চৌধুরী সাহেবের ভৌতিক জীপগাড়ি। (একটি ভুতের গল্প)
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
তখন চলতে ছিল আষাঢ় মাস। আষাঢ় মাস ভ্রমনের জন্য মোটেও সুবিধার নয়। যখন তখন বৃষ্টির ফলে রাস্তা-ঘাট কাদায় সয়লাব হয়ে থাকে। তারপরও আমাকে যেতে হয়েছিল। কথা ছিল ভ্রমন সংঙ্গি হিসাবে আমার বাল্যবন্ধু ইমরান থাকবে। কিন্তু যাবার আগের দিন ইমরান আমাকে চৌধুরী সাহেবের বাড়ি যাবার বিস্তারিত ঠিকানাটা হাতে ধরিয়ে দিল। করুন গলায় বললো, দোস্ত প্লিজ তুই একা গিয়ে ঘুরে আয়। আমার অফিসের জরুরী কাজে আমাকে চট্রগ্রাম যেতে হবে। কণে তোর পছন্দ হলে পরের বার আমি আর তুই যাব।
ওর এমন অনায্য দাবী শুনে আমি যেন আকাশ থেকে পড়লাম। সাথে সাথে তির্ব প্রতিবাদ করে বললাম, এটা তোর খুব বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে। তুই জানিস আমি কেমন। আমার পক্ষে কিছুতেই অপরিচিত জায়গায় একা যাওয়া সম্ভব নয়। আর নিজের পাত্রী দেখতে যাব নিজেই! ছিঃ কেউ একা কণে দেখতে যায়?
আমার ভৎসনায় ওরে খুব বিচলিত দেখায়। ও ভাল করেই জানে মেয়েদের ব্যাপারে আমার সিমাহিন অস্বস্তির কথা। ২৮ বছর পেরিয়ে যাবার পরও মেয়েদের ব্যাপারে আমার লাজুকতা ভয়াবহ পর্যায়ে। কিন্তু ইমরানের নানা যুক্তির কাছে, আর সারা জীবনের সবচেয়ে কাছের বন্ধুর দাবীর কাছে পরাজয় হয় সব কিছুর। আমি গিয়ে ছিলাম কুসুমপুর। তার গল্পই বলব আজ।
সেদিন বৃষ্টি হচ্ছিল খুব। রেলের কাচের জানালা দিয়ে সেই বৃষ্টি দেখতে দেখতে ঘুমিয়ে পড়ে ছিলাম। কতক্ষন ঘুমিয়ে ছিলাম আমি জানিনা। রেল যখন ঝাকুনি দিয়ে থামল ধরমর করে উঠলাম। ততক্ষনে বেশিরভাগ যাত্রী নেমে গিয়েছে। বৃষ্টিপাত তখনও চলতেছিল। দৌড়ে প্লাটফর্মে ঢুকলাম বটে তবে শরীরের বেশ কিছুটা ভিজে গেল আষাঢ়ের বৃষ্টিতে। ষ্টেশন মাষ্টারের কক্ষের সামনে দাড়িয়ে ভিজে যাওয়া চশমার গ্লাস পরিস্কার করলাম। কেমন যেন ঝাপসা দেখছি সব। মাথাটাও ঝিমঝিম করছে। টানা সাত ঘন্টার রেল ভ্রমনের ক্লান্তিতে এমনটা হয়েছে বোধহয়।
ষ্টেশন মাষ্টারের কক্ষটা বহুদিন চুনকাম করা হয়নি। অনেক জায়গায় প্লাস্টার উঠে গিয়ে লাল ইট বেরিয়ে আছে। স্যাতসেতে দেয়াল। ষ্টেশন মাষ্টারের চেয়ারের বাম পাশে একটা কাঠের আলমারী। আলমারীর দরজা আটকানো থাকলেও আলমারীর উপরে পুরাতন রেজিষ্টার খাতা আর ময়লা ফাইলের স্তুব। ষ্টেশন মাষ্টারের চেয়ারের একটা হাতল নেই। তেল চিটচিটে হয়ে চেয়ারটা তার আসল চেহারাটা হারিয়ে ফেলেছে। ভদ্রলোকের গায়ের রং কালো। বয়স ৫০বছরের বেশি হবে। গালে বিশ্রি একটা কাটা দাগ। তবে গোফটা বেশ ভারি। যতœ করে গোফটাকে কামিয়েছেন ষ্টেশন মাষ্টার।
আমি তাকে সালাম দিলাম । তিনি বিরক্তিভরা দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকালেন। টাই পরা সুশ্রী আমাকে অন্যরা সমিহ করলেও তিনি আমাকে যেন খেয়ালই করতে চাইল না। গলা পরিস্কার করে আমি তাকে কিছু বলতে গেলাম ঠিক তখনি সে মাথা ঘুরিয়ে বললো, ঢাকার ট্রেন আগামীকাল সকাল ৯টায়।
- আমি কিছুক্ষন আগের ট্রেনে ঢাকা হতে এসেছি। এসেই একটা ভয়ানক সমস্যায় পড়েছি। কথা ছিল শরিফ চৌধুরীর লোকজন আমার জন্য গাড়ি নিয়ে অপেক্ষা করবেন। কিন্তু এখন ষ্টেশনে কাউকে খুজে পাচ্ছিনা। এমনকি কোথাও একটা রিকশাও পেলাম না।
আমার কণ্ঠে অসহয়ত্ব প্রকাশ পেলো। কিন্তু ষ্টেশন মাষ্টার বেশ নির্বিকার ভাবে বললো, জমিদারী চলে গিয়েছে ৪০ বছর আগে, কিন্তু ওনার ডাট কমে নাই!
