আধিপত্যের দূর্গ ভাঙো, নিজের দূর্গ গড়ো
মার্চ আামাদের স্বাধীনতার মাস। পাকিস্তানি শোষণ-নিপীড়নের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠার মাস। আধিপত্যের শৃঙ্খল ভেঙে মানষের মুক্তির পথে এগিয়ে যাবার মাস। কিন্তু না! সেটা হয়ে ওঠেনি । পাকিস্তানিরা যেভাবে শোষণ-নিপীড়ন করেছে, ঠিক তাদের উত্তরাধিকারী এদেশের গুটিকতক মানুষ লুটেপুটে খচ্ছে আর আধিপত্যের ঝাণ্ডা বয়ে বেরাচ্ছে। এই যে দেখুন, ড. ইউনূস ক্ষুদ্র ঋণের জালে ফেলে গরিবদের রক্ত চুষে খাচ্ছে এখনো। অথচ তার পক্ষে শুরু থেকেই সাফাই গেয়ে যাচ্ছে দৈনিক প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার। ড. ইউনূসের নোবেল পাওয়ার সাথে সাথেই যেন পত্রিকা দুটিও নোবেল পেয়ে যায়। তাদের সংবাদ-পরিবেশনাই বলে দেয় সেটা। গ্রামীণ ব্যাংক থেকে অপসারিত হওয়ার পর ড. ইউনূস পশ্চিমা বন্ধুদের কাছে নালিশ পাঠায়। এরই প্রেক্ষিতে বাংলাদেশে হাজির হন মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক সহকারী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রবার্ট ও ব্লেক। চলতি মাসের ২৩ তারিখের বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করে ব্লেক হুমকি দিয়ে বলেন, ‘ড. ইউনূস ইস্যুতে সরকার সম্মানজনক সমঝোতায় না পৌঁছলে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে প্রভাব পড়বে।’ একটি দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে এরকম বক্তব্য কোনভাবেই কূটনৈতিক শিষ্টাচারের মধ্যে পড়ে না। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
পাশাপাশি সরকার এর আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ না জানিয়ে ১৬ কোটি মানুষকে অপমান করছে। আমরা এরও প্রতিবাদ জানাই।
আর প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সাদরে ব্লেকের বক্তব্যের পক্ষেই সম্মতি উৎপাদনের নীল নকশা করছে। জন্মভূমি বাংলাদেশের অস্তিত্ব-সার্বভৌমত্ব নিয়ে যখন পশ্চিমারা খেলছে, তখন পত্রিকা দুটি ব্লেকের বক্তব্যের বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রতিবাদলিপিও ছাপে নি।
তাদের দায়িত্বও ছিল ওই বক্তব্যের সমালোচনা কিংবা প্রতিবাদ করার। তারা সেটা করেনি। বরং উল্টোটা করেছে। পশ্চিমাদের এদেশীয় এজেন্ট হয়েই সংবাদ যোগান দিয়ে চলছে। প্রতারণা করছে এ দেশের মানুষের সঙ্গে। তাই আমরা প্রতিবাদস্বরূপ পত্রিকা দুটি পোড়াবো।
আপনি নিশ্চয় জানেন, মধ্যপ্রাচ্য ও আরব বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দেশগুলো কীভাবে আধিপত্য আর ক্ষমতার দম্ভ দেখিয়ে যাচ্ছে। বোমা ফেলে ধ্বংস করে দিয়েছে আফগানিস্তান, ইরাক। এখন লিবিয়ার নিরীহ মানুষের ওপর মিসাইল ছুড়ছে। মানুষ মরছে। তাই আমরা পশ্চিমাদের নেতা বারাক ওবামার কুশপুত্তলিকা দাহ করব।
আসুন, আধিপত্যের দূর্গ ভাঙি, মুক্তির দূর্গ গড়ি।
স্থান: অপরাজেয় বাংলা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
তারিখ: ৩০ মার্চ, বুধবার, বেলা ১২ টা।
যোগাযোগ ইশকুল
যোগাযোগ: ০১৫৫৩৪২৭৪২৩,

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



