রাজশাহীতে আমাদের হল এ খুব একটা কারেন্ট যায় না,( গেলে সেটা আমাদের উৎসবের বিষয়

)! তাই দেশব্যাপী লোডশেডিং নিয়ে আমাদের তেমন মাথাব্যথাও ছিল না। কিন্তু পরীক্ষা শেষে ঢাকায় এসে আমরা কয় বন্ধু পড়েছি বিপদে, ঘন্টায় ঘন্টায় কারেন্ট হাওয়া। আজকের সকালের আড্ডায় কারেন্ট যাওয়ার ফ্রিকোয়েন্সির খবর পড়ে তো বিশাল হাসাহাসির রোল পড়ে গেছে আমাদের মাঝে। কারেন্ট যাবে, তারও ফ্রিকোয়েন্সি! আমাদের পড়ুয়া এবং পাগলাটে বন্ধু তো এ নিয়ে মহা গবেষনায় লেগে গেল। সে বেশ কিছুক্ষন চিন্তা ভাবনা করে বলল, "দোস্ত, এটা তো লস, কারেন্ট বেশীক্ষন অফ থাকলে তো ডিসি লেভেল বেড়ে যাবে।

""কোত্থেকে পাইলি এ কথা?" সে পুরা কমিউনিকেশন থিওরির এক থিওরি দিয়ে ব্যাখ্যা করে দিল।

দিলাম আচ্ছাসে ঝাড়ি। ঝাড়ি খেয়েও সে অমলিন বদনে প্রস্তাব দিল,"আজ থেকে পরীক্ষায় বাংলাদেশের কারেন্ট এর ফ্রিকোয়েন্সি লেখার সাথে সাথে কারেন্ট যাওয়ার ফ্রিকোয়েন্সিও লিখে দিব!"

ওকে নিয়ে হাসাহাসি করা শেষ হলে পরে আমিও ভেবে দেখলাম, সত্যি কি বিচিত্র আমাদের অবস্থা, কারেন্ট এর উৎপাদন না বাড়িয়ে আমরা লোডশেডিং এর ফ্রিকোয়েন্সি নিয়ে ব্যস্ত!

হা হা হা……..
আর কি উদ্ভট উদ্ভট যুক্তি। আজাইরা এসব না করে ভাল কোনো কাজে মাথা ঘামালেই একটু শান্তিতে থাকতে পারতাম বলে মনে হয়।