আমি তাজ্জব হয়ে গেলাম ষ্টেশন মাষ্টারের ধৃষ্টতা দেখে। বিস্ফোরিত চোখে প্রশ্ন করলাম, কি বলছেন এসব? আমার কথার উত্তর না দিয়ে তিনি বললেন, চৌধুরী সাহেবের বাড়িতো মহল্লার শেষ মাথায়। তাছাড়া দু’দিন ধরে যেভাবে বৃষ্টি হচ্ছে তাতে রাস্তায় হাটু পানি জমে গেছে। চৌধুরী সাহেব আপনার জন্য একটা রিকশা পাঠিয়ে ছিলেন, তবে রেল দুই ঘন্টা লেট করে আসায় আর তুফান থাকায় সে হয়ত চলে গিয়েছে।
আমি হাতঘড়িতে চোখ রাখলাম, রাত ১০টা বেজে ৩৬ মিনিট। গ্রামে অবশ্য সাড়ে দশটাই অনেক রাত। আর সেটা যদি হয় ঝড় বৃষ্টির রাত!
ওয়েটিং রুমের বেঞ্চিতে এসে বসে পড়লাম। ভারি ক্লান্তি লাগছে। পেটের ভেতর খিদেরাও আক্রমন চালাতে শুরু করে দিয়েছে। অসহ্য লাগতে ছিল। বুঝতে পারছিলাম না কি করে এই অনাকাঙ্খিত বিপদ হতে উদ্ধার পাবো। বন্ধু ইমরানের চৌদ্দ্যগুষ্টি উদ্ধার করতে লাগলাম। বার বার ঘড়ি দেখতে ছিলাম। সেকেন্ডের কাটা গুলি যেন ঘন্টার কাঠা হয়ে গেল, সময় কাটতে চাইছিল না। তারপরও বসে বসে একঘন্টা কাটিয়ে দিলাম, কিন্তু বৃষ্টি থামার কোন লক্ষন দেখলাম না। দেয়ালের পেরেকের সাথে হারিকেন ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। বাতাসে হারিকেনের আলো কাঁপছে। ঘোলা কাচের ভেতর থেকে লাল ফ্যাকাসে আলো গভির অন্ধকারের কাছে তেমন পাত্তা পাচ্ছেনা।
ওয়েটিং রুমে এখন আর কেউ নেই আমি ছাড়া। বাইরের বৃষ্টির শব্দ আর রাতের নিঃসঙ্গ নিজর্ণতা মিলে ভৌতিক পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। আমার গা ছমছম করছিল। ভয় পাচ্ছিলাম। মনে হচ্ছিল অচেনা পৃথীবিতে চলে এসেছি আমি। জানালা দিয়ে বাইরের নিকষ কালো অন্ধকার ঘরে ঢুকছে। ভয়াবহ এমন সময়ে হঠাৎ মনে পড়ল আরে আমার কাছেতো চৌধুরী সাহেবের বাসার নাম্বার আছে! কি বোকাই না আমি! উঠে দ্রুত ষ্টেশন মাষ্টারের কক্ষের দিকে ছুটলাম। হতাশ হলাম, কক্ষে তালা ঝুলছে। দুরে একজন প্রহরীকে দেখলাম সিমেন্টের বেঞ্চে গুটিসুটি মেরে ঘুমুচ্ছে।
আবার আগের জায়গায় চলে এলাম। কেন যেন বার বার মনে হচ্ছিল আমি একটা দুঃস্বপ্নের মধ্যে ডুবে আছি। সারাটা রাত হয়ত আমাকে নিঘুর্ম এখানে কাটাতে হবে। হাতঘড়ির দিকে তাকাতেও বিরক্ত লাগতে ছিল। নিজেকে অভিসাব দিয়ে ভাবছিলাম কেন ঝোকের মাথায় এভাবে চলে এলাম?
