শরতের নীল আকাশ আলোকিত করে ঝলমলে চাঁদ উঠেছে। সাদা সাদা মেঘের ফাঁক দিয়ে উপছে পড়ছে তার রূপালী সৌন্দর্য। দূর আকাশে জ্বল জ্বল করছে উজ্জ্বল তারকারা। ঝিরঝিরে বাতাসে গাছগুলোর পাতা নড়ছে - সবকিছু মিলিয়ে রাত এবং রাতের আকাশটাকে এতই চমৎকার লাগছিল - অপূর্ব। সে কী তুমি একদিন এখানে ছিলে তাই? বহুদিন রাতের এমন সৌন্দর্য দেখিনি।
খুব ইচ্ছে করছিল তোমার সাথে কথা বলি। ব্যালকনিতে তোমার পদচারণা, এঘরে তোমার নিশ্বাস আর এ বিছানায় তোমার স্পর্শ - যেন সবকিছু তোমারই উপস্থিতি জানিয়ে দিচ্ছিল। কী করছ তুমি এসময়? হয়ত নিশ্চিন্তে ঘুমোচ্ছো তোমার পৃথিবীকে আলোকিত করে। স্বপ্নে চলে গেছো কোন দূর অজানা রাজ্যে - কোন রাজপুত্রের হাত ধরে। নিশ্চয়ই সেখানেও চাঁদ আর আকাশের সৌন্দর্যে বিমোহিত দুজন বিচরণ করছো কোন স্বর্গসুখের আতিশয্যে।
আর আমি? - মিছেই মোবাইলের বাটন টিপে টিপে তোমার মোবাইলকে বিরক্ত করে চলেছি - রিং হয়, রিং হয়, কিন্তু কোন কোমল হাতের স্পর্শ রিংটোনকে ভয়েসটোনে রূপান্তর করেনা।
তোমার প্রতি অভিমান বা রাগ করার দু:সাহসিক কোন অধিকার আমার নেই। তারপরও কপট অভিমানে ইচ্ছে করছিল আর কখনোই তোমার কল রিসিভ করব না। কেন করব? চাঁদ আর আকাশের এমন মিষ্টি রাতটাকে তুমি বড্ড বিস্বাদে পরিণত করেছো।
একদিকে অবশ্য ভালই হয়েছে। কী লাভ বলো, অহেতুক ইচ্ছে আর স্মৃতির ছায়াগুলোকে দীর্ঘ করে? একসময় তো এগুলো কেবলই হৃদয়ের কষ্ট বাড়াবে - নীল কষ্ট। তাই নয় কী? তারচে’ এই ভাল, তুমি থাকো তোমার স্বপ্নের ভুবন আলোকিত করে আর আমি থাকি আমার চিরবাস্তব, কষ্টার্জিত পৃথিবীটাকে সম্বল করে।
তারপরও যদি এরচেয়েও বেশি কিছু চাও, তবে এরকমই কোন রাতে, কোন ক্ষণে হয়ত তোমার আমার দৃষ্টি শুধু এক মূহুর্তের জন্য একত্রিত হবে দূর আকাশের নীল চাঁদোয়ার অপার সৌন্দর্যে - তারপর মিলিয়ে যাবে কোন অজানায়...
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে আগস্ট, ২০০৭ বিকাল ৩:০৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




