রাজশাহী: রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) বন্ধ ঘোষণার পরও এলাকায় উত্তেজনা অব্যাহত আছে। বুধবার দফায় দফায় পুলিশের সঙ্গে এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটছে। এসময় আধাঘণ্টা ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা। উত্তেজনা ছড়িয়ে থাকায় শিক্ষার্থীরা হলে অবরুদ্ধ রয়েছেন।
মতিহার থানার ওসি আবুল খায়ের বাংলানিউজকে জানান, রুয়েট অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণার পর রাত ১০টার দিকে মামুন ও মুরাদ নামে দুই ছাত্রকে মারধর করে এলাকাবাসী। এ ঘটনার পর আবারও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এসময় ছাত্রদের সঙ্গে স্থানীয় এলাকাবাসীর দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সেখানে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু বাংলানিউজকে বলেন, ‘রুয়েট এলাকার পরিস্থিতি এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে। রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসির (পূর্ব) নেতৃত্বে প্রায় দুই শতাধিক আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে ওই এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে।‘
রুয়েটের সব পথ পুলিশ দিয়ে বন্ধ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বুধবার রাত ১০টার দিকে রুয়েটের ইনফরমেশন টেকনোলজি বিভাগের ৩য় বর্ষের শিার্থী মামুন ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের শিার্থী মুরাদকে তালাইমারি বাজারে এলাকাবাসী মারধর করে । এতে ছাত্ররা আবারও বিুদ্ধ হয়ে ক্যাম্পাসের ভিতরে অবস্থান নেয় ।
অন্যদিকে এলাকাবাসী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারিদিক ঘিরে করে। উভয়ের মধ্যে আবারও ইটপাটকেল নিপে ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয় । এসময় রুয়েটের বিুদ্ধ শিার্থীরা অগ্রণী স্কুল অ্যান্ড কলেজে ভাংচুর চালায় । শিার্থীরা ঢাকা ও রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে। এসময় আধাঘণ্টা যানবাহনচলাচল বন্ধ ছিল । পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। পরে ছাত্ররা অবরোধ তুলে নেয় ।
স্থানীয় একটি কলেজের ছাত্রদের সংঘর্ষে পর রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। একই সঙ্গে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার মধ্যে শিার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় রুয়েট উপাচার্য ড. সিরাজুল করীম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এর আগে শহীদ মিনারের বেদীতে পা রাখাকে কেন্দ্র করে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট), অগ্রণী স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিার্থী ও স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়। এত কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়।
সুত্রঃ http://www.banglanews24.com
হলুদ সাংবাদিকতার আরেকটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত দেখলাম, রুয়েটে ৪ বছর পড়ে ইনফরমেশন টেকনোলজি ডিপার্টমেন্ট চিনলাম না! এলাকাবাসী কখন আমাদের সাথে মারামারি করল বুঝলাম না, আমাদের তো অগ্রনী কলেজের ওরা মেরেছে/ আমরা পরে প্রতিবাদ করেছি, এলাকাবাসীর সাথে তো কিছু হল না! ওরা মার খেয়েছে অগ্রনীর ছেলেদের হাতে, তাও ক্যাম্পাসের দেয়ালের ঠিক বাইরে, তালাইমারী বাজার/ এলাকাবাসী কোথা থেকে আসল বুঝলাম না।
আমরা তো মহাসড়কে গেলাম ই না, অবরোধ করব কখন! ক্যাম্পাসের বাইরে গেলেই মার খাচ্ছি, আমরা যাব মহাসড়ক অবরোধ করতে!
ধন্যবাদ এদের, আউল ফাউল খবর লেখার জন্য। আরো ধন্যবাদ এই জন্য যে, রুয়েটের ১০ ব্যাচের ছাত্ররা যারা বাইরে মেসে থাকে, তাদের যে রুমে রুমে য্যে মার দেয়া হচ্ছে, তা না লিখার জন্য।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





