somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

অন্ধবিন্দু
বাংলাদেশ সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩৯ (১) ও ৩৯ (২)(ক) এবং মানবাধিকার সনদ(UDHR) এর অনুচ্ছেদ-১৯ ও অনুচ্ছেদ-২৭ বিশেষভাবে উল্লেখপূর্বক; “অন্ধবিন্দু”- ব্লগ পাতাটির লেখককর্তৃক গৃহীত ও ব্যবহৃত একটি ছদ্মনাম মাত্র।

অনুরোধ করি যাচাই করিয়া নিন

০২ রা জুন, ২০১৬ রাত ৯:২৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


পরচর্চায় পরগণ সংশোধিত হইবে না, বরং আপনচর্চায় মনোনিবেশ করিয়া নিজেরে শুদ্ধতার অনলে বারংবার খরচা করিতে হইবে। এইখান-ওইখান হইতে ঘোটাদশেক ইতিহাস, আদর্শবাদের বুলি, পারমার্থিক জ্ঞান সংগ্রহ করিয়া; অন্যেরে উপদেশ দেওয়া ও ছিদ্রান্বেষণের বারোয়ারী বাজারে আত্মপরিচয় সৃষ্টি করিবার বৈদ্যুতিক প্রতিযোগিতায়, তাহা ব্যয় করবার মধ্য দিয়া কি এমন জয় করা যাইবে? বা গিয়াছে! যদি কেবল বই পড়িয়া, ডিগ্রি-ডিপ্লোমা-ডক্টরেট সেবন করিয়া আর নীতিকথা আওরাইয়াই শুদ্ধতার প্রজ্ঞা-রুচি আহরণ করা যাইতো, তবে কী আর ফেবতলার আদালত রোজ রোজ দেখিতে পাইতুম; পথের ন্যাংটো কুত্তটাও বিচারক হইবার অপেক্ষায় কম্প্যুটারে বসিয়াছে। ঘটনা ঘটা মাত্রই তিনি কহিয়া উঠিবেন, অর্ডার, অর্ডার। সকলেই যখন বক্তা, সেখানে শ্রোতার জন্ম হইবে কীনা সন্দেহ আমার! কর্তৃপক্ষ/সরকার বাহাদুর ব্যাপারটা ভাল করিয়াই জানেন, তাই ওসব কানে তোলার ঠেলাঠেলিতে তাহারা আর অভ্যেস করিতে আসেন না। দশকথা ভাসে পানিতে, তাহাদের সিদ্ধান্ত গদিতে। চাহিয়া দেখেন, মতামত প্রকাশের কপচানি, পাণ্ডিত্য সাজ, সবজান্তা ভঙ্গীর জবরদস্ত বাষ্প-লীলায় সাধারণ আমজনতা যখনই ভরসা করিতে যাইতেছে, মাকাল ফলের বাজ ঠুস্ ঠাস বহর নিয়া ভুঁই-পটকা ফাটিয়ে তাদের মাথার উপরই পড়িতেছে। এমনি করিয়া সুশীল এখন একটি জনপ্রিয় গালির ইয়ার্কি সম্ভাষণ। দাদা, ডাক্তার দিতেছেন সামরিক নিরাপত্তার ঔষুদ।

জানা, বোঝা ও মানার মইধ্যে যে প্রগাঢ় পার্থক্য রহিয়াছে, উহার মাহাত্ম উপলব্ধি করিতে হইবে। জগত-প্রকৃতির ক্রিয়া কর্মকে চিত্ত দ্বারা অবলোকন করিতে হইবে। দল-মত-জাতি-বর্ণ ভেদাভেদ না করিয়া সকলের সাথেই কাঁধে কাঁধ মিলিয়া মিশিতে হইবে। চারদেয়ালের গুহায় বসিয়া যন্ত্রকাতর যজ্ঞতে তুষ্ট থাকিয়া অর্জিত বিদ্যে, অন্তর্জালিক শরীরকে হয়তো পুষ্ট করিতে পারে। কিন্তু মানব সন্তানে প্রোথিত স্ব-রাক্ষসকে পরাজিত করিতে হইলে অভিজ্ঞতার ধ্যান-পাঠ্যটুকও যে গ্রহণ করাই লাগিবে। ঘুরিতে হইবে দেশ, দেখিতে হইবে নোংরা কালো জলের জীবন, যারা রোজ আহার করিতেছে অক্লান্ত দূষণ-ক্লেশ।

এবং দিনের পর দিন, রাত্রি শেষের রজনীতে সমস্ত প্রতিকূলতায় সংগ্রাম করিয়া যে বৃক্ষটি প্রবীণ হইয়া উঠিল। তাহার ছায়ায় গতি থামাইয়া ক্ষণিক বিশ্রামের ছলে আত্মস্থ করিতে হইবে, ‘যাহা জানি আসলে কিছুই জানি না’ বাক্যখানা।

সে যতোই আকর্ষণ লইয়া পাশে থাকুক না কেনো। গ্রন্থগত বিদ্যা আর পরহস্তে ধন নহে বিদ্যা, নহে ধন, হলে প্রয়োজন। মুঠোয় মুঠোয় সময় চলিয়া যাইতেছে। আসুন, প্রাপ্তবয়স্ক নহে প্রাপ্তমনস্ক হইবার ব্যবস্থা করি। না হইলে চুলকানি কাটিতে কাটিতে অঙ্গচ্ছেদ হইয়া যাইবে শীঘ্রই।




১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৩
অন্ধবিন্দু | সামহোয়‍্যার ইন...ব্লগ
[Cartoonist: Mana Neyestani]
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা জুন, ২০১৬ রাত ৯:২৪
৭টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

×