঝাকুনিটা প্রথম আসে মিশুক মনিরের মৃত্যুর মধ্যো দিয়ে। প্রতিদিন রাস্তায় শত শত লোকের মৃত্যুর খবর যখন গা সওয়া হয়ে যাচ্ছিল তখনী রাস্তায় নামে সুশীল সমাজ। ঈদের দিন শহীদ মিনারে ঈদ করেন কেউ কেউ।
হিরো থেকে জিরো হতে শুরু করেন আবুল মিয়া।
ফাঁস হতে শুরু করে তার দুনীর্তি।
কিন্তু দুঃখজনক ব্যাপার হল আমাদের মাননীয় প্রধানমন্তী বরাবরি আবুল মিয়াকে ভাল লোক বলে সার্টিফিকেট দিতে থাকেন। যদিও বিশ্ব ব্যাংকের চাপে শেষ পযন্ত তাকে দপ্তর পরিবর্তন করে দেওয়া হয়।
পদ্মা সেতু শুরু হবার আগেই নানা জায়গা হতে কমিশন খাবার লক্ষে আবুল মিয়ার নিজের প্রতিষ্ঠান সাকো ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ব জুড়ে নাম করে ফেলে। সরকারের শির্ষস্তানীয়দের নাম জড়িয়ে মুখরোচক গুজুব ছড়াতে থাকে। মিডিয়াও জোকের মতন আবুলে পিছনে লেগে থাকে।
এদিকে দুদক সরকারের খাস চামচা হিসেবে আবুল দুনীর্তিবাজ নয় বলে সাটিফিকেট দেয়। যদিও সেই সার্টিফিকেট কোন মহলের কাছেই গ্রহন যোগ্য হতে পারেনি।
সম্প্রতি আবুল সাহেব নিজেও বিজ্ঞাপন দিয়ে জাতিকে জানায় যে সে চোর নয়।
বিশ্ব ব্যাংক যখন চুক্তি বাতিল করে তখন সারা দেশ জুড়ে চাদাবাজি করা এবং নির্বাচনী ফাণ্ড সংগ্রহের লক্ষে নিজেরাই সেতু নির্মণের কথা বলেন।
কিন্তু শেষ পযন্ত আবুলের পদত্যাগ এর মাধ্যেমে হয়ত অনেক কিছুই বেরিয়ে আসবে।
Click This Link

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




