১৬ই ডিসেম্বর ১৯৭১ সাল । স্বাধীন হল বাংলাদোশ । লক্ষ্য লক্ষ্য শহীদের রক্তের বিনিময়ে আসে এই সুজল সুফলা, শষ্য শ্যামলা সোনার বাংলাদেশ । দেশ স্বাধীনের চেতনায় একটাই মূল মন্ত্র ছিল, পূর্ব পাকিস্থানের উপর নির্যাতন, নিপিড়ন, অবিচার থেকে দেশ এবং দেশের মানুষকে রক্ষা করা । সুন্দর একটি বাংলাদেশ উপহার দেয়া । তারা উপহার দিয়ে গেছেন বাংলাদেশ । কিন্তু বর্তমান বাংলাদেশ কি সেই চেতনায় ফসল বলা যায়? দারিদ্রতা, নিরক্ষরতা, অসচেতনতা, ইউটিজিং, সামাজিক অবক্ষয়সহ আরোও বেশ কিছু সমস্যা বেড়েই চলছে । এগুলো থেকে সমাজ কে রক্ষা করতে হবে আমাদেরই । মুক্তিযোদ্ধের সেই চেতনাকে জাগিয়ে তুলতে হবে আবার । আর সেই চেতনাকে আকড়ে ধরে ওয়ানডিগ্রি ইনিশিয়েটিভ সংগঠনের একদল তরুন ছাত্র ১৬ই ডিসেম্বর মিরপুরের দুস্থ এবং সুবিধাবঞ্চিত প্রায় ১০০০ মানু্ষের ফ্রি স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও বিনামূল্য ঔষূধ দেয় । আলোক শিশু শিক্ষালয় স্কুল প্রাঙ্গনে নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোর, বৃদ্ধসহ নানান বয়সের রোগী চিকিৎসা সেবা গ্রহন করে । সকাল ৮টায় শুরু হ্ওয়া সেবা পক্রিয়া চলে বিকাল ৪টা পর্যন্ত । আলোক শিশু শিক্ষালয় স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের প্রত্যেকের পরিবার থেকে দুইজন সদস্য এবং প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ্ও স্বস্থ্য সেবা গ্রহণ করেন ।
যাদেরকে সাথে নিয়ে সেবার মাধ্যমে বিজয়ানন্দ করেছি :
সানজিদা, আলপনা, পিনাস, আসমা, উর্মি, নাযরানা, উসামা, বাধন, বিল্লাহ, মুহসিন, হিয়া, আসিম আর মুশফিক এবং আমি্ ওসামা ।
প্লে গ্রুপের শিক্ষার্থী মরিয়ম, আরিফ, রাকিব । ১ম শ্রেণীর আল-আমিন, নার্গিস, কাউসার, সাইফুল, রফিক । ২য় শ্রেণীর দিতি, সোনিয়া, আলি, কবির, সালমা । তৃতীয় শ্রেণীর তাসলিমা, নাসরিন, মুইনুদ্দিন, সোনিয়া, বায়েজিদ । চতুর্থ শ্রেণীর তুষার, ফারুক, সোনিয়া, নূর জাহান, মোর্শেদা । পঞ্চম শ্রেণীর হামিদা, মোরিয়ম, সামিয়া এবং তানিয়া ।
সাথে ছিলেন ডাক্তার সিমন । মেডিকেল শিক্ষার্থী জাবির হাসান, রকি ভাই, শাহিদা আপু, কথা আপু এবং জিসান আলম । কনসার্ট, পার্টি, ঘুরঘুর ফুরফুর, আড্ডা বাদ দিয়ে তারা প্রত্যেকে নিস্বার্থভাবে এই ছুটির দিনটি স্বেচ্ছাসেবা দিয়ে গেছে দরিদ্রদের জন্য, সুবিধা বঞ্চিতদের জন্য । এ ধরনের ছোট ছোট পদক্ষেপই একদিন দরিদ্রমুক্ত সোনার বাংলাদেশ গড়া সম্ভব ।
one degree initiative
osama bin noor
http://www.1di.org
[email protected]