এই অসাধারণ দৃশ্য দেখার ফাকে ফাকে চা গেলাম । এই চর এলাকার ছাপড়া দোকানগুলো খুব ভাল চা বানায়। কারণটা কি কেউ জানেন? কারণ হচ্ছে দুধ। চরের মহিষগুলোর অবাধে চরে বেড়ানোর সুযোগ থাকার ফলেই হয়তো তাদের দুধের স্বাদ অনন্য।বাঁধের পাশেই নধর চেহারার কয়েকটাকে বাঁধের উপর বেঁধে রাখা হয়েছে।
চরে যাত্রার জন্য যখন নৌকায় উঠলাম, তখন রোদ বেশ উঠেছে। নৌকার গলুইয়ে বসে রোদটা তাররিয়ে তারিয়ে উপভোগ করলাম কতক্ষণ। তারপর রোদ বেড়ে গেলে চলে গেলাম গলুইয়ের নীচে। ততক্ষণে ইণ্ঞ্জিনের ঘরঘর আওয়াজের সাথে খানিকটা এডজাস্ট হয়ে গেছি। খোলা নদীতে আওযাজের পীড়নটা কানে ততটা ঠেকছিলনা । মাঝ নদীতে আ্ওয়াজটা প্রথমে যেভাবে লাগছিল তার চেয়ে অনেক হালকা লাগছে।
নৌকা এগিয়ে যাচ্ছে তরতর করে। আমরা গল্প করতে করতে চিপস এবং আপেল খেয়ে নিলাম। প্রায় ঘনটাখানেক নৌকা চলার পরে চরের নির্দিষ্ট নৌকা থামার জায়গায় পৌছলাম। চর এখানে অনেকটা ত্রিকোণাকৃতি আকার নিয়েছে।
নৌকা থেকে নামার পরপরই মৌমাছির দল আমাদের ঘিরে ধরল। আমরা মোটরবাইকে উঠার পরই কেবল তারা আমাদেরকে নিষ্কুতি দিল। বালুর উপর দিয়ে মোটরসাইকেল চালানো যে কঠিন, পেছনে বসে তা আমরা হাড়ে হাড়ে টের পেলাম। মাঝে মাঝেই ভয় হচ্ছিল যেকোন মুর্হুর্তে আমরা পড়ে যেতে পারি।
সহযোগী সংস্থার কলিগরা যারা মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন, তাদের দক্ষতার প্রশংসা না করে উপায় নেই। কারণ, তার দক্ষতার সাথে চালিয়ে আমাদেরকে গন্তব্যস্থল উপানুষ্ঠানিক প্রাথমিক শিক্ষা কেন্দ্রে পৌছালেন।
কেন্দ্রের পাশেই একটি বসত-বাড়ির সন্নিকটেই মেৌমাছি তার চাক বেঁধেছে। বিশাল সেই চাকের তিনটি অংশ।মৌমাছিরা তাদের বাড়ির আশেপাশেই ঘুরাফিরা করছে। বাড়ির পাশে অনাহুত মানুষদের দেখে তারা যেন খানিকটা বিরক্তই।
ভাল ছবি তোলার আশায় ভয়ে ভয়ে মৌচাকের কাছাকাছি হচ্ছি। কিছু কিছু দূষ্ট ছেলে-পেলে আশেপাশে ঘোরাঘোরি করছে। তাদেরকে নিয়েই ভয় । তারা যদি মৌমাছিদের বিরক্ত করে ক্ষেপিয়ে দেয় তাহলেই হয়েছে।ছোটবেলায় পাড়ার ছেলেরা ভীমরূলের চাকে ঢ়িল দেওয়ার পরিণতি আমি নিজ চোখে দেখেছি। আমার ভয় দেখে ছেলেগুলো মনে হয় মজা পেয়েছে। তখনই ঘটল ঘটনাটা... ।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে মার্চ, ২০১১ ভোর ৬:৪১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




