কলিম ঘুমবোর আগে যা খেয়েছিল-
১.গোস্তের ঝোল দিয়ে বাসি একথালা ভাত
২.পরিমাণ মতো লবণ
৩.৩৪০-৩৭০ মিলি পানি
৪.সিগারেট অর্ধেকটা
কলিম আজকে শেষ যার সাথে কথা বলছিলো তাকে পরিচয় করিয়ে দিতে আমরা বাকি অর্ধেকটা পুড়তে দেখবো। শরীরে বার্ধক্যের স্পষ্ট ছাপ বিশেষ করে মুখের অংশটাতে কয়েক পদ রেখার দ্বিগুণ আধিপত্য। কলিমের সাথে তার বাকবিতণ্ডা চলছে প্রসঙ্গ শ্রেণিদ্বন্দ্ব।
কলিম এখন ঘুমোচ্ছে। আমরা তাকে একটি স্বপ্ন দেখাবো। দেখাবো বলতে মস্তিষ্কের ধূসর পদার্থগুলোকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার চেষ্টা। না সে মরে যাবে না; স্বপ্নের ব্যানারে অন্তত তা-ই লেখা থাকবে। আমাদের টেকনিক্যাল টিম সম্ভাব্য সবরকমের রক্ষণাত্মক ব্যবস্থা হাতে রেখেছেন। কলিম চরিত্রটি দশজন সাধারণ মানুষের মতো রাখার ইচ্ছে ছিলো আমাদের। লেখকের দলটি অবশ্য একমত হলো না। বিশেষ করে ওদের তরুণ সমাজের একাংশ। এদের কেউ কেউ আবার পশ্চিমা কলমে লিখে থাকেন। রুশ উপন্যাস, হলিউডের সাইকো-ইষ মুভি আর বঙ্গভারতের কচকচে লিরিকগুলো খেয়ে খেয়ে স্বকীয়তা হারিয়েছে পিতার আমল থেকেই। এখন যা করছে তা অনেকটাই পকেটমার পদ্ধতি। জাতীয় দৈনিকের সাহিত্যপাতা পর্যন্ত চুরির মাল-পত্রে ভরপুর। কিছছু করার নাই, সব দোষ পাঠকদের ওপরেই বর্তায়। ব্যাখ্যা পরে যে-কোনও একটা সময় হাজির হবে।
কথা হচ্ছিলো কলিম ঘুমোচ্ছে। আমরা এই ঘুমের মধ্যেই ষড়যন্ত্র কাণ্ডটি ঘটানোর চেষ্টা করছি। বলে রাখা ভালো, সে কিন্তু বাংলাদেশের নাগরিক। এবং প্রতি পাঁচ বছর পর পর ভোটকেন্দ্রেও ভ্রমণ করেন ! সর্বশেষ ভ্রমণে সে কিছুটা আহত হয়েছে; ক্ষয়-ক্ষতি সামান্য। নিজের চোখের সামনে সব দেখার পরেও তাঁর আত্মবিশ্বাস— কাজটা ভালো হয়েছে; রাজনীতি অতো বুঝতে নেই, ঝোপ দেখে কোপ মেরে কাবাব থেকে হাড্ডি বের করে দিতে পারলেই হয়। ফাঁকে আপনাদের মতামত জানানোর সুযোগ রাখছি। আমরা জানি, আপনারা এখানটাতে কিছু বলতে ইচ্ছুক। চর্বিত চর্বণ আরোও দফা-দশ মাঠে ছড়ানো-ছিটানো হবে। তাই ভিড় কম করে… হ্যাঁ, লাইন সোজা রাখার চেষ্টা করুন।
কোথায় ছিলাম ! আচ্ছা। কলিম ঘুমোচ্ছে, আমরা প্রক্রিয়া শুরু করতে যাচ্ছি। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-১৫০০৯ মোতাবেক, মিথ্যা বিজ্ঞাপন দ্বারা ক্রেতা সাধারণকে প্রতারিত করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। আমরা এর বিপরীতে গণনা করে দেখলাম, কলিমের স্বপ্নে সাতটি সাধারণ ও দুটি মিথ্যা বিজ্ঞাপন বাণিজ্যিকভাবে সংযুক্ত করা যেতে পারে। মানসম্মত ও নান্দনিক উপস্থাপনায় জবাই করার দৃশ্যও বিনোদন উপযোগী করা যায়।
তবে কী কলিম কাউকে জবাই করবে। জঙ্গি গোষ্ঠীর সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সম্পর্ক জুড়ে দিতে পারলে আন্তর্জাতিক কভারেজ পাওয়া খুব সহজ। বেচারা কলিম, এই সেদিনও বিমান দেখে আফসোস করছিলো। আমরা তাঁর হয়ে কাজটি করতে প্রস্তুত আছি। বুড়োটাকে দ্বিতীয়বার ফুটেজ দেয়া হচ্ছে। আমরা অনুরোধ করছি- পরবর্তী ২৭ সেকেন্ড খুব মনোযোগ দিয়ে দেখার জন্য।
অন্ধবিন্দু | সামহোয়্যার ইন...ব্লগ
চিত্রটি অন্তর্জাল থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১১