বিরক্তি কাটানোর জন্য চৌধুরী সাহেবের অদেখা মেয়েটার কথা ভাবতে লাগলাম। ইমরান বলছিল মেয়েটার চেহারা নাকি অনেক সুন্দর। মায়া ভরা মুখ। দেখলেই মনে ভরে যাবে। গলার স্বরও নাকি খুব মিষ্টি। ভাল রবীন্দ্র সংগীত গায়। যাক বিকেলে বারান্দায় বসে কফি খেতে খেতে ওর রবীন্দ্র সংগীত শোনা যাবে।
চোখে তন্দ্রামত এসেছিল বোধহয়। হঠাৎ নারী কণ্ঠের শব্দে চোখ খুলে তাকালাম। আর তাকাতেই বিস্মিত হলাম। আমার সামনে দাড়িয়ে আছে অপূর্ব সুন্দরী একটি মেয়ে। সেও আমার দিকে তাকিয়ে আছে। লাল শাড়িটা তাকে খুব মানিয়েছে। মনে হচ্ছে স্বর্গের হুর ভুল করে মর্তে চলে এসেছে। মায়াবি চেহারার দিকে তাকিয়ে চোখ ফেরাতে পারতে ছিলাম না। হাসনে হেনার তির্ব গন্ধে সারা রুম ভরে গিয়েছে। তরুণী কি হাসনে হেনার গন্ধযুক্ত কোন পারফিউম ব্যবহার করেছে? তার ফর্শা হাতের দিক তাকালাম। মেহেদি দেওয়া হাতে কাচের চুড়ি।অদ্ভদ ঘোরলাগা মুহূর্ত। সে বললো, আপনি নিশ্চয় শফিক সাহেব, তাইনা?
আমি বললাম, হ্যা। কিন্তু আপনি কে?
আমি মেহজাবিন চৌধুরী। বাবা আপনার জন্য যাকে পাঠিয়ে ছিল সে অবিবেচকের মত চলে যাওয়ায় আমি খুবই দুঃখিত। আমি গাড়ি নিয়ে এসেছি। উঠুন। সে আমার দিকে তাকিয়ে নির্দেশ করে।
বিস্মিত আমি কিছুটা ঘাবড়ে গেলাম মেহজাবিন এর আচরনে। এতরাতে একটি মেয়ে কি কওে অচেনা এক পুরুষের জন্য গাড়ি নিয়ে ষ্টেশনে আসে? আর গাড়ি থাকলে তার বাবা কেন রিকশা পাঠিয়ে ছিলেন? বুঝতে পারছিনা কি করবো। আমার দ্বিধা দেখে বিরক্তি ভরা কণ্ঠে বলে, কি হলো আসুন। আমার হাতে সময় খুব কম।
ব্রিফকেসটা হাতে নিয়ে মেহজাবিনকে অনুসরন করি।
পুরানো দিনের নীল রংয়ের একটি জিপ গাড়ি। গাড়ির ভেতরের লাইট নেই। সামনে হেড লাইটের আলোয় মেহজাবিনকে দেখছি। অসিম শূন্যতা মেয়েটার চোখে। কিছুটা দুঃচিন্তাগ্রস্থ বলেও মনে হল। মেয়েদের পাশে অনেক বার বসেছি, কিন্তু আজ কেন জানিনা অন্যরকম লাগছে। আমি বললাম, আপনাদের এখানে কি বিদুৎ নেই? সে গভির ভাবনায় ডুবে ছিল উত্তর দিলনা। আমিও কথা বলার মত কিছু খুজে পেলামনা। আমি তাকে প্রথম দেখায় ভালোবেসে ফেলেলাম। কি আশ্চর্য ২৮ বছরের জীবনে এমনটা কখনো ঘটেনি। এত সহজে কারো প্রেমে পড়া যায় আমার ভাবনায় তা ছিলনা। আমি খুবই আশ্চর্য! ইচ্ছে করছে এখুনি তাকে বলি যে আমার কণে পছন্দ হয়েছে। মেহজাবিন আপনাকে আমার খুব ভাললেগেছে।
কিন্তু তাকি উচিৎ হবে? ব্যাপারটা বেশ হাস্যকর হয়ে যাবে ,তাই ওপথে না গিয়ে প্রশ্নকরি আপনাদের বাড়িতে যেতে আর কতক্ষন লাগবে?
সে আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বললো, বেশি না আর পনেরো মিনিট লাগতে পারে। আপনি নিশ্চয় খুব ক্লান্তি অনুভব করছেন?
না না, তেমন নয়। তবে অন্ধকারে একা বসে থাকার সময় বেশ ভয় পাচ্ছিলাম। শহরের মানুষতো!
সে হাসলো শব্দ করে, বলেন কি? ভুতের ভয় আছে আপনার?
না তেমনটা নয়। আসলে একা ছিলামতো!
ও আচ্ছা।
সে জানালা দিয়ে বাইরে তাকায়। বিদুৎ চমকাচ্ছে। বৃষ্টি কমেছে। বাতাস বইছে খুব। আমি ষ্টেশনে বসে থাকা বিরক্তিকর সময় গুলো ভুলে গেলাম। মেহজাবীনকে মনে হল আমার বনলতা সেন। ইচ্ছে করছিল সারারাত তার সাথে গাড়িতে বসে থাকি। মনে মনে ইমরানকে ধন্যবাদ দিলাম আর তখনি হঠাৎ করে মনে হল, ইমরান বলেছিল চৌধুরী সাহেব তার বড় মেয়ের জন্য পাত্র খুজছেন। দ্বিধায় পড়ে গেলাম। মেহজাবীন কি বড় না ছোট?
যদি ছোট হয়? তবে বড় মেয়ে রেখে নিশ্চয় চৌধুরী সাহেব তার ছোট মেয়েকে বিয়ে দিবেন না। তেমনটা হলে আমি না হয় মেহজাবিন এর জন্য অপেক্ষা করবো। মনকে স্বান্তনা দিলাম।
ভাবনায় ছেদ পড়ল মেহজাবীনের কণ্ঠে ও বললো, নামুন আমরা চলে এসেছি। ঝাকি দিয়ে থেমে গেল গাড়িটা। সাথে সাথে হেড লাইট অফ হয়ে গেল। ব্রিফকেসটা নিয়ে নিচে নামলাম। আবছা আলোয় শ্যাওলা পড়া পুরাতন আমলের বিসাল এক লোহার গেট দেখলাম। ইটের তৈরী বেশ চওড়া একটা রাস্তা দেখলাম। এটা যে এককালে জমিদার বাড়ি ছিল তা আধারের মাঝেও টের পাওয়া গেল। মেহজাবীন বললো, আপনি ভেতওে যান, বাবা আপনার জন্য অপেক্ষা করছে।
আপনি?
আমি পেছনের দরজা দিয়ে ঢুকবো। বাবা যদি জানে ষ্টেশনে আপনাকে আনতে গিয়েছিলাম তাহলে অনেক বকা দিবে। উনি খুব রক্ষনশীল স্বভাবের। সে হাসল। তার হাসিটা বেশ অদ্ভুদ লাগতে ছিল। তাকিয়ে দেখি জিপের ভেতর কোন ড্রাইভার নেই। বুকের ভেতর ধক করে উঠলো। মুখ শুকিয়ে গেল আমার। আমার ঘাবড়ে যাওয়া বেশ উপভোগ করছে মেহজাবীন। হিহি করে হেসে উঠল সে। কি হলো যান, দরজায় কড়া নাড়–ন।
হাওয়ায় মিলিয়ে গেল যেন মেহজাবীন। হাসনে হেনার তির্ব গন্ধটাও মিলিয়ে গেল। কাপা হাতে দ্রুত দরজায় কড়া নাড়তে লাগলাম।
আগামী পর্বে শেষ।
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
মামুনুলের মুক্তির খবরে কাল বৃষ্টি নেমেছিল
হেফাজত নেতা মামুনুল হক কারামুক্ত হওয়ায় তার অনুসারীদের মধ্যে খুশির জোয়ার বয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ তো বলল, তার মুক্তির খবরে কাল রাতে বৃষ্টি নেমেছিল। কিন্তু পিছিয়ে যাওয়ায় আজ গাজীপুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন
'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'
নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন
বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ
আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন
ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা
গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন
মসজিদে মসজিদে মোল্লা,ও কমিটি নতুন আইনে চালাচ্ছে সমাজ.
গত সপ্তাহে ভোলার জাহানপুর ইউনিয়নের চরফ্যাশন ওমরাবাজ গ্রামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। লোকটি নিয়মিত মসজিদে যেত না, মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়েনি, জানা গেল সে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসী ছিল, স্বীকারোক্তিতে সে... ...বাকিটুকু পড়ুন